সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শবে কদরের তাৎপর্য

পবিত্র রমজান মাসের শ্রেষ্ঠতম মর্যাদার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই যে, এ মাসেই পুণ্যময় রাত শবে কদর প্রচ্ছন্ন রয়েছে। দুনিয়ার বুকে এ রাতের মতো মূল্যবান রাত আর নেই।

এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে, একদিন হযরত রাসুলে করিম (সা.) স্বীয় সাহাবায়ে কেরামদেরকে লক্ষ্য করে বনি ইসরাইল গোত্রের বিখ্যাত বুজুর্গ ‘শামউন’- এর কাহিনি বিবৃত করলেন। বর্ণনা প্রসঙ্গে তিনি বললেন-বনি ইসরাইল গোত্রের একজন আবেদ যার নাম ছিল ‘শামউন’। তিনি সাড়ে তিনশত বছর বেঁচেছিলেন এবং দীর্ঘ জীবনভর তিনি রোজা রাখতেন এবং সারারাত আল্লাহ পাকের ইবাদত- বন্দেগিতে নিমগ্ন থাকতেন। শামউনের এহেন ইবাদতের কথা শ্রবণ করে সাহাবায়ে কেরাম বিমর্ষ হয়ে পড়লেন এবং বিনীতভাবে আরজ করলেন--হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমরা আপনার উম্মত। আমাদের অধিকাংশের হায়াতই ষাট এবং সত্তরের মাঝামাঝি শেষ হয়ে যাবে। আমরা একান্তই হতভাগ্য। কেননা আমরা এত দীর্ঘ সময় বাঁচব না এবং শামউনের মতো বেশি পরিমাণে ইবাদতও করতে পারব না।

সাহাবারা বিস্ময় প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য মাত্র একটি রজনীর উল্লেখ করে বার্তা পাঠালেন। যে রজনীকে ‘খাইরুম মিন আলফি শাহরিন’ তথা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলে আখ্যা দিলেন। এতে সাহাবাদের বিস্ময় ও হতাশা মনোভাব কেটে গেল। এ প্রসঙ্গে মহান প্রভু নাযিল করলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা-সূরায়ে কদর।

ইরশাদ হয়েছে: আমি এই কিতাব নাজিল করেছি কদরের রাত্রিতে। (হে মুহাম্মদ!) আপনি কি কদরের রাত সম্বন্ধে জানেন? (অর্থাৎ কদরের রাত কত বরকতময় তা কি আপনি জানেন?)

আয়াতে আল্লাহ তাআলা প্রশ্ন করে পরের আয়াতে নিজেই জবাব দিয়েছেন- ‘কদরের রাত্রি হলো (এমন এক মহিমান্বিত রজনী যা) হাজার মাস থেকেও শ্রেষ্ঠ । এই রাতে ফেরেশতারা ও রূহ আপন প্রভুর নির্দেশে প্রত্যেক কাজের জন্যে (জমিনে) অবতরণ করেন। এটা এমন এক নিরাপত্তা যা সুবহে সাদিক পর্যন্ত অব্যাহত থাকে বস্তুত এই রজনী মহিমান্বিত হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হলো যে, আল্লাহ তার প্রেরিত সর্বশেষ গ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণের সূচনা এই রজনীতেই করেন। তাই একে ‘লাইলাতুল কদর’ বলে উল্লেখ করেন। কদরের অর্থ মহিমান্বিত ও সম্মানিত।

হযরত আবু বকর (রা.) বলেন, এ রাত্রিকে মহিমান্বিত বলার কারণ হলো-সারাটি বছর ইবাদতে মশগুল না হওয়ার দরুন মূল্যহীন হয়ে পড়েছিল যে বান্দাটি, সেও এই রাতে ইবাদতের মাধ্যমে তওবা ইস্তেগফার করে সম্মানিত হয়ে যায়।- মা’আরিফুল কুরআন।

এই রজনীর মাহাত্যের দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তাআলা অপর স্থানে ইরশাদ ফরমান- ‘সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ! আমি ইহা (কুরআন) নাজিল করেছি বরকতময় এক রজনীতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। (এটা এমন রাত) যে রাতে সকল প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় ছ্িরিকৃত হয়।' - সূরা দুখান: ২-৪।

আয়েশা (রা) বলেন: ‘যখন রামাদানের শেষ রাত এসে যেত তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) রাত্রি জাগরিত থাকতেন, তার পরিবারের সদস্যদেরকে জাগিয়ে দিতেন, তিনি অত্যন্ত উদ্দীপনার সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগিতে রত থাকতেন এবং সাংসারিক, পারিবারিক বা দাম্পত্য কাজকর্ম বন্ধ করে দিতেন।’ (বুখারী, আস-সহীহ ২/৭১১; মুসলিম, আস-সহীহ ২/৮৩২)

রামাদানের শেষ দশ রাতের মধ্যেই রয়েছে ‘লাইলাতুল কদর’ বা তাকদীর বা মর্যাদার রাত।

ইমাম বাইহাকী বলেন: লাইলাতুল কদর অর্থ হলো, এ রাত্রিতে আল্লাহ পরবর্তী বছরে ফেরেশতারা মানুষদের জন্য কী কী কর্ম করবেন তার তাকদীর নির্ধারণ করে দেন। (বাইহাকী, শুআবুল ঈমান ৩/৩১৯)। সুরা কদর-এ আল্লাহ বলেন: লাইলাতুল কদর এক হাজার মাস থেকেও উত্তম।’

এই রাতটি উম্মতে মুহাম্মাদ এর জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত । একটি রাতের ইবাদত এক হাজার মাস বা প্রায় ৮৪ বছর ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কত বড় নেয়ামত! শুধু তাই নয়, এ রাত্রি কিয়ামুল্লাইল বা তাহাজ্জুদে জাগ্রত থাকলে আল্লাহ পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: ‘যদি কেউ ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব লাভের খাঁটি নিয়তে লাইলাতুল কদর কিয়ামুল্লাইল বা তাহাজ্জুদে অতিবাহিত করে তবে তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (বুখারী, আস-সহীহ ২/৬৭২, ৭০৯; মুসলিম, আস-সহীহ ১/৫২৩)

আমরা মনে করি, ২৭ শের রাত কদরের রাত। এই চিন্তাটি সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনোই বলেননি যে, ২৭ রামাদানের রাত কদরের রাত । তবে অনেক সাহাবী, তাবিয়ী বা আলিম বলেছেন যে, ২৭শের রাত শবে কদর হওয়ার সম্ভবানা বেশি। এজন্য আমাদের দায়িত্ব হলো রামাদানের শেষ দশ রাতের সবগুলো রাতকেই ‘শবে কদর’ হিসেবে ইবাদত করব। ২৭শের রাতে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত করব।

রাসুলুল্লাহ (সা.) এর তরিকায় আমাদের জন্য সর্বোত্তম তরিকা। এতেই আমাদের নাজাত। তিনি নিজে লাইলাতুল কদর লাভ করার জন্য রামাদানের শেষ দশরাত সবগুলোই ইবাদতের ও

তাহাজ্জুদে জাগ্রত থেকেছেন এবং এরূপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন । রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: যদি কেউ লাইলাতুল কদর খুঁজতে চায় তবে সে যেন তা রামাদানের শেষ দশ রাত্রিতে খোজ করে ।’ (মুসলিম, আস-সহীহ ২/৮২৩) এ অর্থে আরও অনেকগুলো হাদিস রয়েছে। এ সকল হাদিসে তিনি রামাদানের শেষ দশ রাত্রির সকল রাত্রিকেই শবে কদর ভেবে ইবাদত করতে বলেছেন।

এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘তোমরা রামাদানের শেষ দশ রাত্রিতে লাইলাতুল কদর সন্ধান করবে। যদি কেউ একান্তই দুর্বল হয়ে পড়ে, তবে অন্তত শেষ ৭ রাতের ব্যাপারে যেন কোনোভাবেই দুর্বলতা প্রকাশ না করে।’ (বুখারী, আস-সহীহ ২/৭১১; মুসলিম, আস-সহীহ ২/৮২৩)।

কোনো কোনো হাদিসে তিনি বেজোড় রাত্রিগুলোর বেশি গুরুত্ব দিতে বলেছেন। তিনি বলেন. ‘আমাকে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়েছে, অতঃপর আমাকে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে অতএব তোমরা শেষ দশ রাতের বেজোড় রাতগুলোতে তা খোজ করবে।’ (বুখারী, আস-সহীহ ২/৭০৯; মুসলিম, আস-সহীহ ২/৮২৩)।

রাসুলুল্লাহ (সা.) লাইলাতুল কদরের উদ্দেশে রামাদানের শেষ কয়েক বেজোড় রাত্রিতে সাহাবীদের নিয়ে জামাতে তারাবীহ বা কিয়ামুল্লাইল আদায় করেন । আবু যার (রা.) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) ২৩শে রামাদানের রাত্রিতে আমাদের নিয়ে কিয়ামুল্লাইল করলেন রাত্রির এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত। এরপর বলেন, তোমরা যা খুঁজছ তা মনে হয় সামনে । এরপর ২৭শের রাত্রিতে তিনি নিজের স্ত্রীরা, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সবাইকে ডেকে আমাদেরকে নিয়ে প্রভাত পর্যন্ত জামাতের কিয়ামুল্লাইল করলেন, এমনকি আমরা ভয় পেয়ে গেলাম যে, সাহরি খাওয়ার সময় পাওয়া যাবে না। (তিরমিযী, আস-সুনান ৩/১৬৯)।

শবে কদরের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি দুআ শিখিয়েছেন । আয়েশা (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, যদি আমি লাইলাতুল কাদর পাই তাহলে আমি কি বলব? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তুমি বলবে, ‘হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল মর্যাদাময়, আপনি ক্ষমা করতে ভালবাসেন, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন’ (তিরমিযী, আস-সুনান ৫/৫৩৪, ইবনু মাজাহ, আস-সুনান ২/১২৬৫)।

এ দুআটি মুখস্থ করে অর্থের দিকে লক্ষ্য রেখে এ দশ রাত্রির নামাজের সিজদায়, নামাযের পরে, এবং সর্বাবস্থায় বেশি বেশি করে পাঠ করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে শবে কদরের ইবাদত করার তাওফিক দিন। আমীন।

ড. মাহবুবা রহমান: সাবেক বিভাগীয় প্রধান. ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা ।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ