রমজানের মাসআলা-৩২
ইতিকাফকারী মসজিদের ভেতরে যা করতে পারবেন এবং যা করতে পারবেন না
ইতিকাফ অবস্থায় ইতিকাফকারী ফরজ ইবাদাতের বাইরে কোনো নফল ইবাদাত না করলেও ইতিকাফের সওয়াব পাবেন। তবে অতিরিক্ত নফল ইবাদাত করলে আরও বেশি ফজিলতের অধিকারী হবেন। যেমন: কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা, নফল নামাজ পড়া, কাজা নামাজ আদায়, দোয়া দরূদ পাঠ করা, জিকির আজকার করা, তাসবীহ তাহলীল পাঠ করা।
এ ছাড়াও দীনী কথাবার্তা ও ধর্মীয় জ্ঞান চর্চা করাও সওয়াবের কাজ। যেমন: কুরআন হাদীস, ফিকাহ তাফসীর ইত্যাদি পাঠ করা ও তালীম করা। ইতিকাফ অবস্থায় এমন সব কথা বলা ও কাজ করা বৈধ যাতে কোনো গুনাহ নেই।
প্রয়োজনীয় সাংসারিক কথাবার্তা বলতেও নিষেধ নেই; তবে অযথা কথাবার্তা দ্বারা ইবাদাতের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। ইতিকাফকারী মসজিদের মধ্যে ইতিকাফরত অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবেন এবং মাথায়, দাঁড়িতে ও চুলে তেল লাগাতে পারবেন। মাথার চুলে ও দাঁড়িতে চিরুণী করতে পারবেন। চোখে সুরমা লাগাতেও পারবেন। (আল বাদায়ে ওয়াস সানায়ে)।
অধ্যক্ষ মুফতী মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী
যুগ্ম-মহাসচিব: বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি
সহকারী অধ্যাপক: আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সূফীজম
এসএন