শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ!
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে 'উত্তর কানকুনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের' প্রধান শিক্ষিকা মোসা: কহিনুর বেগম এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের অভিযোগ, ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ইউনিক আইডি করতে খরচ লাগবে বলে ১০০ টাকা করে শিক্ষকদের কাছে দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়েছে। এবং অনেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকাও নেয়া হয়েছে।
ঐ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী সংঙ্গে প্রতিবেদকের কথা হলে তারা জানান, শিক্ষকরা টাকার জন্য চাপ দেয়ায় তারা ১০০ করে টাকা দিয়েছেন। ঐ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ তাওসীফ এর অভিবাবক মোঃ শমির শিকদার জানান, ইউনিক আইডির খরচের কথা বলে আমার বাচ্চার কাছ থেকেও ১০০ টাকা নেয়া হয়েছে।
অভিভাবক ও স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মোঃ আবু তালেব হাওলাদার বলেন, কয়েকজন অভিবাবক জানান, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ করে টাকা আদায় করেছে। আমি ঐ স্কুলের এক ম্যাডামের কাছে এ বিষয়ে জানার জন্য ফোন করলে সে জানেনা বলে অন্য আরেকজন ম্যাডামেরে ফোন ধরিয়ে দিলে তিনি আমাকে বলে এটা আমাদের খরচ টাকা। আমি টাকা ফেরত দেয়া কথা বললে আমাকে বলেন আপনারা যা পারেন করেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ঐ বিদ্যালয়ে মোট ১৫১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ কহিনুর বেগম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকা নেয়ার কথা শিকার করে বলেন, আমরা মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা আদায় করছি। এটা এলাকায় আলোচনা হওয়ার কারনে আমরা আর টাকা নিচ্ছি না।
এ সময় প্রতিবেদকের সামনে শিক্ষার্থীদের কতগুলো কাগজপত্র বের করে প্রধান শিক্ষিকা বলেন যারা টাকা দিছেন তাদের কাগজপত্র আলাদা করে রেখেছি। এ সময় টাকা আদায় করা শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র গুলো গণনা করে প্রতিবেদককে দেখান তিনি। কার নির্দেশে টাকা নিচ্ছেন প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে কোনা উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিহির চন্দ্র দাস ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, আমি এলাকাতে ছিলাম না ,স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম আমাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিষয়টি জানাইছে। জানার পর আমি প্রধান শিক্ষিকাকে টাকা না নেয়ার জন্য বলেছি। টাকা ফেরত দেয়ার জন্য বলছি , সে বলছে টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এএজেড