মানব পাচার আইনে ২ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড
বরিশালে মানব পাচার অপরাধ দমন আইনে দুজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন বরিশাল মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত উজিরপুর উপজেলার বাঁগধা এলাকার মো. ফারুক হোসেন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত থাকলেও অপর আসামি স্থানীয় হারতা জামবাড়ির মিনি পারুয়া পলাতক ছিলেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি হারতা এলাকার শোভা সরকার ও চন্দ্রনী মন্ডলকে গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ফারুক হোসেনের হাতে তুলে দেয় মিনি পারুয়া। পরিবারের অজান্তে তাদের লঞ্চে ঢাকায় নিয়ে মিরপুর ১৪ নম্বরের একটি বাসায় আটকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করে ফারুক। পরে তাদের পতিতা সর্দারের হাতে তুলে দেন ফারুক। লঞ্চে ওই দুজনকে ঢাকায় নেওয়ার সময় স্থানীয় দুই ব্যক্তি তাদের চিনে ফেলেন। সেই সূত্র ধরে শোভার বাবা উজিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ২ মাস পর ৩ মার্চ তাদের দুজনকে ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের লঞ্চে তুলে দেন ফারুকসহ দালালরা। বাড়ি ফিরে পরিবারের কাছে ঘটনা খুলে বলেন তারা।
এ ঘটনায় ২৭ মার্চ নির্যাতিত শোভা সরকার বাদী হয়ে উজিরপুর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। একই বছরের ২৫ মে আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১২ সালে মানব পাচার আইন প্রবর্তন হলে ওই অপরাধের মামলা মানব পাচার প্রতিরোধ আইনের ৪৭ ধারা অনুযায়ী মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ম্যাজিস্ট্রেট, ডাক্তার এবং ভিকটিমসহ ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার রায় দেন বিচারক।
রায় ঘোষণার পর ফারুককে বিশেষ ব্যবস্থায় কারাগারে পাঠায় পুলিশ। অন্যদিকে পলাতক পারুয়ার বিরুদ্ধে সাজা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
এসজি/