হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, ‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত মিনা
আজ (শুক্রবার) ১৪৪৩ হিজরি পবিত্র হজ। পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। করোনা বিধিনিষেধ না থাকায় দুই বছর পর বিদেশি মুসল্লিরা হজ পালন করতে পারছেন। এ বছর ১০ লাখের বেশি মুসল্লি হজ পালন করছেন।
লাখো লাখো মুসল্লির গন্তব্য তাবুর শহর হিসেবে পরিচিত ঐতিহাসিক মিনায়। সবার মুখে ধ্বনিত হচ্ছে, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়ামাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাকা’।
মিনায় হজযাত্রীরা ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করবেন। শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায় করে হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন। এই ময়দানেই প্রায় দেড় বছর আগে নিজের শেষ খুতবা দিয়েছিলেন মহানবী (সা.)।
৫ দিন ধরে হজের আনুষ্ঠানিকতা চললেও ৯ জিলহজ আরাফাতে অবস্থান করাই মূলত হজ। মিনা থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুক্রবার দুপুরে আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা শুনবেন হজযাত্রীরা। আরাফাতের ময়দানে একসঙ্গে জুমা ও আসরের নামাজ আদায় করবেন তারা।
সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন হজযাত্রীরা। সূর্যাস্তের পর আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে হজযাত্রীরা যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে তারা এক আজানে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। পরে জামারায় প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য তারা পাথর সংগ্রহ করবেন। এদিন রাতে খোলা আকাশের নিচে অবস্থানের পর সকালে সূর্যোদয়ের পর তারা পাথর নিক্ষেপ করবেন।
এরপর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোরবানি করবেন হজযাত্রীরা। কোরবানি শেষে তারা মাথা মুণ্ডন করবেন। এরপর এহরাম খুলে সাধারণ পোশাক পরে আবার কাবা শরীফ তাওয়াফ করবেন তারা। সাফা-মারওয়ায় সাতবার চক্কর দেবেন তারা। এরপর ফিরে যাবেন মিনায়।
সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজিদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পবিত্র দুই শহর মক্কা ও মদিনায় ২৩টি হাসাপাতাল ও ১৪৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে। মিনায় হাজিদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে চারটি হাসপাতাল ও ২৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এ ছাড়া রোগীদের নিবিড় পরিচর্যার জন্য ১ হাজারেরও বেশি শয্যা রয়েছে। আর হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ২০০টিরও বেশি শয্যা।
এসজি/