সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভিলেজ পলিটিক্স সমাজের বিষফোঁড়া

বর্তমান সময়ে রাজনীতির সর্বনিম্ন প্ল্যাটফর্ম হলে গ্রাম্য রাজনীতি। যেখানে গ্রামের সাধারণ থেকে অতি সাধারণ মানুষ কৃষক, শ্রমিক, মজুর রাজনৈতিক পরিচয় দানে উদ্যোমী হচ্ছে। এই সাধারণ মানুষগুলো বুঝেনা রাজনীতির ইতিবৃত্ত, জানেনা কলা কৌশল তথাপি দেশ ও স্বাধীনতার মায়ায় রাজনৈতিক দল গুলোকে শক্তিশালী করে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে দিতে নিজেকে উৎসর্গ করতে চায়। বহুলাংশে তারা সরাসরি দেখেনা তাদের দলনেতাকে তবুও দল ও নেতার মায়ায় সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়। সাধারণ মানুষগুলো কতইনা কোমল হৃদয়ের, বন্ধু ভাবাপন্ন, যাদের রয়েছে শস্য ভান্ডারের ন্যায় সম্প্রীতির ভান্ডার। গ্রামের মানুষগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সৌহার্দ্য সম্পর্ক দেখে মনে হয় যেন সবাই একই পরিবারের আওতাভুক্ত। সুখে-দুঃখে সবাই পরস্পরের পাশে। যে কোনো ধরনের সমস্যার সমাধানে সকলে এগিয়ে আসে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে। একের উপর অপরের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস। ভাতৃত্ববোধ আর ভালোবাসায় শত্রুতাগুলো বন্ধুত্বে পরিণত হয়। অথচ সময়ের ব্যবধানে সেই গ্রামীণ সমাজ যেন আজ অস্থির হয়ে উঠেছে। সেই সৌহার্দ্যপূর্ণ গ্রামীণ শৃঙ্খলা আজ হারিয়ে যাচ্ছে। আফসোস যে, একশ্রেণির হীনমনের মানুষ গ্রামের সাধারণ মানুষগুলোর আবেগ নিয়ে খেলা করছে। যেখানে গ্রামের সাধারণ মানুষগুলো নিজ পরিবার ও সমাজের পরিচয়ে বেড়ে ওঠে সেখানে আজ কথিত দল ও নেতার পরিচয়ে বেড়ে ওঠতে দেখা যায়। একসময় মানুষ বলতো আমি অমুক বংশের লোক, আজ বলছে আমি অমুক দলের হুমুক নেতার লোক। নেতারা সামান্য সুবিধা দিয়ে, অসুবিধা থেকে উত্তোরণের কথা বলে, সামান্য অর্থদানে, চা পান করিয়ে, লোভে-প্রলোভনে সাধারণ মানুষ গুলোকে নিজেদের গোলামে পরিণত করছে। যুব সমাজের হাতে তুলে দিচ্ছেন মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল ও ভারী অস্ত্র। শহরের ন্যায় গ্রামের রাস্তায়ও এখন যুবকদেরকে মদ খেয়ে ঢলে পড়তে দেখা যায়। নেতারা যুবকদের সামান্য পকেট খরচ ও সুবিধাদী দিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে লিপ্ত আছে। গ্রামীণ অপরাজনীতির ফলে সমাজ থেকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ উঠে যাচ্ছে। দলীয় প্রীতির কারণে পিতা-পুত্রের, পুত্র-পিতার, ভাই-ভাইয়ের, চাচা-ভাতিজার, খেলার সাথী এমনকি সহপাঠী একে অপরের মাথায় আঘাত করতে দ্বিধা করছেনা। সমাজ থেকে সামাজিকতা চিরতরে বিদায়ের পথে। সামাজিকতার আসনে রাজনৈতিকতা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে।

একসময় গ্রামের শালিস গুলো মুরুব্বিদের সম্বন্বয়ে সম্পন্ন হতো। মুরুব্বিদের কথার উপরে কেউ কথা তুলতো না। কিন্তু আজ শালিস গুলো করছে কথিত রাজনৈতিক নেতা। যিনি শালিসে যাওয়ার সময় একদল গুন্ডাপান্ডা সাথে নিয়ে যান। নেতারা শালিস দাবিদারের পলিটিক্যাল ধ্যান-ধারণা, অর্থকড়ি, দাপট ও প্রভাবের বিষয় মাথায় রেখে রায় দেন। তাদের কাছে নীতির কোনো বালাই নাই। ভ্রুক্ষেপ নেই ন্যায় অন্যায়ের। “জোর যার মুল্লক তার” ও ”আমি কোন হনুরে” এমন ভাবটাই অনেকাংশে লক্ষণীয়।

দাঙ্গা, মারামারি, অপরাজনীতি, অনৈতিক লেনদেন, অনৈতিক প্রভাব, স্বজনপ্রীতি, দলপ্রীতি প্রতিটি সমাজে ক্যান্সারে পরিণত। এক সময় ভার্সিটি ক্যাম্পাস ও শহরের অলিগলিতে রাজনৈতিক বলয়ে গড়ে ওঠা যুবকদের মিলনমেলা দেখা যেত। আজ গ্রামের রাস্তার মোড়ে, চায়ের দোকানে, প্রতিষ্ঠানের মাঠে ও ক্লাব ঘরে আড্ডা মিলছে গ্রামীণ রাজনৈতিক যুব সমাজের। তাদের আলোচনায় ফুটে ওঠে কোন ছেলেটা তাদের দল বিরোধী, এলাকার কোন মেয়েটা সুন্দরী, কার পরিবারে সম্পত্তি বিবাদ এবং কোথায় গেলে দু-চার টাকা ধান্ধা মিলবে। একসময় মানুষ শহরে বেড়ে ওঠতে ভয় পেতো কিন্তু আজ গ্রামের কথিত যুব ও রাজনেতিক নেতাদের অপমানের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হচ্ছে। শহর গুলোতে অভিভাবক তাদের সন্তানকে প্রতিষ্ঠানে নিজে আনা-নেওয়া করেন কিন্তু আজ গ্রামীণ বখাটের ভয়ে অভিভাবকগণ তাদের কন্যা সন্তানকে প্রতিষ্ঠানে আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে। একসময় মানুষ মনে করতো সন্তানকে শহরে পাঠালে অভিভাবকহীনতায় নষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু আজ গ্রামে থেকেই নষ্ট হওয়ার ভয়ে কৃষক-দিনমজুর পিতা সন্তানকে শহরে পাঠাচ্ছে।

গ্রামের প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। গ্রামের হাট-বাজার, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন এমনকি মসজিদগুলোর কমিটি পর্যন্ত দলীয় বলয়ে গঠিত হয়। ফলে দেখা যায় এসএসসি’র পূর্ণরূপ না জানা গন্ডমূর্খ উচ্চ-বিদ্যালয়ের সভাপতির পদকে কলঙ্কিত করছে, গাঁজাখোর ও ইভটিজিংয়ের মামলায় কারাবরণ করা ব্যক্তি আলোর দিশারী সামাজিক সংগঠন গুলোর আহ্বায়ক হচ্ছে, সূরা ফাতিহা শুদ্ধ পড়তে না জানা ব্যক্তি হচ্ছেন ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সেক্রেটারি আবার মাসিক ও বার্ষিক মুসল্লিই মসজিদ কমিটির সভাপতি মনোনীত। ফলে সমাজের সচেতন ও শিক্ষিত মানুষ গুলো সমাজ বিমুখ হয়ে পড়ছেন। দু’চারজন সমাজপ্রেমি মানুষ বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলতে গেলেও হুমকি-ধমকি ও মামলার স্বীকার হচ্ছেন। কি এক করুণ দৃশ্য। কি নিদারুণ কথা। জবাবদিহিতার বালাই নেই কোথাও। ধুয়ে-মুছে যাচ্ছে সামাজিকতা। গ্রামগুলো হারাচ্ছে ইতিহাস ঐতিহ্য।

কিন্তু না। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। ঘুরে দাড়াতে হবে সচেতন যুব সমাজকে। রুখে দিতে হবে অপরাজনীতিকে। সংস্কার করতে হবে সমাজ ব্যবস্থাকে। প্রয়োজনে বিপ্লবের ডাক দিতে হবে। যুবকরাই পারে গুনে ধরা সমাজকে সোনায় সোহাগায় পরিণত করতে। যুবকরা হচ্ছে সমাজের সবচেয়ে কর্মক্ষম অংশ। পরিবর্তনের জন্য যে শক্তি ও ক্ষমতা প্রয়োজন তা একমাত্র যুবকরাই সরবরাহ করতে পারে। ভাঙ্গা গড়ার আঘাত হজম করার সামর্থ্য শুধু তরুনদেরই আছে। সামাজিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন তরুণদের দ্বারাই সম্ভব। দুনিয়ার যে কোন আন্দোলন সংগ্রামের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে তরুণ সম্প্রদায়। যুবকগন তাদের সাহসী আচরণ দিয়ে সমাজ পরিবর্তন করতে পারে। পবিত্র কালামে পাকে সূরা কাহাফের ৩-১৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যুবকগন সত্যের প্রতি নিবেদিত এবং তারা তাদের রবের প্রতি বিশ্বস্থ। তাদের প্রতি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তত্ত্বাবধান বাড়িয়ে দেন, তাদের হৃদয়ে শক্তি দান করেন।

যুব সমাজের শক্তি, সাহস, বুদ্ধি ও মেধা পুরোপুরি ব্যবহার করা গেলে সমাজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে। তারা দেশের সমস্যা চিহ্নিত করে এবং সমাধান ও করতে পারে। তারা দেশের শিশুদের অধিকার সম্পর্কে শিক্ষা দিতে পারে। অপর যুবকদের প্রেষণা দিতে পারে। ভিন্ন চিন্তা করা ও উদ্ভাবনের সাহস, অসম্ভবকে সম্ভব , অগম্য পথে গমন করার সাহস, যন্ত্রনা দূর করা,সামাজিকতার স্বার্থে প্রতিকূল পরিবেশের বিপরীতে হাঁটা ও জ্ঞানকে শেয়ার করার সাহস অদ্ধিতীয়ভাবে শুধু যুব সমাজেরই আছে। যুবকদের পৃথিবী হবে দারিদ্র, অসাম্য, শোষন ও প্রতারণা মুক্ত। সেখানে বর্ণ, ধর্ম, জাতি, ভাষা, লিঙ্গভেদে কোন বৈষম্য থাকতে পারবেনা। তারা পরিবর্তনের অভিভাবক হতে পারে এবং দ্বন্ধ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ধারনার বাধা কর্তন, ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান, ঐকান্তিকতা ইত্যাদি দিয়ে যুবকগন তাৎপর্যপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। সুতরাং সিদ্ধান্তগ্রহন প্রক্রিয়ায় যুবকদের অংশ গ্রহন না হলেই নয়।

অতএব সমাজকে পরিশীলিত করতে চাইলে, এগিয়ে নিতে হলে, চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হতে হলে, উন্নয়নের পথে হাঁটতে চাইলে, অচলায়তন ভাঙ্গতে গেলে, জাতিকে স্বপ্ন দেখাতে চাইলে, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনে যুবকদের কাজে লাগাতে হবে।যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক,
মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ত্বোহা
কলামিষ্ট ও সোশ্যাল এক্টিভিস্ট

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা