কাবা চত্বরে প্রবেশে সৌদির নতুন নির্দেশনা কার্যকর
ছবি সংগৃহিত
পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ পালনের জন্য আগত মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে ও সহজে কাবা চত্বর বা মাতাফ অংশে তাওয়াফের সুযোগ পান তা নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এজন্য দর্শণার্থীসহ সাধারণ মুসল্লিদের মাতাফ অংশে প্রবেশে কড়া বিধি-নিষেধ দিয়েছে দুই পবিত্র মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ওমরাহ পালনের জন্য আগতরা ছাড়া অন্য সাধারণ মুসল্লিরা তাদের নামাজ ও ইবাদতের জন্যে তাওয়াফের অংশে আসতে পারবেন না। খবর আরব নিউজ।
মূলত কাবার দিকে মুখ করে লাখো মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে থাকেন। অনেকে নামাজ শেষে সেখানেই বসে ইবাদতে মশগুল থাকেন, এতে ওমরাহ পালনে আগতরা কাবা চত্বরে ঢুকতে বিড়ম্বনায় পড়েন। এ জন্যে কাবা চত্বরের নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত থাকা কর্মীরা শুধুমাত্র ওমরাহ পালনকারীদের চত্বরে প্রবেশের সুযোগ দেবেন।
তাই পবিত্র রমজান মাসের ঠিক আগে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় রমজানে সবচেয়ে বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করে থাকেন। আরবি বছরের নবম মাস হলো রজমান। এ বছর সৌদি আরবে ১১ মার্চ থেকে পবিত্র ও তাৎপর্যপূর্ণ এ মাসটি শুরু হতে পারে।
বছরের অন্য সময়ের তুলনায় রমজান মাসে কাবায় ওমরাহ করতে আসা মুসলিমসহ দর্শণার্থী ও সাধারণ মুসল্লিদের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এতে ওমরাহ করতে আসা অনেক মুসল্লি কাবা চত্বর বা মাতাফ অংশে তাওয়াফের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তাদেরকে অনেক সময় বর্ধিত অংশে তাওয়াফ করতে দেখা যায়।
তাই বরাবরের মতো এবারও ওমরাহ পালনের জন্য আগত মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে ও সহজে ওমরাহ করতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতে পবিত্র কাবা চত্বরে সাধারণ মুসল্লিদের প্রবেশে বিধি-নিষেধ দিলো সৌদি আরব।
ওমরাহ পালন করতে হলে মুসল্লিদের নুসুক অ্যাপসের মাধ্যমে অনুমতি নিতে হবে। এদিকে আগামী জুনে অনুষ্ঠিতব্য হজে দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত একটি নিয়ম বাতিল করেছে রিয়াদ। নতুন নিয়মানুযায়ী, কোনো দেশের নাগরিকদের জন্য মক্কার আশপাশে থাকার স্থান নির্ধারণ করা হবে না। দেশটির হজ মন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়াহ’র বরাত দিয়ে গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, মক্কার আশপাশে ভবনে এখন থেকে থাকতে পারবেন না বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হজযাত্রীরা।
বর্তমানে ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করেছে সৌদি। আকাশ, নৌ ও স্থল যে কোনো দিক দিয়েই ভিসাধারীরা সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়া নারীদের সঙ্গে পুরুষ সঙ্গী থাকার যে বাধ্যবাধকতা ছিল; সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে।