সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পবিত্র কোরবানি হোক আত্নার পরিশুদ্ধি

মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় আনন্দের ও ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর, প্রভুভক্তির পরম ভক্তি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম পবিত্র কোরবানি। শুধু দৃশ্যমান পশু নয়, বরং এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি অর্জনই মুমিনের আসল লক্ষ্য। যার সূচনা হয় প্রথম মানব-মানবীর প্রিয় পুত্রদ্বয় হাবিল-কাবিলের হাত ধরে। আর পূর্ণতা পায় জাতির পিতা হয়রত ইব্রাহিম(আঃ) ও তার পুত্র ইসমাইল (আঃ)-এর ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত ঘটনার মধ্য দিয়ে 'জান্নাতি দুম্বা কুরবানির মাধ্যমে'।

পশু নয়, পশুত্ব দমন কুরবানির মূল লক্ষ্য। স্রষ্টার প্রেমে বিলীন হওয়ার এটা অন্যতম মোক্ষম মুহূর্ত। বরাবরের মতোই কুরবানি নামক এ মহান পরীক্ষা আমাদের সামনে। এ পরীক্ষার কেন্দ্র হৃদয়ের ছোট্ট কুটিরে ও তার সাবজেক্টের নাম তাকওয়া।

আল্লাহ তা'য়ালা বলেন- 'ঐ সমস্ত পশুর রক্ত, গোশত আমার কাছে কিছুই পৌঁছে না, বরং পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া'। (সূরা হজ-৩৭)। এ আয়াত থেকে সুস্পষ্ট, আমাদের খোদাভীরুতা ও তাকওয়া অর্জনই কুরবানি কবুলের পূর্বশর্ত। পশুটির গঠন ও দাম কোনটাই আল্লাহর কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। বরং বিবেচ্য বিষয় কু-প্রবৃত্তি পরিশুদ্ধকরণের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন।

পশুর রক্ত প্রবাহিত হওয়ার আগেই আল্লাহর কাছে পৌছে আমাদের তাকওয়া তাই আত্নার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনই হোক কুরবানী মূল লক্ষ্য। কুরবানি করা মাংস তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজের জন্য রেখে বাকি ২ ভাই আত্নীয় ও গরীবদের মাঝে বন্টন করার মানেই হলো ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ- যা কোরবানির অন্যতম শিক্ষা।

আমাদের জীবন ও সম্পদের একমাত্র মালিক আল্লাহ। এ দুটি জিনিস আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যয় করাই ইমানের অপরিহার্য দাবি এবং জান্নাত লাভের পূর্বশত। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, 'নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনের জীবন ও সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন'। (সূরা তাওবা-১১০)।

আমাদের জীবন-সম্পদ আল্লাহর কাছে উৎসর্গ করার প্রতিশ্রুতিই গ্রহণ করি পবিত্র কুরবানির মাধ্যমে। কুরবানি দেয়ার মধ্যে মৌলিক যে কথাটি আমরা বিশ্বাস করি তা হল- আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও মৃত্যু সারা জাহানের 'রব' আল্লাহর জন্য'। (সূরা আল আনআম-১৬২)।

কাজেই আমাদের জীবন ও সম্পদ একমাত্র আল্লাহর এবং তা আমাদের কাছে তার আমানত। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ও তার পছন্দনীয় পথে ব্যয় করাই একান্ত কর্তব্য। কুরবানি এই কর্তব্য পালনের অন্যতম সেরা মাধ্যম।

কুরবানী করা সত্ত্বেও আমরা অনেকেই আছি যারা:
রাস্তার পাশে, রেললাইনের ধারে অনাহারে-অর্ধাহারে পড়ে থাকা মানুষগুলোর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই না, টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে ব্যর্থ প্রতিবেশী রোগাক্রান্ত মানুষটির দুর্দশা লাঘবে অর্থ ব্যয় করি না। নিজের পাশের বাড়ির এতিম- অসহায় শিশুদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কুন্ঠাবোধ করি। আমানত এবং ওয়াদা রক্ষা করিনা। অহরহ এবং প্রতিনিয়তই মিথ্যা কথা বলেই যাচ্ছি। লোভ-লালসা, অতিভোগ, অর্থ, দূর্নীতি, সম্পদ আর আভিজাত্য অর্জনের পেছনে লাগামহীন এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বিরামহীন ছুটে মনুষ্যত্বের মহত্তম গুন থেকে পশুর চেয়েও অধম অবস্থানে নেমে এসেছি।

আমাদের সমাজে এখনো সত্যিকারের সাম্য, ভ্রাতৃত্ব এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার প্রকৃত কারণ হচ্ছে আমরা পশু কুরবানি দিলেও আমাদের মনের ভেতরে লুকায়িত উপরিউক্ত কু- প্রবৃত্তি বিসর্জন দিতে পারিনি। আমাদের ভেতর লুকিয়ে থাকা শয়তানরূপী পশুটাই সত্য ও সুন্দরের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এই পশুত্বই আমাদের মনের সকল মানবিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিচ্ছে।

পবিত্র ঈদুল আজহায় প্রতি বছর কুরবানি আসে, কুরবানি যায়, আল্লাহর নামে লক্ষ লক্ষ পশু জবাই হয়, কয়েক দিন আনন্দ করে অতঃপর সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায়। কিন্তু আমাদের সমাজে কোনো পরিবর্তন আসে না, ন্যায়বিচার আজও নির্বাসিত। পশু কুরবানির পাশাপাশি আমাদের ভিতরের পাশবিকতা, নির্মমতা কি বিসর্জন করতে পেরেছি? সম্ভবত পারিনি- যার জন্য পৃথিবীতে অন্যায়-অত্যাচার, মারামারি, হানা-হানি, হিংসা-বিদ্বেষ, খুন-রাহাজানিসহ দিনদিন অনেক অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। তাই পশু কুরবানির পাশাপাশি মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করার মধ্য দিয়ে সকল অশুভ শক্তি দমন করতে হবে।

অনেকেই বাহ্বা পাওয়ার জন্য ও আলোচিত ব্যক্তিত্ব হওয়ার লক্ষ্যে লক্ষাধিক টাকার গরু বা উট কিনে গলায় মালা পরিয়ে, মাথায় লাল ফিতা বেঁধে পথে পথে ঘোরান। এটা যেমন ঠিক নয়, তেমনি কোনো ধনাঢ্য ব্যক্তির জন্য জীর্ণশীর্ণ কম দামি পশু কোরবানিও অনুচিত। আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে যে, 'কুরবানি না দিতে পারলে লজ্জার ও কূরবানি দেওয়া গর্ব ও অহংকারের- আসলে দুটির কোনটিই সত্য নয়।

ঈদ-উল-আজহায় কোরবানির পশু জবাই দেয়া ওয়াজিব। যার সামর্থ্য আছে সে কুরবানি দিবে, যার সামর্থ্য নেই তার জন্য বাধ্যবাধকতা নেই। সে ঈদের অন্যান্য নিয়মকানুন মেনে চলবে। দেখা গেছে কিছু মানুষ কুরবানীর ওয়াজিব বিধান পালন করতে গিয়ে আসল ফরজ বিধানের প্রতি বে-খবর। নামাজের খবর নেই গরু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। এ ফরজ নামাজ মিস হলে লক্ষ ওয়াজিব দিয়ে পূরণ করা আধৌ কি সম্ভব?

আল্লাহ পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, কোরবানির পশুর মাংস, রক্ত কিছুই আল্লাহর দরবারে পৌঁছে না; পৌঁছে একমাত্র তাকওয়া। আর এই তাকওয়ার উপস্থিতি না থাকলে পশু কুরবানির কোনো সার্থকতা নেই। এজন্য নিষ্পাপ পশুর গলায় ছুরি চালানোর আগে নিজের মনের পশুটাকে কোরবানি দিতে হবে। বছরের পর বছর ধরে মনের কোণে ঘাপটি মেরে থাকা অসভ্য পশুটি জবাই না দিতে পারলে গতানুগতিক পশু কোরবানিতে কোনোই ফায়দা নেই।

পশু কুরবানীর পাশাপাশি ক্রোধ, হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা, শত্রুতা ইত্যাদি দমনের মাধ্যমে তাকওয়া, আত্মমর্যাদা, মমতা-ভালোবাসা, ত্যাগের মানসিকতা ও মূল্যবোধ অর্জন করতে হবে। তাই শুধু পশু নয় মনের পশুত্বকে বিসর্জন দিয়ে সকল মানবিক মূল্যবোধ অর্জনের মাধ্যমে আত্নার পরিশুদ্ধির মধ্য দিয়ে সমাজে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দেওয়াই হোক কুরবানীর প্রকৃত শিক্ষা।

লেখক- ইঞ্জিনিয়ার ফকর উদ্দিন মানিক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
সভাপতি - সিএসই এলামনাই এসোসিয়েশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল।
/এএজেড

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে সাতটি অস্ত্রবাহী সামরিক বিমান পাকিস্তানে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস সি-১৩০ কার্গো বিমান করাচিতে অবতরণ করে, যাতে নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ছিল। এ ঘটনাকে তুরস্কের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জন্য বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

শুধু একটি বিমানই নয়, ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতেও তুরস্কের আরও ছয়টি কার্গো বিমান অবতরণ করেছে, যেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে নিশ্চিত করেছে তুর্কি ও পাকিস্তানি সূত্র।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিশ্লেষণ করে বলছে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এই পদক্ষেপ এসেছে।

তুরস্কের পাশাপাশি পাকিস্তান চীনের সঙ্গেও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীন প্রায় ৪০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি অস্ত্র গেছে পাকিস্তানে।

এদিকে, ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী শিখরা। খালিস্তানি নেতা গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধ বাধলে দুই কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে এবং ভারতীয় সেনাদের পাঞ্জাব পার হতে দেওয়া হবে না। পান্নু আরও দাবি করেন, ভারতের বিজেপি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে এবং হিন্দুদের হত্যা করে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চাইছে।

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সতর্ক করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি তাদেরও হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি