মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভিলেজ পলিটিক্স সমাজের বিষফোঁড়া

বর্তমান সময়ে রাজনীতির সর্বনিম্ন প্ল্যাটফর্ম হলে গ্রাম্য রাজনীতি। যেখানে গ্রামের সাধারণ থেকে অতি সাধারণ মানুষ কৃষক, শ্রমিক, মজুর রাজনৈতিক পরিচয় দানে উদ্যোমী হচ্ছে। এই সাধারণ মানুষগুলো বুঝেনা রাজনীতির ইতিবৃত্ত, জানেনা কলা কৌশল তথাপি দেশ ও স্বাধীনতার মায়ায় রাজনৈতিক দল গুলোকে শক্তিশালী করে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে দিতে নিজেকে উৎসর্গ করতে চায়। বহুলাংশে তারা সরাসরি দেখেনা তাদের দলনেতাকে তবুও দল ও নেতার মায়ায় সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়। সাধারণ মানুষগুলো কতইনা কোমল হৃদয়ের, বন্ধু ভাবাপন্ন, যাদের রয়েছে শস্য ভান্ডারের ন্যায় সম্প্রীতির ভান্ডার। গ্রামের মানুষগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সৌহার্দ্য সম্পর্ক দেখে মনে হয় যেন সবাই একই পরিবারের আওতাভুক্ত। সুখে-দুঃখে সবাই পরস্পরের পাশে। যে কোনো ধরনের সমস্যার সমাধানে সকলে এগিয়ে আসে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে। একের উপর অপরের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস। ভাতৃত্ববোধ আর ভালোবাসায় শত্রুতাগুলো বন্ধুত্বে পরিণত হয়। অথচ সময়ের ব্যবধানে সেই গ্রামীণ সমাজ যেন আজ অস্থির হয়ে উঠেছে। সেই সৌহার্দ্যপূর্ণ গ্রামীণ শৃঙ্খলা আজ হারিয়ে যাচ্ছে। আফসোস যে, একশ্রেণির হীনমনের মানুষ গ্রামের সাধারণ মানুষগুলোর আবেগ নিয়ে খেলা করছে। যেখানে গ্রামের সাধারণ মানুষগুলো নিজ পরিবার ও সমাজের পরিচয়ে বেড়ে ওঠে সেখানে আজ কথিত দল ও নেতার পরিচয়ে বেড়ে ওঠতে দেখা যায়। একসময় মানুষ বলতো আমি অমুক বংশের লোক, আজ বলছে আমি অমুক দলের হুমুক নেতার লোক। নেতারা সামান্য সুবিধা দিয়ে, অসুবিধা থেকে উত্তোরণের কথা বলে, সামান্য অর্থদানে, চা পান করিয়ে, লোভে-প্রলোভনে সাধারণ মানুষ গুলোকে নিজেদের গোলামে পরিণত করছে। যুব সমাজের হাতে তুলে দিচ্ছেন মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল ও ভারী অস্ত্র। শহরের ন্যায় গ্রামের রাস্তায়ও এখন যুবকদেরকে মদ খেয়ে ঢলে পড়তে দেখা যায়। নেতারা যুবকদের সামান্য পকেট খরচ ও সুবিধাদী দিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে লিপ্ত আছে। গ্রামীণ অপরাজনীতির ফলে সমাজ থেকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ উঠে যাচ্ছে। দলীয় প্রীতির কারণে পিতা-পুত্রের, পুত্র-পিতার, ভাই-ভাইয়ের, চাচা-ভাতিজার, খেলার সাথী এমনকি সহপাঠী একে অপরের মাথায় আঘাত করতে দ্বিধা করছেনা। সমাজ থেকে সামাজিকতা চিরতরে বিদায়ের পথে। সামাজিকতার আসনে রাজনৈতিকতা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে।

একসময় গ্রামের শালিস গুলো মুরুব্বিদের সম্বন্বয়ে সম্পন্ন হতো। মুরুব্বিদের কথার উপরে কেউ কথা তুলতো না। কিন্তু আজ শালিস গুলো করছে কথিত রাজনৈতিক নেতা। যিনি শালিসে যাওয়ার সময় একদল গুন্ডাপান্ডা সাথে নিয়ে যান। নেতারা শালিস দাবিদারের পলিটিক্যাল ধ্যান-ধারণা, অর্থকড়ি, দাপট ও প্রভাবের বিষয় মাথায় রেখে রায় দেন। তাদের কাছে নীতির কোনো বালাই নাই। ভ্রুক্ষেপ নেই ন্যায় অন্যায়ের। “জোর যার মুল্লক তার” ও ”আমি কোন হনুরে” এমন ভাবটাই অনেকাংশে লক্ষণীয়।

দাঙ্গা, মারামারি, অপরাজনীতি, অনৈতিক লেনদেন, অনৈতিক প্রভাব, স্বজনপ্রীতি, দলপ্রীতি প্রতিটি সমাজে ক্যান্সারে পরিণত। এক সময় ভার্সিটি ক্যাম্পাস ও শহরের অলিগলিতে রাজনৈতিক বলয়ে গড়ে ওঠা যুবকদের মিলনমেলা দেখা যেত। আজ গ্রামের রাস্তার মোড়ে, চায়ের দোকানে, প্রতিষ্ঠানের মাঠে ও ক্লাব ঘরে আড্ডা মিলছে গ্রামীণ রাজনৈতিক যুব সমাজের। তাদের আলোচনায় ফুটে ওঠে কোন ছেলেটা তাদের দল বিরোধী, এলাকার কোন মেয়েটা সুন্দরী, কার পরিবারে সম্পত্তি বিবাদ এবং কোথায় গেলে দু-চার টাকা ধান্ধা মিলবে। একসময় মানুষ শহরে বেড়ে ওঠতে ভয় পেতো কিন্তু আজ গ্রামের কথিত যুব ও রাজনেতিক নেতাদের অপমানের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হচ্ছে। শহর গুলোতে অভিভাবক তাদের সন্তানকে প্রতিষ্ঠানে নিজে আনা-নেওয়া করেন কিন্তু আজ গ্রামীণ বখাটের ভয়ে অভিভাবকগণ তাদের কন্যা সন্তানকে প্রতিষ্ঠানে আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে। একসময় মানুষ মনে করতো সন্তানকে শহরে পাঠালে অভিভাবকহীনতায় নষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু আজ গ্রামে থেকেই নষ্ট হওয়ার ভয়ে কৃষক-দিনমজুর পিতা সন্তানকে শহরে পাঠাচ্ছে।

গ্রামের প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। গ্রামের হাট-বাজার, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন এমনকি মসজিদগুলোর কমিটি পর্যন্ত দলীয় বলয়ে গঠিত হয়। ফলে দেখা যায় এসএসসি’র পূর্ণরূপ না জানা গন্ডমূর্খ উচ্চ-বিদ্যালয়ের সভাপতির পদকে কলঙ্কিত করছে, গাঁজাখোর ও ইভটিজিংয়ের মামলায় কারাবরণ করা ব্যক্তি আলোর দিশারী সামাজিক সংগঠন গুলোর আহ্বায়ক হচ্ছে, সূরা ফাতিহা শুদ্ধ পড়তে না জানা ব্যক্তি হচ্ছেন ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সেক্রেটারি আবার মাসিক ও বার্ষিক মুসল্লিই মসজিদ কমিটির সভাপতি মনোনীত। ফলে সমাজের সচেতন ও শিক্ষিত মানুষ গুলো সমাজ বিমুখ হয়ে পড়ছেন। দু’চারজন সমাজপ্রেমি মানুষ বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলতে গেলেও হুমকি-ধমকি ও মামলার স্বীকার হচ্ছেন। কি এক করুণ দৃশ্য। কি নিদারুণ কথা। জবাবদিহিতার বালাই নেই কোথাও। ধুয়ে-মুছে যাচ্ছে সামাজিকতা। গ্রামগুলো হারাচ্ছে ইতিহাস ঐতিহ্য।

কিন্তু না। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। ঘুরে দাড়াতে হবে সচেতন যুব সমাজকে। রুখে দিতে হবে অপরাজনীতিকে। সংস্কার করতে হবে সমাজ ব্যবস্থাকে। প্রয়োজনে বিপ্লবের ডাক দিতে হবে। যুবকরাই পারে গুনে ধরা সমাজকে সোনায় সোহাগায় পরিণত করতে। যুবকরা হচ্ছে সমাজের সবচেয়ে কর্মক্ষম অংশ। পরিবর্তনের জন্য যে শক্তি ও ক্ষমতা প্রয়োজন তা একমাত্র যুবকরাই সরবরাহ করতে পারে। ভাঙ্গা গড়ার আঘাত হজম করার সামর্থ্য শুধু তরুনদেরই আছে। সামাজিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন তরুণদের দ্বারাই সম্ভব। দুনিয়ার যে কোন আন্দোলন সংগ্রামের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে তরুণ সম্প্রদায়। যুবকগন তাদের সাহসী আচরণ দিয়ে সমাজ পরিবর্তন করতে পারে। পবিত্র কালামে পাকে সূরা কাহাফের ৩-১৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যুবকগন সত্যের প্রতি নিবেদিত এবং তারা তাদের রবের প্রতি বিশ্বস্থ। তাদের প্রতি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তত্ত্বাবধান বাড়িয়ে দেন, তাদের হৃদয়ে শক্তি দান করেন।

যুব সমাজের শক্তি, সাহস, বুদ্ধি ও মেধা পুরোপুরি ব্যবহার করা গেলে সমাজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে। তারা দেশের সমস্যা চিহ্নিত করে এবং সমাধান ও করতে পারে। তারা দেশের শিশুদের অধিকার সম্পর্কে শিক্ষা দিতে পারে। অপর যুবকদের প্রেষণা দিতে পারে। ভিন্ন চিন্তা করা ও উদ্ভাবনের সাহস, অসম্ভবকে সম্ভব , অগম্য পথে গমন করার সাহস, যন্ত্রনা দূর করা,সামাজিকতার স্বার্থে প্রতিকূল পরিবেশের বিপরীতে হাঁটা ও জ্ঞানকে শেয়ার করার সাহস অদ্ধিতীয়ভাবে শুধু যুব সমাজেরই আছে। যুবকদের পৃথিবী হবে দারিদ্র, অসাম্য, শোষন ও প্রতারণা মুক্ত। সেখানে বর্ণ, ধর্ম, জাতি, ভাষা, লিঙ্গভেদে কোন বৈষম্য থাকতে পারবেনা। তারা পরিবর্তনের অভিভাবক হতে পারে এবং দ্বন্ধ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ধারনার বাধা কর্তন, ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান, ঐকান্তিকতা ইত্যাদি দিয়ে যুবকগন তাৎপর্যপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। সুতরাং সিদ্ধান্তগ্রহন প্রক্রিয়ায় যুবকদের অংশ গ্রহন না হলেই নয়।

অতএব সমাজকে পরিশীলিত করতে চাইলে, এগিয়ে নিতে হলে, চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হতে হলে, উন্নয়নের পথে হাঁটতে চাইলে, অচলায়তন ভাঙ্গতে গেলে, জাতিকে স্বপ্ন দেখাতে চাইলে, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনে যুবকদের কাজে লাগাতে হবে।যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক,
মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ত্বোহা
কলামিষ্ট ও সোশ্যাল এক্টিভিস্ট

Header Ad
Header Ad

বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিদ্যুৎ খাতকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সরবরাহ আইন (কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট আইন) প্রণয়ন করে দায়মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে এই খাতে লুটপাটের মডেল তৈরি হয়। গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনায় ঘুষ, কমিশন, এবং অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতার কারণে জনগণের ওপর ৭২ হাজার কোটি টাকার বোঝা চাপানো হয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৫,৭০০ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩২,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। এ সময়ে শতাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বেশিরভাগ প্রকল্প দ্রুত সরবরাহ আইনের আওতায় অনুমোদন পাওয়ায় উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ বন্ধ ছিল।

বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ৩০ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির মাধ্যমে লুট হয়েছে।

মহাপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ৩০,০০০ মেগাওয়াট ধরা হলেও, পরে এই লক্ষ্যমাত্রা ৪০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করায় অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি হয়। এই অতিরিক্ত সক্ষমতার জন্য ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার অপচয় হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেছেন, “উচ্চমাত্রার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এর ফলে জনগণের কাঁধে ভাড়া ও অন্যান্য ব্যয়ের বোঝা চেপেছে।”

শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন নির্মাণ এবং মিটার কেনাকাটায় বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তবে এসব খাতে দুর্নীতির বিস্তারিত চিত্র এখনও স্পষ্ট নয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিদ্যুৎ খাতে এ ধরনের দুর্নীতি অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সরকারের উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের ফলে জনগণকে অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হয়েছে।

প্রস্তাবিত সমাধান:

- বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি কমাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে প্রকল্প অনুমোদন।
- দায়মুক্তি আইন বাতিল করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
- শ্বেতপত্রে বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ।
- অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা বন্ধ এবং বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ।

বিদ্যুৎ খাতের এই সংকট উত্তরণে জনসাধারণ, বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যমের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মো. নাজির উদ্দিন কার্তিক (২৫) আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ ব্যাটালিয়নের (১৬ বিজিবি) বিজিবি সদস্যরা গোমস্তাপুর উপজেলার কেতাব বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ১৬ বিজিবির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

নওগাঁ ব্যাটালিয়নের (১৬ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বাংগাবাড়ি বিজিবির নিয়মিত টহল দল মঙ্গলবার সকালে সীমান্ত পিলার ২০৪/এমপি হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যান্তরে কেতাব বাজার এলাকায় টহল পরিচালনা করছিলেন। টহল দেওয়ার সময় একজন ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবির সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসংলগ্ন বক্তব্য দিতে থাকেন। পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন তিনি ভারতীয় নাগরিক। ওই ব্যক্তির ভাষ্যমতে তাঁর নাম, নাজির উদ্দিন কার্তিক। তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের কাঠিয়ার জেলার আবাদপুর থানার গাবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তল্লাশী করে ওই ব্যক্তির কাছ ভারতীয় ১০ রুপি এবং বাংলাদেশী ২৫০ টাকা পাওয়া গেছে। তাঁর কাছ থেকে কোনো পাসপোর্ট বা বৈধ ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে আটক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম চলমান আছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় ভ্রমণ ও চিকিৎসার কাজে যাওয়া বাংলাদেশিরা সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এবং বিজেপি সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচি ঘিরে এই হয়রানির মাত্রা বেড়ে গেছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে আগরতলায় হোটেল ভাড়া না পেয়ে বাংলাদেশি পর্যটকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা ফরিদ মিয়া জানান, হোটেল ভাড়া নেওয়ার পর মুসলিম এবং বাংলাদেশি হওয়ায় তাকে এক ঘণ্টার মধ্যেই হোটেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে শহরের বাইরে আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান এবং পরদিন দেশে ফিরে আসেন।

আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সীমান্ত পারাপারের সময় বাংলাদেশিদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হচ্ছে। আখাউড়া স্থলবন্দরে ফিরে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হুমকি ও হয়রানির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান শিলচরে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে জামদানি শাড়ির একটি স্টল দিয়েছিলেন। সেখানে একদল যুবক "জয় শ্রী রাম" স্লোগান দিয়ে তার দোকানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা দোকান ভাঙচুর করে এবং সমস্ত টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাবের বিন জব্বার জানিয়েছেন, সীমান্তে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশিরা এমন হয়রানি ও বৈষম্যমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এর সমাধানের জন্য দুই দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোলামি করতে স্বাধীনতা অর্জন করিনি: সোহেল তাজ
মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে ভারত
আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ
একটি ইস্যু দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না : ভারতীয় হাইকমিশনার
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা মমতা বোঝেন কিনা, নিশ্চিত নই: শশী থারুর
যমুনার চর কেটে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
২০২৩ সালে সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলায়
শেখ হাসিনার পতন কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ভারত : রিজভী
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে জরুরি তলব
সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, এসএসসি পাসেই আবেদনের সুযোগ
এস আলম পরিবারের ৩৫০ ব্যাংক হিসাবের সন্ধান
২৮ বিয়ে প্রসঙ্গে যা বললেন নায়িকা রোমানা
বাংলাদেশিদের সেবা দেবে না ত্রিপুরার কোনো হোটেল–রেস্তোরাঁ
ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন
‘বাংলাদেশি কনস্যুলেটে হামলা প্রতিবেশীদের মধ্যে বিবাদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে’
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭