শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভিলেজ পলিটিক্স সমাজের বিষফোঁড়া

বর্তমান সময়ে রাজনীতির সর্বনিম্ন প্ল্যাটফর্ম হলে গ্রাম্য রাজনীতি। যেখানে গ্রামের সাধারণ থেকে অতি সাধারণ মানুষ কৃষক, শ্রমিক, মজুর রাজনৈতিক পরিচয় দানে উদ্যোমী হচ্ছে। এই সাধারণ মানুষগুলো বুঝেনা রাজনীতির ইতিবৃত্ত, জানেনা কলা কৌশল তথাপি দেশ ও স্বাধীনতার মায়ায় রাজনৈতিক দল গুলোকে শক্তিশালী করে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে দিতে নিজেকে উৎসর্গ করতে চায়। বহুলাংশে তারা সরাসরি দেখেনা তাদের দলনেতাকে তবুও দল ও নেতার মায়ায় সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়। সাধারণ মানুষগুলো কতইনা কোমল হৃদয়ের, বন্ধু ভাবাপন্ন, যাদের রয়েছে শস্য ভান্ডারের ন্যায় সম্প্রীতির ভান্ডার। গ্রামের মানুষগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সৌহার্দ্য সম্পর্ক দেখে মনে হয় যেন সবাই একই পরিবারের আওতাভুক্ত। সুখে-দুঃখে সবাই পরস্পরের পাশে। যে কোনো ধরনের সমস্যার সমাধানে সকলে এগিয়ে আসে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে। একের উপর অপরের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস। ভাতৃত্ববোধ আর ভালোবাসায় শত্রুতাগুলো বন্ধুত্বে পরিণত হয়। অথচ সময়ের ব্যবধানে সেই গ্রামীণ সমাজ যেন আজ অস্থির হয়ে উঠেছে। সেই সৌহার্দ্যপূর্ণ গ্রামীণ শৃঙ্খলা আজ হারিয়ে যাচ্ছে। আফসোস যে, একশ্রেণির হীনমনের মানুষ গ্রামের সাধারণ মানুষগুলোর আবেগ নিয়ে খেলা করছে। যেখানে গ্রামের সাধারণ মানুষগুলো নিজ পরিবার ও সমাজের পরিচয়ে বেড়ে ওঠে সেখানে আজ কথিত দল ও নেতার পরিচয়ে বেড়ে ওঠতে দেখা যায়। একসময় মানুষ বলতো আমি অমুক বংশের লোক, আজ বলছে আমি অমুক দলের হুমুক নেতার লোক। নেতারা সামান্য সুবিধা দিয়ে, অসুবিধা থেকে উত্তোরণের কথা বলে, সামান্য অর্থদানে, চা পান করিয়ে, লোভে-প্রলোভনে সাধারণ মানুষ গুলোকে নিজেদের গোলামে পরিণত করছে। যুব সমাজের হাতে তুলে দিচ্ছেন মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল ও ভারী অস্ত্র। শহরের ন্যায় গ্রামের রাস্তায়ও এখন যুবকদেরকে মদ খেয়ে ঢলে পড়তে দেখা যায়। নেতারা যুবকদের সামান্য পকেট খরচ ও সুবিধাদী দিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে লিপ্ত আছে। গ্রামীণ অপরাজনীতির ফলে সমাজ থেকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ উঠে যাচ্ছে। দলীয় প্রীতির কারণে পিতা-পুত্রের, পুত্র-পিতার, ভাই-ভাইয়ের, চাচা-ভাতিজার, খেলার সাথী এমনকি সহপাঠী একে অপরের মাথায় আঘাত করতে দ্বিধা করছেনা। সমাজ থেকে সামাজিকতা চিরতরে বিদায়ের পথে। সামাজিকতার আসনে রাজনৈতিকতা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে।

একসময় গ্রামের শালিস গুলো মুরুব্বিদের সম্বন্বয়ে সম্পন্ন হতো। মুরুব্বিদের কথার উপরে কেউ কথা তুলতো না। কিন্তু আজ শালিস গুলো করছে কথিত রাজনৈতিক নেতা। যিনি শালিসে যাওয়ার সময় একদল গুন্ডাপান্ডা সাথে নিয়ে যান। নেতারা শালিস দাবিদারের পলিটিক্যাল ধ্যান-ধারণা, অর্থকড়ি, দাপট ও প্রভাবের বিষয় মাথায় রেখে রায় দেন। তাদের কাছে নীতির কোনো বালাই নাই। ভ্রুক্ষেপ নেই ন্যায় অন্যায়ের। “জোর যার মুল্লক তার” ও ”আমি কোন হনুরে” এমন ভাবটাই অনেকাংশে লক্ষণীয়।

দাঙ্গা, মারামারি, অপরাজনীতি, অনৈতিক লেনদেন, অনৈতিক প্রভাব, স্বজনপ্রীতি, দলপ্রীতি প্রতিটি সমাজে ক্যান্সারে পরিণত। এক সময় ভার্সিটি ক্যাম্পাস ও শহরের অলিগলিতে রাজনৈতিক বলয়ে গড়ে ওঠা যুবকদের মিলনমেলা দেখা যেত। আজ গ্রামের রাস্তার মোড়ে, চায়ের দোকানে, প্রতিষ্ঠানের মাঠে ও ক্লাব ঘরে আড্ডা মিলছে গ্রামীণ রাজনৈতিক যুব সমাজের। তাদের আলোচনায় ফুটে ওঠে কোন ছেলেটা তাদের দল বিরোধী, এলাকার কোন মেয়েটা সুন্দরী, কার পরিবারে সম্পত্তি বিবাদ এবং কোথায় গেলে দু-চার টাকা ধান্ধা মিলবে। একসময় মানুষ শহরে বেড়ে ওঠতে ভয় পেতো কিন্তু আজ গ্রামের কথিত যুব ও রাজনেতিক নেতাদের অপমানের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হচ্ছে। শহর গুলোতে অভিভাবক তাদের সন্তানকে প্রতিষ্ঠানে নিজে আনা-নেওয়া করেন কিন্তু আজ গ্রামীণ বখাটের ভয়ে অভিভাবকগণ তাদের কন্যা সন্তানকে প্রতিষ্ঠানে আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে। একসময় মানুষ মনে করতো সন্তানকে শহরে পাঠালে অভিভাবকহীনতায় নষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু আজ গ্রামে থেকেই নষ্ট হওয়ার ভয়ে কৃষক-দিনমজুর পিতা সন্তানকে শহরে পাঠাচ্ছে।

গ্রামের প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। গ্রামের হাট-বাজার, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন এমনকি মসজিদগুলোর কমিটি পর্যন্ত দলীয় বলয়ে গঠিত হয়। ফলে দেখা যায় এসএসসি’র পূর্ণরূপ না জানা গন্ডমূর্খ উচ্চ-বিদ্যালয়ের সভাপতির পদকে কলঙ্কিত করছে, গাঁজাখোর ও ইভটিজিংয়ের মামলায় কারাবরণ করা ব্যক্তি আলোর দিশারী সামাজিক সংগঠন গুলোর আহ্বায়ক হচ্ছে, সূরা ফাতিহা শুদ্ধ পড়তে না জানা ব্যক্তি হচ্ছেন ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সেক্রেটারি আবার মাসিক ও বার্ষিক মুসল্লিই মসজিদ কমিটির সভাপতি মনোনীত। ফলে সমাজের সচেতন ও শিক্ষিত মানুষ গুলো সমাজ বিমুখ হয়ে পড়ছেন। দু’চারজন সমাজপ্রেমি মানুষ বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলতে গেলেও হুমকি-ধমকি ও মামলার স্বীকার হচ্ছেন। কি এক করুণ দৃশ্য। কি নিদারুণ কথা। জবাবদিহিতার বালাই নেই কোথাও। ধুয়ে-মুছে যাচ্ছে সামাজিকতা। গ্রামগুলো হারাচ্ছে ইতিহাস ঐতিহ্য।

কিন্তু না। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। ঘুরে দাড়াতে হবে সচেতন যুব সমাজকে। রুখে দিতে হবে অপরাজনীতিকে। সংস্কার করতে হবে সমাজ ব্যবস্থাকে। প্রয়োজনে বিপ্লবের ডাক দিতে হবে। যুবকরাই পারে গুনে ধরা সমাজকে সোনায় সোহাগায় পরিণত করতে। যুবকরা হচ্ছে সমাজের সবচেয়ে কর্মক্ষম অংশ। পরিবর্তনের জন্য যে শক্তি ও ক্ষমতা প্রয়োজন তা একমাত্র যুবকরাই সরবরাহ করতে পারে। ভাঙ্গা গড়ার আঘাত হজম করার সামর্থ্য শুধু তরুনদেরই আছে। সামাজিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন তরুণদের দ্বারাই সম্ভব। দুনিয়ার যে কোন আন্দোলন সংগ্রামের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে তরুণ সম্প্রদায়। যুবকগন তাদের সাহসী আচরণ দিয়ে সমাজ পরিবর্তন করতে পারে। পবিত্র কালামে পাকে সূরা কাহাফের ৩-১৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যুবকগন সত্যের প্রতি নিবেদিত এবং তারা তাদের রবের প্রতি বিশ্বস্থ। তাদের প্রতি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তত্ত্বাবধান বাড়িয়ে দেন, তাদের হৃদয়ে শক্তি দান করেন।

যুব সমাজের শক্তি, সাহস, বুদ্ধি ও মেধা পুরোপুরি ব্যবহার করা গেলে সমাজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে। তারা দেশের সমস্যা চিহ্নিত করে এবং সমাধান ও করতে পারে। তারা দেশের শিশুদের অধিকার সম্পর্কে শিক্ষা দিতে পারে। অপর যুবকদের প্রেষণা দিতে পারে। ভিন্ন চিন্তা করা ও উদ্ভাবনের সাহস, অসম্ভবকে সম্ভব , অগম্য পথে গমন করার সাহস, যন্ত্রনা দূর করা,সামাজিকতার স্বার্থে প্রতিকূল পরিবেশের বিপরীতে হাঁটা ও জ্ঞানকে শেয়ার করার সাহস অদ্ধিতীয়ভাবে শুধু যুব সমাজেরই আছে। যুবকদের পৃথিবী হবে দারিদ্র, অসাম্য, শোষন ও প্রতারণা মুক্ত। সেখানে বর্ণ, ধর্ম, জাতি, ভাষা, লিঙ্গভেদে কোন বৈষম্য থাকতে পারবেনা। তারা পরিবর্তনের অভিভাবক হতে পারে এবং দ্বন্ধ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ধারনার বাধা কর্তন, ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান, ঐকান্তিকতা ইত্যাদি দিয়ে যুবকগন তাৎপর্যপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। সুতরাং সিদ্ধান্তগ্রহন প্রক্রিয়ায় যুবকদের অংশ গ্রহন না হলেই নয়।

অতএব সমাজকে পরিশীলিত করতে চাইলে, এগিয়ে নিতে হলে, চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হতে হলে, উন্নয়নের পথে হাঁটতে চাইলে, অচলায়তন ভাঙ্গতে গেলে, জাতিকে স্বপ্ন দেখাতে চাইলে, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনে যুবকদের কাজে লাগাতে হবে।যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক,
মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ত্বোহা
কলামিষ্ট ও সোশ্যাল এক্টিভিস্ট

Header Ad
Header Ad

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি এখনো গড়ে ওঠেনি। সর্বশেষ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর এই প্রসঙ্গ আবার আলোচনায় এসেছে।

২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে হাসিমুখে বিদায় নিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। একইভাবে ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায় নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক। কিন্তু এরপর থেকে দুই দশকের বেশি সময়েও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের দৃশ্য দেখা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, “ওদের ক্যারিয়ার বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অসাধারণ ছিল। মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ ওদের প্রাপ্য ছিল। যারা ভালোবেসেছে ও সমর্থন দিয়েছে, তারাও চাইত গ্যালারি ভরা দর্শকের হাততালির মধ্যে তারা বিদায় নিক। কিন্তু সেই সুযোগটা আর হলো না। কেন মাঠে অবসর নেয়নি, সেটা ওরাই ভালো বলতে পারবে।”

অনেকে মনে করেন, বোর্ডের পরিকল্পনার অভাবের কারণেই এমনটা ঘটছে। তবে সুজন এই দাবির সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, “যখন আমি অবসর নিয়েছিলাম, আগেই জানিয়েছিলাম সেটাই আমার শেষ ম্যাচ। কিন্তু যদি কেউ না জানায়, বোর্ড বুঝবে কীভাবে? ক্রিকেটাররা আগেই বললে বোর্ডও সম্মানজনক বিদায়ের ব্যবস্থা করতে পারে।”

সম্প্রতি মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে এবং মাহমুদউল্লাহ সব ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তাদের এমন সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন সুজন। তার মতে, “ওরা চাইলে হয়তো আরও কিছুদিন খেলতে পারত। কিন্তু মাঠ থেকে বিদায় নিলে সেটা আরও স্মরণীয় হয়ে থাকত।”

মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা না গেলে ভবিষ্যতেও এই ধরনের পরিস্থিতি চলতেই থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৩ মার্চ এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাহফুজ আলম গত ১২ মার্চ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন যে, “জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল।” মিয়া গোলাম পরওয়ার এ বক্তব্যকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে বলেন, মাহফুজ আলম জামায়াত সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা আসলে একটি প্রতিবেশি দেশের গুপ্তচর শাহরিয়ার কবিরদের ভাষার অনুকরণ।

তিনি আরও বলেন, মাহফুজ আলমের উচিত স্মরণ রাখা যে, তিনি একটি অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং কোনো রাজনৈতিক দলকে টার্গেট করে এমন মন্তব্য করার অধিকার তার নেই। এমন মন্তব্য দিয়ে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অরাজনৈতিক চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার উল্লেখ করেন যে, শেখ মুজিবুর রহমানের সময় গঠিত তদন্ত কমিশনেও জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি অধ্যাপক গোলাম আযম সুপ্রিম কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের প্রভাবিত বিচার এবং স্কাইপ কেলেঙ্কারি, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্য এবং সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর বক্তব্য এই বিচার ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী আহলে সুন্নত আল জামায়াতের অনুসারী এবং এর আক্বিদার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক। জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে আসছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার আশা প্রকাশ করেন যে, মাহফুজ আলম তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

শফিউল আজম টুটুলকে আহ্বায়ক ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিককে সদস্য সচিব করে নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এই কমিটি অনুমোদন দেন।

কমিটির অন্যান্য নেতারা হলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেওয়ান কামরুজ্জামান কামাল,মো. জাহাঙ্গীর আলম গুলজার, শামিম নুর আলম শিপলু,মো. মাহমুদ হাসান,গোলাম মোস্তফা তাতু,আলম তাজ তাজু,মো. মিজানুর রহমান রনি, মো. মামুনুর রশিদ,আব্দুল্লাহ আল মামুন শিমুল,হাসিবুর রহমান প্লাবন,মো. নূর নবী,মো. আব্দুল বারী তুহিন,মো. রাগিব শাহরিয়ার কৌশিক,মো. শহিদুজ্জামান সৌরভ,মো. ফারহিম ইসলাম মুন্না।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়া সদস্যরা হলেন, আব্দুল বারী হিরা, মহসিন আলী,মুশফিকুর রহমান সুজন চৌধুরী,মেহেদী হাসান পলাশ,মো. হেলাল উদ্দিন,আরিফুল ইসলাম বাপ্পী,স্বাধীন সরদার,কে এম রাব্বি রিফাত স্বচ্ছ,মো. সুরুজ সরকার,মো. মামুনুর রশিদ বুলেট,মো. মাসুদ রানা,মো. শাহরিয়ার হক রাজু,মো. সালমান ফারসী রাজ,মো. শামীম হোসেন, মো. ইস্রাফিল আলম তিতাস,মো. রায়হানুল ইসলাম রিপন,মো.শামস বিন আইয়ুব,মো. আশাদুল ইসলাম,মো. রুহুল আমিন মল্লিক,মো. ইশতিয়াক আহমেদ মিনার,মো. এনামুল হক (দপ্তরের দায়িত্বে),মো. রাকিন হোসেন (সহ-দপ্তরের দায়িত্বে),মো. পাঠান মুরাদ,মো. আশিক আহমেদ শাওন,মো. সবুজ হোসেন,মো. ডলার,শ.ম. আলেফ হোসেন সুমন,মো. শহীদুজ্জামান মুরাদ,মো. রিপন রেজা, এ্যাড, আলতাফ হোসেন উজ্জল,সোহেলী আক্তার শুভ,সোহাগ কুমার কর্মকার,মোঃ ওমর ফারুক (ওমর),মো. স্বাধীন আহমেদ।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন
উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত
নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস
‘২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনের বাবা গ্রেপ্তার
শুক্রবার থেকে বন্ধ হচ্ছে দেশের সব পর্ন ওয়েবসাইট
ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা নিয়ে যা বলল হামাস
গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীরতর করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা
আছিয়ার মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় নেওয়া হবে
ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
সোয়া ২ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল
ধর্ষণের হুমকি পেলেন ভাইরাল কন্যা ফারজানা সিঁথি, অতঃপর...
যমুনা সেতু মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২৫
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ ও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি
চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাপসুল
টাঙ্গাইলে ‘বঙ্গবন্ধু সেনানিবাস ও বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ’র নাম পরিবর্তন