শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পবিত্র কোরবানি হোক আত্নার পরিশুদ্ধি

মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় আনন্দের ও ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর, প্রভুভক্তির পরম ভক্তি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম পবিত্র কোরবানি। শুধু দৃশ্যমান পশু নয়, বরং এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি অর্জনই মুমিনের আসল লক্ষ্য। যার সূচনা হয় প্রথম মানব-মানবীর প্রিয় পুত্রদ্বয় হাবিল-কাবিলের হাত ধরে। আর পূর্ণতা পায় জাতির পিতা হয়রত ইব্রাহিম(আঃ) ও তার পুত্র ইসমাইল (আঃ)-এর ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত ঘটনার মধ্য দিয়ে 'জান্নাতি দুম্বা কুরবানির মাধ্যমে'।

পশু নয়, পশুত্ব দমন কুরবানির মূল লক্ষ্য। স্রষ্টার প্রেমে বিলীন হওয়ার এটা অন্যতম মোক্ষম মুহূর্ত। বরাবরের মতোই কুরবানি নামক এ মহান পরীক্ষা আমাদের সামনে। এ পরীক্ষার কেন্দ্র হৃদয়ের ছোট্ট কুটিরে ও তার সাবজেক্টের নাম তাকওয়া।

আল্লাহ তা'য়ালা বলেন- 'ঐ সমস্ত পশুর রক্ত, গোশত আমার কাছে কিছুই পৌঁছে না, বরং পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া'। (সূরা হজ-৩৭)। এ আয়াত থেকে সুস্পষ্ট, আমাদের খোদাভীরুতা ও তাকওয়া অর্জনই কুরবানি কবুলের পূর্বশর্ত। পশুটির গঠন ও দাম কোনটাই আল্লাহর কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। বরং বিবেচ্য বিষয় কু-প্রবৃত্তি পরিশুদ্ধকরণের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন।

পশুর রক্ত প্রবাহিত হওয়ার আগেই আল্লাহর কাছে পৌছে আমাদের তাকওয়া তাই আত্নার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনই হোক কুরবানী মূল লক্ষ্য। কুরবানি করা মাংস তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজের জন্য রেখে বাকি ২ ভাই আত্নীয় ও গরীবদের মাঝে বন্টন করার মানেই হলো ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ- যা কোরবানির অন্যতম শিক্ষা।

আমাদের জীবন ও সম্পদের একমাত্র মালিক আল্লাহ। এ দুটি জিনিস আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যয় করাই ইমানের অপরিহার্য দাবি এবং জান্নাত লাভের পূর্বশত। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, 'নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনের জীবন ও সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন'। (সূরা তাওবা-১১০)।

আমাদের জীবন-সম্পদ আল্লাহর কাছে উৎসর্গ করার প্রতিশ্রুতিই গ্রহণ করি পবিত্র কুরবানির মাধ্যমে। কুরবানি দেয়ার মধ্যে মৌলিক যে কথাটি আমরা বিশ্বাস করি তা হল- আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও মৃত্যু সারা জাহানের 'রব' আল্লাহর জন্য'। (সূরা আল আনআম-১৬২)।

কাজেই আমাদের জীবন ও সম্পদ একমাত্র আল্লাহর এবং তা আমাদের কাছে তার আমানত। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ও তার পছন্দনীয় পথে ব্যয় করাই একান্ত কর্তব্য। কুরবানি এই কর্তব্য পালনের অন্যতম সেরা মাধ্যম।

কুরবানী করা সত্ত্বেও আমরা অনেকেই আছি যারা:
রাস্তার পাশে, রেললাইনের ধারে অনাহারে-অর্ধাহারে পড়ে থাকা মানুষগুলোর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই না, টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে ব্যর্থ প্রতিবেশী রোগাক্রান্ত মানুষটির দুর্দশা লাঘবে অর্থ ব্যয় করি না। নিজের পাশের বাড়ির এতিম- অসহায় শিশুদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কুন্ঠাবোধ করি। আমানত এবং ওয়াদা রক্ষা করিনা। অহরহ এবং প্রতিনিয়তই মিথ্যা কথা বলেই যাচ্ছি। লোভ-লালসা, অতিভোগ, অর্থ, দূর্নীতি, সম্পদ আর আভিজাত্য অর্জনের পেছনে লাগামহীন এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বিরামহীন ছুটে মনুষ্যত্বের মহত্তম গুন থেকে পশুর চেয়েও অধম অবস্থানে নেমে এসেছি।

আমাদের সমাজে এখনো সত্যিকারের সাম্য, ভ্রাতৃত্ব এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার প্রকৃত কারণ হচ্ছে আমরা পশু কুরবানি দিলেও আমাদের মনের ভেতরে লুকায়িত উপরিউক্ত কু- প্রবৃত্তি বিসর্জন দিতে পারিনি। আমাদের ভেতর লুকিয়ে থাকা শয়তানরূপী পশুটাই সত্য ও সুন্দরের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এই পশুত্বই আমাদের মনের সকল মানবিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিচ্ছে।

পবিত্র ঈদুল আজহায় প্রতি বছর কুরবানি আসে, কুরবানি যায়, আল্লাহর নামে লক্ষ লক্ষ পশু জবাই হয়, কয়েক দিন আনন্দ করে অতঃপর সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায়। কিন্তু আমাদের সমাজে কোনো পরিবর্তন আসে না, ন্যায়বিচার আজও নির্বাসিত। পশু কুরবানির পাশাপাশি আমাদের ভিতরের পাশবিকতা, নির্মমতা কি বিসর্জন করতে পেরেছি? সম্ভবত পারিনি- যার জন্য পৃথিবীতে অন্যায়-অত্যাচার, মারামারি, হানা-হানি, হিংসা-বিদ্বেষ, খুন-রাহাজানিসহ দিনদিন অনেক অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। তাই পশু কুরবানির পাশাপাশি মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করার মধ্য দিয়ে সকল অশুভ শক্তি দমন করতে হবে।

অনেকেই বাহ্বা পাওয়ার জন্য ও আলোচিত ব্যক্তিত্ব হওয়ার লক্ষ্যে লক্ষাধিক টাকার গরু বা উট কিনে গলায় মালা পরিয়ে, মাথায় লাল ফিতা বেঁধে পথে পথে ঘোরান। এটা যেমন ঠিক নয়, তেমনি কোনো ধনাঢ্য ব্যক্তির জন্য জীর্ণশীর্ণ কম দামি পশু কোরবানিও অনুচিত। আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে যে, 'কুরবানি না দিতে পারলে লজ্জার ও কূরবানি দেওয়া গর্ব ও অহংকারের- আসলে দুটির কোনটিই সত্য নয়।

ঈদ-উল-আজহায় কোরবানির পশু জবাই দেয়া ওয়াজিব। যার সামর্থ্য আছে সে কুরবানি দিবে, যার সামর্থ্য নেই তার জন্য বাধ্যবাধকতা নেই। সে ঈদের অন্যান্য নিয়মকানুন মেনে চলবে। দেখা গেছে কিছু মানুষ কুরবানীর ওয়াজিব বিধান পালন করতে গিয়ে আসল ফরজ বিধানের প্রতি বে-খবর। নামাজের খবর নেই গরু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। এ ফরজ নামাজ মিস হলে লক্ষ ওয়াজিব দিয়ে পূরণ করা আধৌ কি সম্ভব?

আল্লাহ পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, কোরবানির পশুর মাংস, রক্ত কিছুই আল্লাহর দরবারে পৌঁছে না; পৌঁছে একমাত্র তাকওয়া। আর এই তাকওয়ার উপস্থিতি না থাকলে পশু কুরবানির কোনো সার্থকতা নেই। এজন্য নিষ্পাপ পশুর গলায় ছুরি চালানোর আগে নিজের মনের পশুটাকে কোরবানি দিতে হবে। বছরের পর বছর ধরে মনের কোণে ঘাপটি মেরে থাকা অসভ্য পশুটি জবাই না দিতে পারলে গতানুগতিক পশু কোরবানিতে কোনোই ফায়দা নেই।

পশু কুরবানীর পাশাপাশি ক্রোধ, হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা, শত্রুতা ইত্যাদি দমনের মাধ্যমে তাকওয়া, আত্মমর্যাদা, মমতা-ভালোবাসা, ত্যাগের মানসিকতা ও মূল্যবোধ অর্জন করতে হবে। তাই শুধু পশু নয় মনের পশুত্বকে বিসর্জন দিয়ে সকল মানবিক মূল্যবোধ অর্জনের মাধ্যমে আত্নার পরিশুদ্ধির মধ্য দিয়ে সমাজে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দেওয়াই হোক কুরবানীর প্রকৃত শিক্ষা।

লেখক- ইঞ্জিনিয়ার ফকর উদ্দিন মানিক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
সভাপতি - সিএসই এলামনাই এসোসিয়েশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল।
/এএজেড

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত