বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পবিত্র কোরবানি হোক আত্নার পরিশুদ্ধি

মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় আনন্দের ও ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর, প্রভুভক্তির পরম ভক্তি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম পবিত্র কোরবানি। শুধু দৃশ্যমান পশু নয়, বরং এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি অর্জনই মুমিনের আসল লক্ষ্য। যার সূচনা হয় প্রথম মানব-মানবীর প্রিয় পুত্রদ্বয় হাবিল-কাবিলের হাত ধরে। আর পূর্ণতা পায় জাতির পিতা হয়রত ইব্রাহিম(আঃ) ও তার পুত্র ইসমাইল (আঃ)-এর ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত ঘটনার মধ্য দিয়ে 'জান্নাতি দুম্বা কুরবানির মাধ্যমে'।

পশু নয়, পশুত্ব দমন কুরবানির মূল লক্ষ্য। স্রষ্টার প্রেমে বিলীন হওয়ার এটা অন্যতম মোক্ষম মুহূর্ত। বরাবরের মতোই কুরবানি নামক এ মহান পরীক্ষা আমাদের সামনে। এ পরীক্ষার কেন্দ্র হৃদয়ের ছোট্ট কুটিরে ও তার সাবজেক্টের নাম তাকওয়া।

আল্লাহ তা'য়ালা বলেন- 'ঐ সমস্ত পশুর রক্ত, গোশত আমার কাছে কিছুই পৌঁছে না, বরং পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া'। (সূরা হজ-৩৭)। এ আয়াত থেকে সুস্পষ্ট, আমাদের খোদাভীরুতা ও তাকওয়া অর্জনই কুরবানি কবুলের পূর্বশর্ত। পশুটির গঠন ও দাম কোনটাই আল্লাহর কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। বরং বিবেচ্য বিষয় কু-প্রবৃত্তি পরিশুদ্ধকরণের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন।

পশুর রক্ত প্রবাহিত হওয়ার আগেই আল্লাহর কাছে পৌছে আমাদের তাকওয়া তাই আত্নার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনই হোক কুরবানী মূল লক্ষ্য। কুরবানি করা মাংস তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজের জন্য রেখে বাকি ২ ভাই আত্নীয় ও গরীবদের মাঝে বন্টন করার মানেই হলো ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ- যা কোরবানির অন্যতম শিক্ষা।

আমাদের জীবন ও সম্পদের একমাত্র মালিক আল্লাহ। এ দুটি জিনিস আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যয় করাই ইমানের অপরিহার্য দাবি এবং জান্নাত লাভের পূর্বশত। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, 'নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনের জীবন ও সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন'। (সূরা তাওবা-১১০)।

আমাদের জীবন-সম্পদ আল্লাহর কাছে উৎসর্গ করার প্রতিশ্রুতিই গ্রহণ করি পবিত্র কুরবানির মাধ্যমে। কুরবানি দেয়ার মধ্যে মৌলিক যে কথাটি আমরা বিশ্বাস করি তা হল- আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও মৃত্যু সারা জাহানের 'রব' আল্লাহর জন্য'। (সূরা আল আনআম-১৬২)।

কাজেই আমাদের জীবন ও সম্পদ একমাত্র আল্লাহর এবং তা আমাদের কাছে তার আমানত। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ও তার পছন্দনীয় পথে ব্যয় করাই একান্ত কর্তব্য। কুরবানি এই কর্তব্য পালনের অন্যতম সেরা মাধ্যম।

কুরবানী করা সত্ত্বেও আমরা অনেকেই আছি যারা:
রাস্তার পাশে, রেললাইনের ধারে অনাহারে-অর্ধাহারে পড়ে থাকা মানুষগুলোর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই না, টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে ব্যর্থ প্রতিবেশী রোগাক্রান্ত মানুষটির দুর্দশা লাঘবে অর্থ ব্যয় করি না। নিজের পাশের বাড়ির এতিম- অসহায় শিশুদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কুন্ঠাবোধ করি। আমানত এবং ওয়াদা রক্ষা করিনা। অহরহ এবং প্রতিনিয়তই মিথ্যা কথা বলেই যাচ্ছি। লোভ-লালসা, অতিভোগ, অর্থ, দূর্নীতি, সম্পদ আর আভিজাত্য অর্জনের পেছনে লাগামহীন এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বিরামহীন ছুটে মনুষ্যত্বের মহত্তম গুন থেকে পশুর চেয়েও অধম অবস্থানে নেমে এসেছি।

আমাদের সমাজে এখনো সত্যিকারের সাম্য, ভ্রাতৃত্ব এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার প্রকৃত কারণ হচ্ছে আমরা পশু কুরবানি দিলেও আমাদের মনের ভেতরে লুকায়িত উপরিউক্ত কু- প্রবৃত্তি বিসর্জন দিতে পারিনি। আমাদের ভেতর লুকিয়ে থাকা শয়তানরূপী পশুটাই সত্য ও সুন্দরের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এই পশুত্বই আমাদের মনের সকল মানবিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিচ্ছে।

পবিত্র ঈদুল আজহায় প্রতি বছর কুরবানি আসে, কুরবানি যায়, আল্লাহর নামে লক্ষ লক্ষ পশু জবাই হয়, কয়েক দিন আনন্দ করে অতঃপর সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায়। কিন্তু আমাদের সমাজে কোনো পরিবর্তন আসে না, ন্যায়বিচার আজও নির্বাসিত। পশু কুরবানির পাশাপাশি আমাদের ভিতরের পাশবিকতা, নির্মমতা কি বিসর্জন করতে পেরেছি? সম্ভবত পারিনি- যার জন্য পৃথিবীতে অন্যায়-অত্যাচার, মারামারি, হানা-হানি, হিংসা-বিদ্বেষ, খুন-রাহাজানিসহ দিনদিন অনেক অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। তাই পশু কুরবানির পাশাপাশি মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করার মধ্য দিয়ে সকল অশুভ শক্তি দমন করতে হবে।

অনেকেই বাহ্বা পাওয়ার জন্য ও আলোচিত ব্যক্তিত্ব হওয়ার লক্ষ্যে লক্ষাধিক টাকার গরু বা উট কিনে গলায় মালা পরিয়ে, মাথায় লাল ফিতা বেঁধে পথে পথে ঘোরান। এটা যেমন ঠিক নয়, তেমনি কোনো ধনাঢ্য ব্যক্তির জন্য জীর্ণশীর্ণ কম দামি পশু কোরবানিও অনুচিত। আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে যে, 'কুরবানি না দিতে পারলে লজ্জার ও কূরবানি দেওয়া গর্ব ও অহংকারের- আসলে দুটির কোনটিই সত্য নয়।

ঈদ-উল-আজহায় কোরবানির পশু জবাই দেয়া ওয়াজিব। যার সামর্থ্য আছে সে কুরবানি দিবে, যার সামর্থ্য নেই তার জন্য বাধ্যবাধকতা নেই। সে ঈদের অন্যান্য নিয়মকানুন মেনে চলবে। দেখা গেছে কিছু মানুষ কুরবানীর ওয়াজিব বিধান পালন করতে গিয়ে আসল ফরজ বিধানের প্রতি বে-খবর। নামাজের খবর নেই গরু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। এ ফরজ নামাজ মিস হলে লক্ষ ওয়াজিব দিয়ে পূরণ করা আধৌ কি সম্ভব?

আল্লাহ পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, কোরবানির পশুর মাংস, রক্ত কিছুই আল্লাহর দরবারে পৌঁছে না; পৌঁছে একমাত্র তাকওয়া। আর এই তাকওয়ার উপস্থিতি না থাকলে পশু কুরবানির কোনো সার্থকতা নেই। এজন্য নিষ্পাপ পশুর গলায় ছুরি চালানোর আগে নিজের মনের পশুটাকে কোরবানি দিতে হবে। বছরের পর বছর ধরে মনের কোণে ঘাপটি মেরে থাকা অসভ্য পশুটি জবাই না দিতে পারলে গতানুগতিক পশু কোরবানিতে কোনোই ফায়দা নেই।

পশু কুরবানীর পাশাপাশি ক্রোধ, হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা, শত্রুতা ইত্যাদি দমনের মাধ্যমে তাকওয়া, আত্মমর্যাদা, মমতা-ভালোবাসা, ত্যাগের মানসিকতা ও মূল্যবোধ অর্জন করতে হবে। তাই শুধু পশু নয় মনের পশুত্বকে বিসর্জন দিয়ে সকল মানবিক মূল্যবোধ অর্জনের মাধ্যমে আত্নার পরিশুদ্ধির মধ্য দিয়ে সমাজে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দেওয়াই হোক কুরবানীর প্রকৃত শিক্ষা।

লেখক- ইঞ্জিনিয়ার ফকর উদ্দিন মানিক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
সভাপতি - সিএসই এলামনাই এসোসিয়েশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল।
/এএজেড

Header Ad
Header Ad

নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। ছবি: সংগৃহীত

৯৮টি ব্যাংক হিসেবে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ৬ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

এজাহারে বলা হয়, নসরুল হামিদ ২০০৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিজ নামে ৯৮টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩ হাজার ৫৮ কোটি টাকা জমা এবং ৩ হাজার ১৮০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন।

এ ছাড়া আয়কর নথি অনুযায়ী নসরুল হামিদের পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় মোট ১১ কোটি ৭২ লাখ ৬৭ হাজার ২৪০ টাকা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অতিরিক্ত সম্পদের পরিমাণ পাওয়া গেছে, যা তাঁর আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ও দুদকের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এর আগে গত অক্টোবরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ ৩ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান দল।

সেসময় সংস্থাটি জানায়, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের মাধ্যমে সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। শত কোটি টাকার দুর্নীতি ও অর্থপাচারের প্রমাণও পাওয়া যায় তাঁর বিরুদ্ধে। প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর সম্পদ বেড়েছে প্রায় আড়াইগুণ।

Header Ad
Header Ad

ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই তংগোঝিরি পূর্ব-বেতছড়া এলাকার ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের পূর্ব বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দা স্টিফেন ত্রিপুরা (৫০), মইশৈ ম্যা ত্রিপুরা (৪৮), তংগোঝিরি পাড়ায় বাসিন্দা জোয়াতিং ত্রিপুরা (৫২) ও মো. ইব্রাহিম (৬৫)।

এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে তংগোঝিরি পূর্ব-বেতছড়া এলাকার ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৬টি পরিবারের ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। পাড়ায় গির্জা না থাকায় বড়দিন উদযাপনের জন্য তংগোঝিরি নামের আরেকটি পাড়ার গির্জায় গিয়েছিলো পাড়ার লোকজন। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাড়াবাসীর। অগ্নিকাণ্ডের পর বুধবার বিকেলে লামা থানায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন গঙ্গা মনি ত্রিপুরা নামে এক ব্যক্তি। মামলা পরে অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

গণভবন আর আদালতের মত সচিবালয় কেমন করে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতার খুব ভালো করেই জানা আছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পরে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র হয়েছে। িপ্রথমে জুডিসিয়াল ক্যুর চেষ্টা করা হলো। ছাত্ররা মাঠে নেমে সেটা রুখে দিলো। লীগ যখন আনসার হয়ে ফিরে আসছিলো, এই ছাত্ররাই তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি মাঠে নেমেছে। এনসিটিবিতে বই না ছাপিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র হলো, সেটাও ছাত্ররা প্রতিহত করলো।

তিনি লেখেন, এখন যখন স্বৈরাচার হাসিনাকে সার্ভ করা দালাল মিডিয়া, সময় টিভির ক্যু রুখে দেয়ার জন্য ছাত্ররা এগিয়ে আসলো, তখনই চারদিকে শুরু হলো সুশীলদের আহাজারি । আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বাস্তবতাবিবর্জিত মিথ্যা ছড়ানো হলো। আমরা বারবার বলেছি যে আমরা কোন সাংবাদিকদের লিস্ট দেইনি। অথচ এরপরেও পুরোপুরি বানোয়াট অভিযোগ তুলে আমাদের বিরুদ্ধে মিডিয়ার মাফিয়ারা ক্যু করলো। যে সময় টিভি যুগের পর যুগ বিএনপি, জামায়াত সহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী দলগুলোর ক্যারেকটার এসাসিনেশন করেছে, শহীদ আলিফকে হিন্দু ট্যাগ দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করেছে, জুলাই আন্দোলনকে টেরোরিস্টদের উত্থাণ বানিয়ে হাসিনার ছাত্র হত্যাকে নর্মালাইজ করেছে , ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা অভিযোগ করে ইমেজ নষ্ট করেছে, এমনকি বিএনপির প্রতিষ্ঠাকে ডিলেজিটিমাইজ করার এটেম্প্ট পর্যন্ত নিয়েছে, আজকে তাদের জন্য সুশীলদের মায়া কান্নার শেষ নেই। প্রতিবাদ করতে যাওয়া ছাত্ররা আমরা হলাম খারাপ, আর এদের কুকীর্তিকে সমর্থন দেওয়া সুশীলরা হয়ে গেল ভালো। এই সুশীলরাই কি গত ষোল বছর স্বৈরাচারের নুন-ঘি খেয়ে ফ্যাসিবাদকে পাকাপোক্ত করেনি? আমরা তো সেটার বিরুদ্ধেই কথা বলেছি।

হাসনাত আরও লেখেন, এখন ছাত্ররা দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসছে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা শেখ হাসিনার দোসরদের অপসারণ করে প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের দায়িত্ব দেয়ার জন্য। কিন্তু সুশীলগিরি দেখিয়ে সরকার সেটি না করার পরিণতি গতকাল রাতে আমরা পেলাম। সরকারের কাছে অনুরোধ সুশীলগিরি ছেড়ে দোসরদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আসেন। স্বৈরাচারের দোসরদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে বাঁচান। দেশের জনগণকে বাঁচান।

হাসনাত লেখেন এই সরকার দুই হাজার মানুষের লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতায় বসা সরকার। এই সরকার সুশীলতার মধ্যে দিয়ে আসেনি, এসেছে ২ হাজার শহীদ আর ৩০ হাজার আহত ভাই বোনের রক্তের উপর দিয়ে। সেই রক্তের সাথে আপোষ করার কোন সুযোগ নেই। আমরা শেখ হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছি একটা নতুন বাংলাদেশের জন্য, প্রশাসনলীগের হুমকি আর আগুন দেখার জন্য নয়। সরকারের কাছে অনুরোধ এদের হাত থেকে প্রশাসন মুক্ত করেন। যদি না করেন তবে গণভবন আর আদালতের মত সচিবালয় কেমন করে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতার খুব ভালো করেই জানা আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের
বিপিএলে সাকিব না থাকায় হতাশ সুজন
বুধবার রাতে আগুন লেগেছিল ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও
পূর্বাচলে হাসিনা পরিবারের প্লট নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু  
চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস, পরিবারে শোকের মাতম
বিডা’র আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ইলন মাস্ক
সচিবালয়ে আগুন: কারণ খুঁজতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
সরকার হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী
ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, একই পরিবারের ৪ জন নিহত
হাসিনার দালালেরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে: সারজিস
লামায় ত্রিপুরাদের পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা