শবে মেরাজের রাতের ফজিলত ও আমল
প্রতীকী ছবি
ইসলামে মেরাজের রাত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই রাতে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মোজেজা সংঘটিত হয়। ২৭ রজব রাতকে শবে মেরাজ বলা হয়। এই রাতে মহানবী (স.) বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেন এবং আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই রাতে মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে-মসজিদে, নিজগৃহে কিংবা ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোরআনখানি, জিকির-আজগার এবং ইবাদত-বন্দেগীর মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করবে।
ইসলামে শবে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, এই রাতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করার সৌভাগ্য অর্জন করেন। এ রাতেই সালাত বা নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয় এবং প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ আদায়ের বিধান আসে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "রজব হলো আল্লাহর মাস, শাবান হলো আমার মাস; রমজান হলো আমার উম্মতের মাস।" (তিরমিজি)
শবে মেরাজ উপলক্ষে শরিয়তে নির্দিষ্ট কোনো আমলের কথা উল্লেখ নেই। তবে এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগিতে সময় কাটান। বিশেষত, এ উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদে ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল আয়োজন করা হয়। কেউ কেউ নফল রোজা পালন করেন এবং তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করেন।
রজব মাস আমলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাস থেকে মহানবী (সা.) রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। উম্মে সালমা (রা.) বলেন, নবীজি রমজান ছাড়া সবচেয়ে বেশি রোজা রাখতেন শাবান মাসে। আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, "রজব মাস এলে আমরা নবীজির আমল অধিক হারে হতে দেখতাম।"
শবে মেরাজের রাতে নফল ইবাদতের অংশ হিসেবে ১২ রাকাত নফল নামাজ পড়া যায়। ইশার নামাজের সময় তিন রাকাত বিতির নামাজ আদায় করবেন সকল নফল নামাজের পর।
নিয়ত:
"নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকআতাই সালাতি লাইলাতিল মেরাজ মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি। আল্লাহু আকবার।"
শবে মেরাজের রাতে নফল ইবাদত ও দিনে রোজা পালন করা অত্যন্ত ফজিলতময়। এছাড়া রজব মাসে প্রতি সোমবার, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং মাসের ১, ১০, ১৩, ১৪, ১৫, ২০, ২৯ ও ৩০ তারিখে নফল রোজা রাখা বিশেষ আমল হিসেবে বিবেচিত।
মুসলমানদের উচিত এই মহিমান্বিত রাতে বেশি বেশি নফল ইবাদত করা এবং আল্লাহর রহমত কামনা করা।