এক ট্রলারেই ৭৫ মণ ইলিশ, বিক্রি ১৮ লাখে
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ। চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। তবুও জেলেদের জালে দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। এমন সময় অন্য সব জেলেরা খালি হাতে ফিরলেও পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবিরের মালিকানাধীন এফবি সাফওয়ান ট্রলারে জেলের জালে উঠে এসেছে ৭৫ মণ রুপালি ইলিশ। যা ১৮ লাখে বিক্রি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) এফবি সাফওয়ান ট্রলারের মাঝি মো. মহসিন মিয়ার বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্রলার মালিক মোস্তফা গোলাম কবির।
তিনি জানান, কয়েকদিন আগে বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে ট্রলারটি পাঠান তিনি। এরপরেই মাঝি মহসিন মিয়া সাগরের গভীরে জাল ফেলতেই উঠে অসে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। সোমবার বিকালে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসে ট্রলারটি।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুমেও যখন জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না, সেসময় আমার জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরেছে। সোমবার রাতেই মাছগুলো বিক্রি করার জন্য বাগেরহাট পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখানে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, অনেক জেলেরা জালে মাছ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে ঘাটে ফিরে আসছে। নানা সমস্যায় দিন কাটছে তাদের। এরই মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের ট্রলারের জেলেরা ৭৫ মণ ইলিশ পেয়েছে, এটা তো আমাদের জন্য খুশির খবর।
পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, গভীর সমুদ্রে এখন প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে। ওই ইলিশ সাইজেও এখন বড়। তবে উপকূলের কাছাকাছি এখন অনেকটা কম মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে সামনের সময়গুলোতে জেলেদের জালে আরও ইলিশ ধরা পড়বে।
এসজি/