শনিবার, ১১ মে ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

শাকিল ইসলাম এর কবিতা 'মাতৃদিবস বনাম বাবা'

ছোট গ্রামে আমার বাড়ি যেখানে,

চিকিৎসা - শিক্ষা স্বপ্ন মনে হয় সেখানে;

অনেক নারী সন্তানের জন্ম দিতে মৃত,

আমার মা'ও একজন তাদেরই মত।

মা আমাকে কোলেই নিতে পারেননি,

আমার ভাগ্যটাই হতচ্ছাড়া এমনি;

প্রথমে বাবাই আমাকে নিলেন কোলে,

একমাত্র পুরুষ সম্ভবত মায়ের বদলে।

আমি মেয়ে হয়ে জন্মেছিলাম তাই,

আমার আগমনে দুঃখ পেয়েছিল সবাই;

মা গত হয়েছেন আমার জন্মের পরেই,

মা কে খেয়ে ফেলেছি বলেন সহসাই।

বাবাকে বিয়ে করতে বলা হয়েছিল,

কিন্তু বাবা রাজী না হয়ে কেঁদেছিল;

ঠাকুরদা-ঠাকুরমা নানা যুক্তি ধরেছিল,

বংশধর হিসাবে নাতি পুত্র চেয়েছিল।

পারিবারিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত নয়,

ঠাকুরদা-ঠাকুরমা দেখিয়ে বাবাকে ভয়;

যদি তিনি না করেন বিয়ে পুররায়,

তবে যেন বাবা সংসারে ত্যায্য হয়।

বাবা দ্বিতীয়বার ভেবে দেখেননি প্রমি,

সাজনো ঘরবাড়ী, কয়েক একর জমি;

সুখী জীবনযাত্রা, অসংখ্য গবাদি পশু,

বুকে কষ্ট নিয়ে আমার জীবন অংশু।

শূন্য হাতে শুধু আমাকে কোলে নিয়ে,

বড় শহরে চলে এসেছিলেন বিনিময়ে;

শহুরে জীবন খুব কঠিন সময়-অসময়ে,

লালন করেছে মোরে অসীম যত্ন দিয়ে।

যদি ভালবাসা ও যত্ন মায়ের সমার্থক,

বাবার জন্যই তা উপযুক্ত পরিপূরক;

যদি মায়ের সংজ্ঞা হয় সহমর্মিতা,

তবে বাবা জন্যও সেটাই সার্থকতা।

যদি মায়ের সংজ্ঞা হয় আত্মত্যাগ,

আমার বাবার ক্ষেত্রেও সেটাই আবেগ;

এক কথায় বলতে গেলে যদি বুঝি মা,

আমার বাবাই জগতের শ্ৰেষ্ঠতম মা।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোক কেড়ে নিল ৬১ প্রাণ

ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডে তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহে ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

শুক্রবার (১০ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোয় বৃষ্টিপাত এবং তাপমাত্রা কমে যাওয়া সত্ত্বেও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি অব্যাহত রয়েছে। গত বছর হিট স্ট্রোকে মারা যায় ৩৭ জন। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসেই থাইল্যান্ডে প্রায় দ্বিগুণে পৌঁছেছে হিট স্ট্রোকে মৃতের সংখ্যা। নিহতদের বেশিরভাগই মধ্যবয়সী বা বয়স্ক পুরুষ, যাদের মধ্যে অনেকেই কৃষি শ্রমিক বা নির্মাণ খাতের শ্রমিক।

এপ্রিলের বেশিরভাগ সময় এবং মে মাসের দেশটিতে উচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেছে। বিশেষ করে লাম্পাং প্রদেশে তাপমাত্রা ৪৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এছাড়াও ব্যাংককে কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে পৌঁছেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলে। ওই অঞ্চলটি কৃষিপ্রধান এলাকা। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, চলতি বছর থাইল্যান্ডে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দেরিতে বর্ষা আসবে। তবে সামনে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশটির সরকারি সংস্থা থাইল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব ডিজিজ কন্ট্রোলের উপপ্রধান আপিচার্ত ভাচিরাফান জানান, এল নিনো আবহাওয়া প্যাটার্ন এবং জলবায়ু পরির্তনের জেরে চলতি বছর টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে থাইল্যান্ডের ওপর দিয়ে। গরম ও গরমজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি থেকে বাঁচতে দেশবাসীকে যতখানি সম্ভব বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

যাত্রী উধাও, ভাড়া না পেয়ে জ্ঞান হারালেন রিকশাচালক

ছবি: সংগৃহীত

ধোলাইখাল থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত ভাড়া ঠিক হয় ২৫০ টাকা। শরীরের সব শক্তি দিয়ে প্যাডেল চেপে চেপে দুই ঘণ্টা পর যাত্রীসহ কারওয়ান বাজার পৌঁছান শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী রিকশাচালক ইবাদুল ইসলাম (৩৫)।

কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে রিকশা থামাতেই, মুহূর্তেই নেমে দ্রুত রাস্তার অপর পাশে চলে যান আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী ওই যাত্রী। আর তখনই রিকশা থেকে নামার কিছুক্ষণের মধ্যে জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান ইবাদুল।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কারওয়ান বাজার এলাকায় ওয়াসা ভবনের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন একজন গনমাধ্যমকর্মী। ওই রিকশাচালককে তিনি রাস্তায় পড়ে যেতে দেখেন।

কাছে গিয়ে দেখেন, রাস্তায় পড়ে থাকা লোকটিকে ঘিরে আছেন বেশ কয়েকজন পথচারী। কেউ বাতাস করছেন, কেউ পানি ছিটিয়ে দিচ্ছেন।

প্রায় ১০ মিনিট পর জ্ঞান ফেরে অচেতন মানুষটির। লোকজন ধরাধরি করে তাকে রিকশার ওপর বসায়।

তিনি তখন জানান, তার নাম ইবাদুল, থাকেন যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি রিকশা গ্যারেজে, গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর।

কী হয়েছিল জানতে চাইলে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন ইবাদুল। বলেন, 'ধোলাইখাল এলাকা থেকে একটি ছেলে কারওয়ান বাজার আসবে, ২৫০ টাকা রিকশা ভাড়া করে। কারওয়ান বাজার এসে রিকশা থামাই। হঠাৎ সে ভাড়া না দিয়ে দৌড়ে মেইন রোড পার হয়ে ওপাশে চলে যায়।'

ইবাদুল বলেন, 'আমি তার পিছু নিতে দৌড় দেই। কিন্তু আমার বাম পায়ে ছোটবেলা থেকে সমস্যা, জোর কম। দুই পা যেতেই পড়ে যাই। তারপর মনে নাই।'

এই রিকশাচালক জানান, পাঁচ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। আগে ইঞ্জিনচালিত রিকশা চালালেও, এখন পুলিশের বাধায় তা পারেন না। পায়ে চালানো রিকশা নিয়ে বের হন প্রতিদিন। জানালেন, গ্যারেজে রিকশার জমা ও অন্যান্য খরচ বাবদ তাকে প্রতিদিন দিতে হয় ১০০ টাকা।

আজ দুই ঘণ্টা রিকশা চালিয়ে এতদূর আসার পর ২৫০ টাকা ভাড়া না পেয়ে এবং নিজেদের শারীরিক দুর্বলতার জন্য চম্পট দেওয়া যাত্রীকে ধরতে না পারায়, কষ্টের তীব্রতায় অচেতন হয়ে পড়েন তিনি।

শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় বড় তহবিল পাচ্ছে আইসিবি

ছবি: সংগৃহীত

শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল পেতে যাচ্ছে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। স্টেকহোল্ডাররা মনে করছে, এতে শেয়ারবাজারের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

জানা গেছে, ২০১০ সালের ভয়াবহ ধসের পর এখনো স্বাভাবিক হয়নি দেশের শেয়ারবাজার। মাঝেমধ্যে কিছু শেয়ারের দর সাময়িকভাবে বাড়লেও বেশিরভাগ সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারী। দর পতন শুরু হলে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয় বিএসইসি। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। সর্বশেষ হস্তক্ষেপেও কাজ হয়নি; দর পতন চলছেই। বাজারে গতি ফেরাতে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা বাজারে তারল্য সরবরাহের পরামর্শ দেয়। এ সময় আইসিবির কাছেও বাজারে গতি আনতে সহায়তা চেয়েছে বিএসইসি। কারণ আগে দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের সহায়তা করে আসছিল আইসিবি।

আইসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মুহূর্তে বড় ধরনের বিনিয়োগ সহায়তা দেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য সংস্থাটির নেই। তবে অর্থসংস্থানের নানা চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন সময়ে বাজারে সহায়তা করতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে উচ্চ সুদে মেয়াদি আমানত নিয়েছে। পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকট থেকে গতি ফেরাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং এবং মেয়াদি ঋণ পরিশোধ করতে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল চায় আইসিবি। কমিশনের পরামর্শে ইতোমধ্যে এ তহবিলের জন্য কাজ শুরু করেছে আইসিবি। শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ ছাড় করবে।

এ বিষয়ে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান ড. সুবর্ণ বড়ুয়া বলেন, দেশের শেয়ারবাজারে যে কোনো সংকটে আইসিবি সহায়তা করে আসছে। বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে মেয়াদি ঋণ নিয়েই সহায়তা করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের জন্য সরকারের কাছ থেকে তহবিল সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে আমরা খুবই আশাবাদী।

তিনি বলেন, তহবিলের একটি অংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। কিছু টাকা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর উচ্চমূল্যের মেয়াদি ঋণ পরিশোধ করা হবে। আশা করি, দ্রুততম সময়ে আমরা এ ঋণ পাব। এটি পেলে বাজারে বড় ধরনের সাপোর্ট দেওয়া যাবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর তহবিলের টাকা ছাড় করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। শেয়ারবাজারের জন্য খুবই ইতিবাচক হবে।

অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এ ধরনের তহবিল পুঁজিবাজারে গতি আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তবে এটি দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোক কেড়ে নিল ৬১ প্রাণ
যাত্রী উধাও, ভাড়া না পেয়ে জ্ঞান হারালেন রিকশাচালক
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় বড় তহবিল পাচ্ছে আইসিবি
নওগাঁয় ভুট্টাক্ষেতে পড়েছিল কৃষকের মরদেহ
৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর এখনো ভিসা হয়নি
ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় গাজায় ৫০০ মসজিদ ধ্বংস, নিহত শতাধিক ইমাম
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ
নেইমার-ক্যাসেমিরোকে বাদ দিয়েই ব্রাজিলের কোপা আমেরিকার দল
আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ৬০ জনের প্রাণহানি
বৃষ্টি ভেজা স্নিগ্ধ বৈশাখের সকালের দেখা পেল রাজধানীবাসী
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারাল আয়ারল্যান্ড
বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, দুদিন পর মরদেহ ফেরত
সব সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যান্টিন ও ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস
আইপিএলের ইতিহাসে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করলেন গিল
হোয়াইটওয়াশের পথে জিম্বাবুয়ে, চতুর্থ ম্যাচেও জিতল বাংলাদেশ
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সাবেক স্ত্রী নাসিম পারভীনের লাশ উদ্ধার
পানি শুন্য ছোটযমুনা নদীর বুকে ধান চাষ!
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্জনে অর্জন দেখছে বিএনপি
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষা করুন, বললেন পলক