পবিত্র শবে কদর আজ
আজ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হবে শবে কদরের রজনী। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে সারাদেশে পবিত্র শবে কদর পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত। পবিত্র শবে কদরের রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগি করবেন।
পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র আল কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। এ রাতে মুসলমানগণ নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আখেরি মোনাজাত করবেন।
এ দিকে পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মহামারি, সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ, অভাব-অনটনসহ বিভিন্ন কারণে হাজার হাজার মানুষ অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। সব সংকট থেকে উত্তরণের জন্য তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন।
এ ছাড়া বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও শবে কদর উপলক্ষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বাণী দিয়েছেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে পবিত্র শবে কদরে রাতব্যাপী ওয়াজ মাহফিল, ধর্মীয় বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার (১৯ এপ্রিল) সরকারি ছুটি।
আরএ/