বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইবাদাত শব্দের প্রকৃত অর্থ

আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি। এ কথার অর্থ এটা নয় যে, আমরা নামাজ আদায় করি, তোমাকে সিজদা করি, রমজান মাসে রোজা পালন করি, কোরবানি দেই, সামর্থ হলে হজ ও করি, নবী (সঃ) এর প্রতি দরূদ পড়ি, নবীর ইশবে জুলুশ বের করি, রবিউল আউয়াল মাসে গরু জবেহ করি।

আসলে ইসলামে ইবাদত বলতে যা বোঝানো হয়েছে, সেই ইবাদত কি? তা না বুঝার কারণেই মাত্র গুটি কয়েক আনুষ্ঠানিক কাজকেই মানুষ ইবাদত হিসেবে গণ্য করেছে। (ইবাদত) শব্দটি (আবদুন) কে নির্গত যার অর্থ ব্যাপক। এখান থেকে এসেছে (না‘বুদু) অর্থ আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি। এ বাক্যটি উচ্চারণ করে বান্দা মহান আল্লাহবে একথাই জানিয়ে দিচ্ছে যে, আমরা একমাত্র তোমারই উপাসনা করি।

আমরা একমাত্র তোমারই অনুগত হয়ে জীবন যাপন করি এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শুধু তোমারই আদেশ অনসরণ করে চলি। তাহলে কথা স্পষ্ট হয়ে গেল যে শুধু মাত্র নামাজ, রোজা, হজ্ আদায় করা তাস্বীহ ও জিকির করার নামই ইবাদত নয়। সমগ্র জীবনের প্রতিটি বিভাগে আল্লাহর দেয়া আনি-কানুন অনুসরণ করার নামই হলো ইবাদ। শুধু নামাজ রোজ জিকির আযকার তাস্বীহ স্বাধীন মনে করলে হবে না। যা ইচ্ছা তা করলে হবে না। এটাই যদি ইবাদত হয়-তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে যে দিন রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে কতটুকু সময়ের প্রয়োজন হয়?

খুব বেশী হলে দেড় ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। এই নামায আদায়ের নামই যদি ইবাদত হয়, তাহলে এ কথাই প্রমাণিত হল-একজন মানুষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র দেড় ঘণ্টার জন্য আল্লাহর গোলাম। অবশিষ্ট গড়ে ২২ ঘণ্টার জন্য সে শয়তানের গোলাম।
এভাবে যদি ঘণ্টার মধ্যে মাত্র দেড় ঘন্টার জন্য আল্লাহর গোলামী যে করলো সে ব্যক্তি প্রতি মাসে মাত্র ৪৫ ঘণ্টা আল্লাহর গোলামী করলো। এক বছরে সে ৫৪০ ঘণ্টা করলো আল্লাহর। মানুষ যদি গড় আয়ু লাভ করে ৬০ বছর, তাহলে সে গোটা জীবনকালে একদিন অনুসারে ৬০ বছরের জীবন কালে মাত্র ১৩৫০ দিন অর্থাৎ সাড়ে তিন বছরের সামান্য কিছু বেশি সময় আল্লাহর গোলামী করল। আর বাকি সাড়ে ৫৬ বছর শয়তানের গোলামী করলো।

একমাত্র রোজা পালন করার নামই যদি ইবাদত হয়, তাহলে বছরের অবশিষ্ট ১১ মাসের জন্য সে শয়তানের গোলামী করল। ৬০ বছরের জীবনকালে নিয়মিত ভাবে প্রতি রমজান মাসে রোজা আদায় যদি করা হয় তাহলে প্রতি বছরে ১ মাস হিসেবে মাত্র ৬০ মাস অর্থাৎ বছর হয়। মানুষ তার ৬০ বছরের জীবন কালে মাত্র ৫ বছরের জন্য আল্লাহর গোলাম হবে আর অবশিষ্ট ৫৫ বছর শয়তানের গোলামী করবে?

কোন মুসলমান কে যদি প্রশ্ন করা হয় যে আপনি শয়তানের গোলাম বা চাকর হতে প্রস্তুত রয়েছেন কিনা? সুতরাং ইবাদাতের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেল যে শুধুমাত্র নামাজ, রোজ, হজ, জাকাত আদায় করার নামই ইবাদত নয়। এগুলো অবশ্যই করণীয় আনুষ্ঠানিক ইবাদত। এগুলো তো অবশ্যই আদায় করতে হবে।

নামাজ, রোজ, হজ যাকাত হলো ইবাদাতের একটি অংশ। ইবাদাতের যে বিশাল পরিধি রয়েছে, তার কিছু মাত্র অংশ হলো নামাজ ও রোজা। এই নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত মানুষকে বৃহত্তর ক্ষেত্রে ইবাদাতের যোগ্য করে গড়ে তোলে। এগুলো যারা আদায় করে না, তারা ইবাদাতের যোগ্য কোনক্রমেই হতে পারে না। সৈনিক হিসাবে গড়ার লক্ষ্যেই তাদের কে নানা ধরণের ট্রেনিং দেয়া হয। কুচ্কাওয়াজ করানো হয়। তেমনি নামাজ, রোজা নিষ্টার সঙ্গে আদায় করার নির্দেশ এ জন্য দেয়া হয়েছে যেন মুসলমান জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান মেনে চলার অভ্যাস সৃষ্টি করতে পারে। সুতারাং স্পষ্ট হয়ে গেল যে মানুষের সমস্ত ক্রিয়া কর্মই ইবাদত। উঠা-বসা, হাঁটা-চলা, কথা বলা, কথা শোনা দাঁড়ানো, গুমানো, আহার করা, বিশ্রাম করা, করা, মলমুত্র ত্যাগ করা, স্ত্রী সাথে কথা-বার্তা বলা। সন্তান প্রতিপালন করা, চাকুরি করা, ব্যবসা করা, শিক্ষা দেয়া ও গ্রহণ করা, যুদ্ধ করা, যুদ্ধ তেকে বিরত থাকা, আন্দোলন সংগ্রাম করা, মিছিল করা, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান করা, মাতৃভাষা দিবস পালন করা, বই মেরা দেয়া, নেতৃত্ব দেয়া, কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা, বিচার মীমাংসা করা, দেশ শাসন করা, স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা, জনসেবা করা, কল্যাণকর কোন কিছু আবিস্কার করা অর্থাৎ যে কোন ধরণের বৈধ কর্মকাণ্ড করাই ইবাদত।

আল্লাহর ইবাদত কেহ করছে না। (আল্লাহ বলেনঃ আফাগাইরা দ্বীনাল্লাহি ইয়াবগুনা ওলাহু আছলামা মান ফিসসামাওয়াতি ওয়াল আরদি ত্বওয়া’ন ওয়া কারহান ওয়া ইলাইহি ইয়ারজিউ’ন)।

অর্থঃ তোমরা কি আমার দেয়া জীবন ব্যবস্থা ত্যাগ করে অন্যের বানানো জীবন ব্যবস্থা, দীন অনুসন্ধান করো?

অথচ আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, তার সব কিছুই আমার সামনে আনুগত্যের মস্তক অবনত করে দিয়েছে।

এই ভূ-পৃষ্ঠের একটি ক্ষুদ্র ধুলিকণা থেকে শুরু করে ঐ বিশাল বিস্মৃত মহাশূন্যে বিচরণশীল দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান গ্রহ-উপগ্রহ, নিহারিকাপুঞ্জ, নক্ষত্র জগৎ অবধি যা কিছু যেখানে রয়েছে, তার সমস্ত কিছুই মহান আল্লাহর নিয়মের আনুগত্য। পৃথিবীতে ক্ষুধামুক্ত পরিবেশ, নিরাপত্তা, স্বস্তি, শান্তি অর্থাৎ মানুষের মৌলিক অধিকার লাভ করতে হলে যেমন আল্লাহর ইবাদত করা অপরিহার্য। তেমনি পরকালে জান্নাত লাভ করতে হলে ও আল্লাহর ইবাদত করা অপরিহার্য। জান্নাতে কে না যেতে চায়? সবাই চায় জান্নাতে যেতে।

পক্ষান্তরে আল্লাহর জান্নাত লাভ করার একমাত্র মাধ্যম হলো নির্ভেজাল পদ্ধতিতে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা।

লেখক: খতীব বিএসটিআই জামে মসজিদ, মহাখালী, বনানী, ঢাকা

Header Ad
Header Ad

পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন নাহিদ-আসিফ  

তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। ছবিঃ সংগৃহীত

জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার নতুন একটি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। দল ঘোষণার আগে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকার থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। আর আগামী জুন মাসে পদত্যাগ করতে পারেন সরকারের আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

জানা গেছে, নতুন দল প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করবে। কমিটির সদস্যসচিব হতে যাচ্ছেন নাহিদ ইসলাম। ছাত্রদের নতুন দলের গঠনতন্ত্রের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি ছাত্রদের প্রতিনিধি সরকারে রেখে তাদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল গঠন করে নির্বাচনে আসলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে বলেন, তিনি রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে সরকার থেকে বের হয়ে যাবেন। এ নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, আন্দোলনের শুরু থেকে প্রথম সারিতে নেতৃত্বে ছিলেন নাহিদ ইসলাম। সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের এক দফার ঘোষক। ছাত্র-জনতার কাছেও তিনি অনেক জনপ্রিয়।

জানা গেছে, সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি বৈঠকে বেশিরভাগ সদস্য মতামত দিয়েছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা এক বা একাধিক ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত। সাধারণ মানুষের কাছে যেসব ছাত্র উপদেষ্টার গ্রহণযোগ্যতা বেশি তাদের পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হয়ে নেতৃত্বে আসা প্রয়োজন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব গণমাধ্যমকে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ, আহত এবং জনতার আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা সরকার থেকে পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগে নেতৃত্ব দেবেন। তাই সরকারে থাকা ছাত্রপ্রতিনিধিদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সাড়া দিয়ে নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগে তারা যেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন।

তবে ছাত্র উপদেষ্টাদের কে বা কারা পদত্যাগ করবেন তা চূড়ান্ত হয়নি উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে একটি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, যারা সরকারে থাকবে তারা রাজনৈতিক দলে যুক্ত হতে পারবে না। এই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলে যুক্ত হতে হলে অবশ্যই সরকার থেকে পদত্যাগ করে আসতে হবে।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দল ঘোষণা করতে চায় গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নতুন দল ঘোষণার আগে ২৪ দফার ইশতেহার তৈরিতে কাজ করছে তারা। এজন্য ১৭ সদস্যের একটি কমিটি কাজ করছে বলে জানা গেছে।

 

Header Ad
Header Ad

আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সিরিয়ার বর্তমান ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল শারা দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উচ্ছেদ অভিযানে শীর্ষ ভূমিকায় ছিলেন এই নেতা। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করার জন্য মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্বও তাকে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে দেশটির সংবিধান।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আলজাজিরা।

এতে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার হাসান আবদুল ঘানি সিরিয়ার ২০১২ সালের সংবিধান বাতিল এবং আসাদ সরকারের সংসদ, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিলুপ্তি ঘোষণা করেছেন।

নতুন প্রেসিডেন্ট শারা জানিয়েছেন, তিনি একটি অন্তর্বর্তীকালীন আইনসভা গঠন করবেন, যা দেশের শাসন পরিচালনা করবে যতক্ষণ না একটি নতুন সংবিধান অনুমোদিত হয়। তিনি আরও বলেন, আসাদবিরোধী সব বিদ্রোহী গোষ্ঠী ভেঙে ফেলা হবে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একীভূত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও গোলাম রাব্বানী। ছবিঃ সংগৃহীত

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এই দাবি তোলেন তিনি। আর সেই পোস্টে কমেন্ট করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এদিকে রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লেখেন, ‘মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।’

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।’

হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতা-কর্মীরও বিচার কার্যকর করা হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার কার্যকর করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সাথে অপমানের শামিল।

অথচ, ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়তো। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়তো অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়নাঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারাদেশে তখন নেমে আসতো নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সাথে করতো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সকল নেতা-কর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের সকল শহীদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে বলছি, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন। পুনরাবৃত্তি করছি: আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের আচরণ ঠিক তেমন হবে, যেমন আওয়ামী লীগের আচরণ আমাদের প্রতি ৫ আগস্ট না হলে হতো।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন নাহিদ-আসিফ  
আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  
ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  
তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  
মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে রাজনীতিতে কখনোই সফল হবে না : ছাত্রশিবিরকে রিজভী  
যুক্তরাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত  
জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় আজ  
আজ জহির রায়হানের ৫৩তম অন্তর্ধান দিবস  
আজ সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে  
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার : ৩ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ  
ছাত্রশিবির এর দলীয় প্রকাশনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদলের
মসজিদ থেকে জুতা চুরি, পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা, শেষমেশ ধরা যুবক
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি
ব্যক্তি স্বার্থে দলের স্বার্থ নষ্ট করলে ছাড় নয়: তারেক রহমান
তৃতীয় বিয়ে করছেন রাখি সাওয়ান্ত, পাত্র পাকিস্তানি পুলিশ কর্মকর্তা!
চার মাসেও সমাধান মেলেনি, ভবনে তালা দিল বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে এনজিও উধাও, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
অর্থ লুটকারীদের অনেকের কপালে ও নাকে সিজদার দাগ: ধর্ম উপদেষ্টা
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ ভারতীয়সহ ১৫ প্রবাসী নিহত
তেজগাঁওয়ে কুতুববাগ দরবার শরিফের ওরস স্থগিত