বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অন্যের গোপন দোষ-ত্রুটি সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম

ছবি সংগৃহিত

আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমের সুরা হুজরাতের একটি আয়াতে তিনটি কাজকে হারাম করেছেন। যা সামাজিক রীতি-নীতি ও মানুষের পারস্পরিক অধিকারের সঙ্গে জড়িত। বিষয়গুলো হলো- গিবত করা, কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো এবং ধারণা করা। এগুলো ইসলামে নিষিদ্ধ কাজ। এর পরিণামও খুবই ভয়াবহ।

মানুষের হাত ধরে দেশ, শহর, গ্রাম, পাড়া, মহল্লার সৃষ্টি হয়। মানুষই এসব কিছুর নিয়ন্ত্রক। মানুষের মাঝে বিশৃঙ্খলা, অন্যায়-অবিচার, দুঃশাসন দেখা দিলে দেশ, সমাজ, গ্রামে অশান্তি নেমে আসে। পরস্পর ক্ষতিসাধনে লিপ্ত হলে বিপর্যয়ে ছেয়ে যায় মানুষের জীবনযাপন।

আল্লাহ বলেছেন, তোমরা অন্যের গোপন বিষয় অনুসন্ধান কোরো না। (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১২) যারা বিনা অপরাধে বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদের কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে। (সুরা আহযাব, আয়াত: ৫৮)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-র বরাতে এই হাদিসের বর্ণনা আছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা মন্দ ধারণা পোষণ করা থেকে বিরত থাকো। কারণ, মন্দ ধারণা সবচেয়ে বড় অসত্য। অন্যের গোপন দোষ খুঁজে বেড়িয়ো না, অন্যের ব্যাপারে গুপ্তচরবৃত্তি কোরো না, একে অপরের সঙ্গে (অসৎ কাজে) প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোরো না, পরস্পরকে হিংসা কোরো না, পরস্পরের বিদ্বেষ কোরো না, একে অন্যের বিরুদ্ধে শত্রুতা পুষো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও; যেমন তিনি তোমাদের আদেশ দিয়েছেন।

‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা বহুবিধ ধারণা হতে দূরে থাক; কারণ কোনো কোনো ধারণা পাপ আর তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা (গীবত) করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে? বস্তুত তোমরা তো এটাকে ঘৃণ্যই মনে কর। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তাওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু।’ (সুরা আল-হুজুরাত : আয়াত ১২)

এই আয়াতে মহান প্রভু মানুষের পারস্পরিক হক ও সামাজিক রীতি-নীতি ব্যক্ত করেছেন। এতে তিনটি বিষয়কে হারাম করেছেন। এক. ধারণা; দুই. কোন গোপন দোষ সন্ধান করা এবং তিন. গীবত ; কোন ব্যক্তি সম্পর্কে এমন কথা বলা যা সে শুনলে সে নিজেকে অসহনীয় মনে করতো বা নিজের মনে কষ্ট পেতো।’

এ তিনটি বিষয়ের মধ্যে মানুষের দোষ খুঁজে বেড়ানো সবচেয়ে মারাত্মক ঘৃণ্য অপরাধ। এ তিনটি বিষয়ের প্রথমটি হচ্ছে-

> ধারণা

১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কারও আল্লাহর প্রতি সু-ধারণা পোষণ করা ছাড়া মৃত্যুবরণ করা উচিত নয়।’ (মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)

২. অন্য হাদিসে এসেছে ‘আমি আমার বান্দার সাথে তেমনি ব্যবহার করি, যেমন সে আমার সম্বন্ধে ধারণা রাখে। এখন সে আমার প্রতি যা ইচ্ছা ধারণা রাখুক।’ (মুসনাদে আহমাদ)

এ থেকে জানা যায় যে, আল্লাহর প্রতি ভাল ধারণা পোষণ করা ফরজ এবং কু-ধারণা পোষণ করা হারাম। এমনিভাবে যেসব মুসলিম বাহ্যিক অবস্থার দিক দিয়ে সৎকর্মপরায়ণ দৃষ্টিগোচর হয়, তাদের সম্পর্কে প্রমাণ ছাড়া খারাপ মন্তব্য করাও হারাম। হাদিসে এসেছে-

৩. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা ধারণা মিথ্যা কথার নামান্তর।’ (বুখারি, মুসলিম)

> দোষ খুঁজে বেড়ানো

এ আয়াতে দ্বিতীয় নিষিদ্ধ বিষয় হচ্ছে, কারও দোষ খুঁজে বেড়ানো। এর দ্বারা নানান ধরনের ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হয়। এ কারণে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর খুতবায় দোষ অন্বেষণকারীদের সম্পর্কে বলেছেন-

১. ‘হে লোক সকল! যারা মুখে ঈমান এনেছো কিন্তু এখনো ঈমান তোমাদের অন্তরে প্ৰবেশ করেনি, তোমরা মুসলিমদের গোপনীয় বিষয় খুঁজে বেড়াবে না। যে ব্যক্তি মুসলিমদের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ায় আল্লাহ তার দোষ-ত্রুটির অন্বেষণে লেগে যাবেন। আর আল্লাহ যার ত্রুটি খুঁজে বেড়াবেন তাকে তার ঘরের মধ্যে লাঞ্ছিত করে ছাড়েন।’ (আবু দাউদ)

২. অন্য এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মুসলিমদের গিবত করো না এবং তাদের দোষ অনুসন্ধান করো না। কেননা যে ব্যক্তি মুসলিমদের দোষ অনুসন্ধান করে, আল্লাহ তার দোষ অনুসন্ধান করেন। আল্লাহ যার দোষ অনুসন্ধান করেন, তাকে নিজ ঘরেও লাঞ্ছিত করে দেন।’ (আবু দাউদ)

৩. হজরত মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি নিজে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘তুমি যদি মানুষের গোপনীয় বিষয় জানার জন্য পেছনে লাগো। তাদের জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করবে কিংবা অন্তত বিপর্যয়ের দ্বার প্রান্তে পৌছে দেবে।’ (আবু দাউদ)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা পরস্পরকে হিংসা কোরো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ কোরো না, অন্যের ব্যাপারে গুপ্তচরবৃত্তি কোরো না, অন্যের গোপন দোষ খুঁজে বেড়িয়ো না, পরস্পরের পণ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়ো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও।

অন্য আরেকটি বর্ণনায় আছে, তোমরা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কছেদ করো না, একে অন্যের বিরুদ্ধে শত্রুতা রেখো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ কোরো না, পরস্পরকে হিংসা কোরো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও।

ভিন্ন একটি বর্ণনায় আছে, ‘তোমরা একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন কোরো না এবং অন্যের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর কেনাবেচা কোরো না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫,১৪৩)

Header Ad
Header Ad

ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৮ বুয়েট শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার  

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে গত বছর মার্চে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনীতি ফেরাতে বেশ সরব ছিলেন সংগঠনটির একদল নেতাকর্মী। এর অন্যতম সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বী। এ ঘটনায় রাব্বীসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এমন ৮ জন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। আর বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও শোকজ করা হয়েছে ৫২ জনকে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম মাসুদ বলেন, বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ। কিন্তু শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা গত মার্চে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় রাজনীতি ফেরাতে বেশ সরব ছিলেন। সেসব বিষয় তদন্ত করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাব্বী ছাড়া আজীবন বহিষ্কার হওয়া বাকি শিক্ষার্থীরা হলেন, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের তানভীর মাহমুদ স্বপ্নীল ও মিশু দত্ত চাঁদ, কেমিকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের অরিত্র ঘোষ, সাগর বিশ্বাস জয়, আশিক আলম ও আসগর দাস এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৯তম ব্যাচের আসিফ আল জাবের।

শাস্তি-শোকজ হওয়া ৬০ জনই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন শহীদ আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি লেখেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে প্রকাশ্যে বা গোপনে যুক্ত থাকা, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিডিয়ায় মিথ্যা ইন্টারভিউ দেওয়া, ক্যাম্পাসের নিরাপদ পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করেছে এমন বুয়েটের ৮ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, ১২ জনকে ৬-৪ টার্ম বহিষ্কার, ৬ জনকে ২ টার্ম এবং ৩৪ জনকে ওয়ার্নিং ও হল বহিষ্কার করা হয়েছে আজ। অর্থাৎ মোট ৬০জনকে প্রায় ৫মাস তদন্তের পরে শাস্তি দেওয়া হলো।

তিনি আরও লেখেন, মূলত গত বছরের এপ্রিল থেকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর যে চেষ্টা হয়েছিলো, এরা তার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। ভবিষ্যতে যারা পুনরায় একই ধরনের চেষ্টা করার কথা ভাবছেন, আশা করি ফলাফল কেমন হতে পারে তা স্মরণে রেখে নিজেকে বিরত রাখবেন।

এর আগে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় বুয়েটের আট শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও আরও ৫২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ও শোকজ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুয়েটের ডিএসডাব্লিউ অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ।

তিনি বলেন, আমাদের এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ৮ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে টার্ম বহিষ্কার করা হয়েছে। ছয়জনকে দুই টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে এবং শেষ বারের মতো সতর্ক করা হয়েছে। হলের সিট বাতিল করা হয়েছে সাতজন শিক্ষার্থীর ও ২৭ জনকে সতর্ক করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জীবননগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি যুবক আটক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মেদিনীপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে এক বাংলাদেশি যুবককে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আটক সজিব হোসেন (১৭) উপজেলার মেদিনীপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রফিক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে মেদিনীপুর সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের সময় মাদকসহ সজিবকে আটক করে বিএসএফ। একই গ্রামের আরও তিনজন-মকবুল হোসেন, শাওন ও নয়ন-সজিবের সঙ্গে সীমান্ত পার হলেও তারা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বিএসএফ তাদের ধাওয়া করলে বাকিরা পালিয়ে গেলেও সজিব ধরা পড়ে।

সজিবের মা সাবিনা খাতুন জানান, তার ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। পরে সবাই ফিরে এলেও সজিব আর ফেরেনি। খোঁজাখুঁজির পর তারা জানতে পারেন, বিএসএফ সজিবকে আটক করেছে। এরপর তারা বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রথমে বিজিবি বিষয়টি জানে না বলে জানায়। পরদিন সকালে বিজিবি ক্যাম্পে গেলে বিজিবি সদস্যরা জানান, সজিবকে বিএসএফ ভারতীয় থানায় হস্তান্তর করেছে এবং তাকে ফেরত আনার জন্য পতাকা বৈঠকের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ রফিক জানান, সজিব একজন মাদক কারবারি। ভারতীয় তিন নাগরিকসহ সজিবকে মাদকের চালানসহ আটক করেছে বিএসএফ। যেহেতু সে ভারতে মাদকসহ ধরা পড়েছে, তাই তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

Header Ad
Header Ad

নগদের সাবেক চেয়ারম্যান-এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা জালিয়াতির মামলা

ছবি: সংগৃহীত

নগদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনস্বীকৃত মুদ্রা সংরক্ষণ ছাড়া অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকা ইস্যু করার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আমীর খসরু বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেন।

গত বছরের ২১-২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক নগদের কার্যক্রমের ওপর পরিদর্শন চালায়। পরিদর্শনে নগদের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে রক্ষিত ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট একাউন্টসমূহে ইস্যুকৃত ই-মানির বিপরীতে রিয়েল মানির ১০১ কোটি টাকার অধিক ঘাটতি ধরা পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক ২১ আগস্ট ডাক বিভাগের সম্মতিতে নগদে প্রশাসক দল নিয়োগ করে।

প্রশাসক দল দায়িত্ব গ্রহণের পর নগদে ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি ঘাটতিসহ আরও কিছু গুরুতর আর্থিক অনিয়মের তথ্য তাদের নজরে আসে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক মামলাটি দায়ের করে। বর্তমানে প্রশাসক দল নগদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৮ বুয়েট শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার  
জীবননগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি যুবক আটক
নগদের সাবেক চেয়ারম্যান-এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা জালিয়াতির মামলা
৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে নতুন মার্কিন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
ক্যাম্পাসের মসজিদে কোরআন পুড়িয়েছে রাবি ছাত্র, জানা গেল পরিচয়
মার্কিন ভিসার জন্য প্রার্থনা করতে মন্দিরে ভিড় ভারতীয়দের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন আটক
পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন
বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে ২১ কোম্পানির বাস চলবে টিকিট-কাউন্টার ভিত্তিতে
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
২০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুলের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস সেনাবাহিনীর
১৭ বছর পর বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই সাকিব
সিরিয়ায় নির্বাচন হতে লাগবে আরও ৪-৫ বছর: অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা
ভোটার তালিকা হালনাগাদে যুক্ত হচ্ছে ৫০ লাখ নতুন ভোটার: ইসি সচিব
রাঙামাটিতে তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে গলা কেটে হত্যা
টিকটকে প্রেম নওগাঁর মোমিনের সাথে পালায় সুবা  
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত প্রায় ৬২ হাজার, ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজারো মরদেহ
অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি কমানো : অর্থ উপদেষ্টা
আগামী বছর থেকে বিশ্ব ইজতেমা করতে পারবে না সাদপন্থীরা