রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪ | ২ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাংবাদিক অভিশ্রুতির মরদেহ দাফন নাকি সৎকার? যা জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

ঢাকাপ্রকাশ ফাইল ।

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। কুষ্টিয়ার মুসলিম ঘরে জন্ম নেওয়া ওই সাংবাদিকের নাম ছিল বৃষ্টি খাতুন কিন্তু ঢাকায় এসে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে সাংবাদিকতা করতেন। নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিতেন, মন্দিরে পুজা করতো। ফলে তার পরিচয় নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়।

এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। সেখান থেকে বাছাই করে একটি উত্তর তুলে ধরা হলো।

মাসুম আহমেদ নামে একজন প্রশ্ন করেছেন, নিহত নারী সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন মুসলিম ঘরের সন্তান ছিলেন। তবে তিনি নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিতেন, মন্দিরে পুজা করতো। তার মরদেহ দাফন নাকি সৎকার হওয়া উচিত?

উত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বলতে চাই, কেউ যদি মন্দিরে যায়, পুজা করে এবং তার নাম পরিবর্তন করে থাকে, নিজেকে হিন্দু পরিচয় দেয়, তাহলে তাকে মুসলিম গণ্য করার কোনো সুযোগ নেই। বাবা-মার খারাপ লাগলেও বাস্তবতা হলো, সন্তান-সন্ততি যখন ছোট বেলা থেকে পর্যাপ্ত দ্বীনি শিক্ষা না পায় এবং পরিবার থেকে দ্বীনের চর্চার ঘাটতি থাকে, তখন নানাভাবে তারা বিপথগামিতার পথে চলে যান। সে দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো মানুষ যদি এমন কোনো কাজ করে, যার ফলে সে ইসলাম থেকে খারিজ (বাহির) হয়ে যায়, যেমন সে শিরকে লিপ্ত হলো প্রকাশ্যে তাহলে সে আর মুসলমান থাকে না।’

তিনি বলেন, ‘আর এ অবস্থায় যদি কেউ মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে তাকে মুসলমানদের কবরে দাফন নয় বরং হিন্দুদের নিয়ম অনুযায়ী তাকে সৎকার করবে। তবে মেয়েটির বাবা-মার সঙ্গে মন্দিরের দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গদের যে বিতর্ক হয়েছে, সেখানে মা-বাবার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে সেটা খুব দুঃখজনক। এখানে অনেক মা-বাবার জন্য অনেক শিক্ষা রয়েছে যে, ছেলে মেয়েদেরকে উচ্চ শিক্ষার নামে তাদেরকে যেখানে সেখানে পাঠাচ্ছেন। দ্বীন ধ্বংস করছেন। সে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে এভাবে মারা যাবে তাদের মা-বাবা কেউ চিন্তা করেনি। এখানে সমাজের একটি বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। আমাদের সন্তানদের দ্বীনদারিতার ক্ষেত্রে যদি আমরা গাফলতি করি, তাহলে আমাদের চরম মূল্য দিতে হতে পারে। আমাদের অজান্তে আমাদের সন্তান নষ্ট হয়ে গেলে, এর জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা আছে। অতএব, শিক্ষার নামে তাদেরকে দিয়ে দিলাম আর তারা যা খুশি করলো, তা গ্রহণযোগ্য নয়।’

Header Ad

ছাত্রদলের ২৬০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ২৬০ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে রাকিবুল ইসলামকে সভাপতি ও নাছির উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কমিটিত ৪১ জনকে সহ-সভাপতি, একজনকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১১১ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটির বিষয়ে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে সভাপতি এবং নাছির উদ্দীন নাছিরকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কেন্দ্রীয় সংসদে পদমর্যাদা উল্লেখ করা হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান আসলাম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আবু হোরায়রা, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শাহীনুর রহমান (শাহীন), সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান এমদাদ, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. ফয়সাল দেওয়ান, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুর রহমান সাইদ, সরকারি বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বিপ্লবকে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদে সহ-সভাপতি পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু), ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস মৃধা, সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন খান, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন, সরকারি বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেন সোহাগকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, ২ মার্চ রাকিবুলকে সভাপতি আর নাছিরকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্র দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর আজ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

দায়িত্বের এ জীবন কঠিন হলেও সুন্দর : বাবা দিবসে পরীমণি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। বর্তমানে সিঙ্গেল মাদার হিসেবেই পরিচিত তিনি। স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একমাত্র ছেলে পূণ্যকে দেখভালের দায়িত্ব একাই সামলাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। এরই মধ্যে গেল মাসে পরী-পূণ্যর সংসারে এসেছে নতুন সদস্য। একটি কন্যা সন্তান দত্তক নিয়েছেন পরীমণি। ফলে বর্তমানে দুই সন্তানের মা এই অভিনেত্রী।

অভিনয় জগতের বাইরে দুই সন্তান নিয়েই পরীর যতো ব্যস্ততা। দুই হাতেই সন্তানদের সকল দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

মা হিসেবে পরীমণির প্রশংসা করেছেন সকলে। চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস তো বলেই ফেলেছেন, তিনি কখনো পরীমণির মতো একজন মা হয়ে উঠতে পারেননি।

তবে শুধু মা হিসেবেই নয়, সন্তানদের বাবার দায়িত্বও পালন করেন এই অভিনেত্রী। যে কারণে বাবা দিবসে নিজেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরীমণি।

আজ রোববার (১৬ জুন) বিশ্ব বাবা দিবস। বিশেষ এই দিনটিতে সকলেই নিজের বাবাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছেন। বাবাকে নিয়ে নিজের মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন।

বাদ যাননি পরীমণিও। ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নিজেকে উদ্দেশ্য করে পরী লিখেছেন, মা হওয়ার সাথে সাথে এই বাবা হয়ে ওঠার ব্যপারটা যে চমৎকারভাবে আমার মধ্যে আছে, সেটাকে আমি অবশ্যই এপ্রিসিয়েট করি। হ্যাপি ফাদার্স ডে পরী। দায়িত্বের এই জীবন কঠিন হলেও সুন্দর।

নায়িকার সেই স্ট্যাটাসে ভক্তরাও পরীকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ‘সত্যিই তুমি অতুলনীয় একজন আদর্শ মা, আদর্শ বাবা।’ কারো মন্তব্য, ‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মায়ের মধ্যে তুমি একজন পরী।’

এদিকে ছেলের জন্মের পর দীর্ঘদিনের কাজ থেকে বিরতিতে ছিলেন পরী। গেল বছরের শেষ দিক থেকে আবারও কাজে ফিরেছেন। আর ফিরেই একের পর এক কাজ করছেন তিনি। দুই বাংলাতেই কাজ করছেন অভিনেত্রী।

বর্তমানে ‘দেবী’ খ্যাত নির্মাতা অনম বিশ্বাসের ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’-এ অভিনয় করছেন পরীমণি। অভিনেত্রীর সব কাজের ব্যস্তাতেই তার সঙ্গে ছেলে পুণ্য। ছেলের যত্ন আর অভিনয় নিয়েই সময় কাটছে অভিনেত্রীর। তবে সেই ব্যস্ততায় যোগ হয়েছে মেয়ে প্রিয়ম।

কুড়িগ্রামে আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, বিচার না পেয়ে লজ্জায় স্বামী-স্ত্রীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা এবং স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম প্রধান পলাতক আসামি মো. সোলায়মান (২৯) কে যৌথ অভিযানে ১৫ জুন শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১, সিপিএসসি, গাজীপুর এবং র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর।

 

সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এর আগে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে রাজিবপুর পুলিশ। গত শনিবার (১ জুন) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে বিষপানে নারীর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রধান আসামি মো. জয়নাল আবেদীন (৪৮) ও আরেক আসামি মো. আলম হোসেন (৪০)। গত ৩১ মে ২০২৪ শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী নারীর মামা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজিবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে জয়নাল আবেদীন, মো. আলম হোসেন, শুক্কুর আলী (৫০) ও মো. সোলেমানকে (২৯) আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামির স্বীকারোক্তি, ধরাছোঁয়ার বাইরে পলাতকরা

র‌্যাব জানায়, আমরা বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বসহকারে দেখেছি। র‌্যাবের যৌথ অভিযানে পলাতক আসামি মো. সোলায়মান (২৯) গ্রেপ্তার হয়েছে। এছাড়াও পলাতক আসামি শুক্কুর আলীকে (৫০) ধরতে তৎপর রয়েছে র‌্যাব।

 

র‍্যাব-১৪ প্রেস বিপিং। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়াও আজ ১৬ জুন ২০২৪ রবিবার সকাল ১১ টায় ঘটিকায় রাজিবপুর উপজেলা সম্মুখ সড়কে রাজিবপুর উপজেলার আশা মনীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ ও তার আত্মহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজিবপুরের সর্বস্তরের জনগণ।

 

জোরপূর্বক গণধর্ষণ ও তার আত্মহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

উল্লেখ্য, ভিকটিম আশামনি (২৫) কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর থানাধীন বড়াইডাঙ্গী কলেজপাড়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম এর স্ত্রী গত ২৪ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকাল ৫টার দিকে ভিকটিম আশামনি ও তার স্বামী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

আরও পড়ুন: গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ লজ্জায় স্বামী স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টায় স্ত্রীর মৃত্যু

পরবর্তীতে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য চর রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে জামালপুর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ভিকটিমকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং এই অবস্থায় গত ২৯ মে ২০২৪ তারিখ দুপুরে মৃত্যুবরণ করে। ফলে ভিকটিমের মামা মোঃ আকবর আলী(৫০) চর রাজিবপুর থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে অফিসার-ইনচার্জ, চর রাজিবপুর থানার অপমৃত্যু মামলা নং-০৬, তারিখ- ৩০ মে ২০২৪ ইং একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেন ।

পরবর্তীতে চাঞ্চল্যকর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিকটিমের মৃত্যুর মূল রহস্য প্রকাশ্য আসলে র‍্যাব এবং সাংবাদিক মহলের সহযোগিতায় পুনরায় ভিকটিমের মামা মো. আকবর আলী (৫০) চর রাজিবপুর থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে অফিসার-ইনচার্জ, চর রাজিবপুর থানার মামলা নং-০১, তারিখ ০১ জুন ২০২৪ ইং, ধারা-২০০০ সালের নাঃ ও শিঃ নিঃ দমন আইন (সংশোঃ/০৩) এর ৯(১), ৯(৩) তৎসহ ৩০৬ পেনাল কোড-১৮৬০, গণধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা রুজু করেন।

পাশবিক নির্যাতনের শিকার আশামনি (২৫) এর মৃত্যুর পর গোপন অভিও রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় । অতঃপর জানা য়ায যে, জয়নাল ও তার সহযোগীরা মাসের পর মাস ভিকটিমের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে নির্যাতন করেছে।

ভিকটিমের স্বামী মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রায় ৮-১০ বছর পূর্বে আসামি মো. শুক্কুর আলীর কসাইখানায় কর্মচারী ছিল। সাংসারিক অভাব-অনটনের কারণে আসামি মো. জয়নাল আবেদীনের নিকট হতে ৪০,০০০/- টাকা ধার নেয় জাহাঙ্গীর-আশামনি দম্পতি। উক্ত টাকা নেওয়ার পর কসাইখানার কাজ ছেড়ে ভিকটিমের স্বামী মো. জাহাঙ্গীর আলম টাঙ্গাইল জেলায় কসাইখানায় কাজ নেন।

পরবর্তীতে ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আসামি মো. জয়নাল আবেদীন ভিকটিমকে অবৈধ সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিমের স্বামী এলাকায় না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ০২ মাস পূর্বে আসামি মো. জয়নাল দুপুরে ভিকটিমের বসত ভিটায় প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

 

নিহত গৃহবধু এবং তার স্বামী। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

উক্ত ঘটনার কিছুদিন পর ০১ নং আসামি মো. জয়নাল, ০২ নং আসামি মো. শুক্কুর আলীকে নিয়ে ভিকটিমের বাড়িতে এসে দুইজনই পুনরায় পাশবিক নির্যাতন করে। পরবর্তীতে তারা দুইজন আবারও পাওনা টাকার বাহানায় ০৩ নং আসামি আলম ও ০৪ নং সোলায়মানকে (কসাই জয়নালের কর্মচারী) সাথে নিয়ে বাড়িতে এসে সংঘবদ্ধভাবে গণধর্ষণ করে। অতঃপর আসামি মো. সোলায়মান (২৯) গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। বিবাদীগণের পালাক্রমে নির্যাতনের ফলে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং উক্ত সংবাদ শুনে তার স্বামী মো. জাহাঙ্গীর আলম টাঙ্গাইল হতে বাড়ি আসে। স্বামী জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রীর পালাক্রমে ধর্ষণের কথা লোকমুখে শুনে স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে, ভিকটিম দুইমাসের বেশি সময় যাবৎ পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানায়।

পরবর্তীতে সালিশের মাধ্যমে বিচার না পেয়ে গত ২৪ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে স্বামী-স্ত্রী লোক-লজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বিষ পান করে। উক্ত বিষক্রিয়ায় ভিকটিম মৃত্যুবরণ করেন এবং স্বামী অসুস্থ অবস্থায় জীবন অতিবাহিত করছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

ছাত্রদলের ২৬০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা
দায়িত্বের এ জীবন কঠিন হলেও সুন্দর : বাবা দিবসে পরীমণি
কুড়িগ্রামে আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব
জাতীয় ঈদগাহে ৫ স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার
জেনে নিন ঢাকায় কখন কোথায় ঈদের জামাত
ঈদের দিনেও রেহাই নেই গাজার বাসিন্দাদের
চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা
বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে ফের রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টায় অর্ধলাখ যানবাহন পারাপার
শেষ মুহূর্তে নাড়ির টানে রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ
অজিদের কল্যাণে সুপার এইট নিশ্চিত করলো ইংল্যান্ড
সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবদান রেখেছে আওয়ামী লীগ : খাদ্যমন্ত্রী
সারাদিনের ভোগান্তির পর উত্তরের ঈদযাত্রায় ফিরেছে স্বস্তি
আর্থিক সংকটে কাঙ্খিত বেচা-কেনা হয়নি চুয়াডাঙ্গার পশুহাট গুলোতে
আনারকন্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিএমপি কমিশনার
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের
বঙ্গবন্ধু সেতু-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা সড়কের ২৯ কিলোমিটার পথেও দুর্ভোগ
আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেব না : সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের
বিএনপির জাতীয় নির্বাহীর কমিটির ৩৯ পদ পরিবর্তন
যেসব রোমহর্ষক তথ্য উঠে এসেছে গ্যাস বাবুর জবানবন্দিতে
ইসরাইলে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বাড়িঘর ও বাসে আগুন