বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

দশ টাকা দান

ষাটোর্ধ বৃদ্ধ জীর্ণশীর্ণ শরীর নিয়ে চলন্ত ট্রেনের ভিতরে এক বগি থেকে আরেক বগিতে হাটতেছে আর কান্নাকণ্ঠে বলতেছে, চারই আনা দাও! আমি না খেয়ে আছি! টাকা দিতে বিলম্ব হলে বৃদ্ধ ব্যক্তিটি তাড়াহুড়ো করে যাত্রীদের পা ধরিয়ে আবার চিৎকার করে বলতেছে, দাও বাবা রে, দাও আমাকে চার আনা! এ যুগে চার আনা মানুষ কোথায় পাবে। তাই কেউ ৫ টাকা, কেউ ১০ টাকা দিয়ে বৃদ্ধকে দিয়ে বিদায় জানাচ্ছে।

জয়পুরহাট থেকে ছুটে আসা বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনে আধা ঘণ্টা জন্য যাত্রা বিরতি দিয়েছে। এ বিরতির জন্য পথের মানুষ পথেই ছুটছে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে। কত শত মানুষের কাছে হাত পাতিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে এক বৃদ্ধার দেখা যায় 'ছ' বগির বাষট্টি নম্বর আসনে অর্থাৎ মাঝ বরাবর জানালার পাশে চার হাত পাতিয়ে আছেন।

বৃদ্ধার সাথে তার প্রতিবন্ধী শিশুটাও হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেও টাকা চায়। এ জগৎ-সংসারে সবার মত সেও বাঁচতে চায়। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ তবুও জেঁকে বসেছে শীত। কাঁপছে থরথর। বৃদ্ধার সাথে প্রতিবন্ধী শিশুও কাঁপছে। দাও বারে ক'টাকা? শিশু সন্তান নিয়ে না খেয়ে আছি। এ কথা বলে চলে যাচ্ছেন বৃদ্ধা। এই যে শোনো বাহে চাচি? চিল্লায় উঠে শরিফুল। যাত্রী শরিফুল একজন কামলা মানে দিনমজুর। তিনি আক্কেলপুরে গেছেন কামলা দিতে। কিছু ক্ষেত্রে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শান্তিপ্রিয় মানুষ যদি খোঁজা দেয় তাহলে উত্তরবঙ্গের নীলফামারি জেলার মানুষের মধ্যে শান্তশিষ্ট মানুষ পাওয়া যাবে। এ অঞ্চলের মানুষের আছে মায়া, মমতা ও ভালোবাসা।

দরদী শরিফুল তার পকটে থেকে বিশ টাকা বের করে বৃদ্ধাকে বলল, বাহে! চাচি এখান থেকে দশ টাকা নেন আর আমাকে দশ টাকা দেন। অভাগী বৃদ্ধা দশ টাকা নিয়ে খুশি হয়ে। পরের যাত্রীর কাছে হাত আবার পাতায়। ভিক্ষুকের ভিক্ষা করা তো স্বভাব। তো বৃদ্ধার আর কোনো খোঁজ মেলে না। তবে খোঁজ মেলে শরিফুলের দান করার আত্মতৃপ্তি দেখে।

ঘটনা রহস্য তৈরী হয় তাকে ঘিরে। শরিফুল ট্রেনের ভিতরে চিল্লাতে চিল্লাতে তার নিকট আত্মীয় স্বজনের বলতেছে, আমি দশ টাকা আল্লার রাস্তায় দিলাম।
এই যে বাদাম বেচা আয় এদিক আয়। আমার পকেটে দশ টাকা আছে আর! বিশ টাকা ছিল আল্লার রাস্তায় দিলাম। তুইও দশ টাকা নে। আর বাদাম দাও। সবাই মিলে খাই। আরে হরি দাদা তুই দশ টাকা ভিক্ষা দে। ভিক্ষা দিলে স্বর্গে যেতে পারবি! হরি তার মাথার কপালে দুভাজ দিয়ে বসে আছেন। ভাবছে রাত ১১ টা বেজে গেল! কখন বাড়ি যাব? অপরচিত এক ব্যক্তি বলতেছে শরিফুল ভাই শুনেন। আপনি কোথায় যাবেন?
শরিফুল বলল ডোমারে যাব ভাই।

অপরিচিত ব্যক্তি বলল, মনে কিছু না করলে একটা প্রশ্ন করতে পারি? শরিফুল বলল, আপনি চিৎকার করে বেড়াচ্ছেন একটু আগে আল্লাহর রাস্তায় দশ টাকা দিলেন। সেই আল্লাহর রাস্তা এত কঠিন কেন ভাই?
শরিফুল বলল, কেন ভাই কি হয়েছে? অপরচিত ব্যক্তি বলল, হরি দা কে স্বর্গের পথ দেখালেন। আর বললেও বৃদ্ধা যে পথে আছে সেটা কি আল্লাহর রাস্তা। তাহলে বৃদ্ধা মহিলার মত আপনি ওভাবে ভিক্ষার থলে নিয়ে বেড়াতে পারবেন?

হতভম্ব হয়ে শরিফুল তাকিয়ে আছে! শরিফুল বলল- যুবক বয়সে শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি আছে। প্রতিদিন কাজকাম করে খেতে পাই। আমি কেন সে পথে যাব।

তাহলে একটু আগে তো হরিদাকে বললেন বৃদ্ধাকে দশ টাকা দিয়ে স্বর্গে যেতে? শরিফুল বলল, স্বর্গের তো সুখ আর শান্তির জায়গা। অপরিচিত ব্যক্তি বলল, আল্লাহর রাস্তা কেমন? ক্ষানিকটা চুপ করে শরিফুল উত্তর দিল সে জায়গা চির সুখের জায়গায়।

 

ডিএসএস/

Header Ad
Header Ad

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার ময়লাপোতা এলাকায় ‘শেখ বাড়ি’ নামে পরিচিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র আজ (বুধবার) রাতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের আহ্বানে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা সেখানে জড়ো হয়ে বাড়িটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং সিটি করপোরেশনের দুটি বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে গত ৪ আগস্ট ‘শেখ বাড়ি’তে প্রথম দফায় আগুন লাগানো হয়। সেদিন বাড়িটি খালি থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। একসময় যেখান থেকে খুলনা অঞ্চলের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো, আজ সেটির অস্তিত্ব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো।

প্রসঙ্গত, ‘শেখ বাড়ি’ ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচার মালিকানাধীন। এ বাড়িতে তাঁর চাচাতো ভাই, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সোহেল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন পরিবারের সদস্য বসবাস করতেন। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে এ বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা ছিল।

বুলডোজার চালানোর সময় ছাত্র-জনতার বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যায়। তাঁদের দাবি, বৈষম্যমূলক রাজনৈতিক শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল এই বাড়ি, তাই এটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য।

Header Ad
Header Ad

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে। আজ বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, সন্ধ্যা ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জড়ো হয়। তারা স্লোগান দিতে দিতে জাদুঘরের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ জাদুঘরের বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করে।

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণের বিরোধিতা করে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২' নামে একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে, বুলডোজার ছাড়াই তারা নিজ হাতে ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও বিক্ষোভকারীদের থামাতে ব্যর্থ হয়। বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে পরিচিত, যেখানে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগে বসবাস করতেন।

Header Ad
Header Ad

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা কী করলাম বা করলাম না- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটি দিয়ে আমাদের বিচার করবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং এর ভিত্তিতেই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, "এটি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। আমি জাতির পক্ষ থেকে কমিশনের দুই চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই দুটি প্রতিবেদন দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। আপনি দরিদ্র, মধ্যবিত্ত বা ধনী যেই হোন না কেন, এই সংস্কারের প্রভাব থেকে কেউই বাদ যাবেন না।"

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকরা তাদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পাবেন। আমরা যেন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাই, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।"

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "যাতে সবাই মনে করতে পারে, এখানে প্রকৃত সত্য বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। আমাদের তো পণ্ডিত হতে হবে না এটি বোঝার জন্য, কারণ প্রতিদিনই আমরা নানা অবিচারের শিকার হই।"

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সংস্কার কমিশনের কাজ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্বের দরবারে এটি তুলে ধরতে হলে এর ইংরেজি অনুবাদ করা প্রয়োজন।"

কমিশনের সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "আপনাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও গবেষণার সংমিশ্রণে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দলিল হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কী করলাম বা করলাম না, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের সেই কাজের জন্যই বিচার করবে। তারা প্রশ্ন করতে পারে, আপনারা তো পেয়েছিলেন, তাহলে বাস্তবায়ন করেননি কেন? কারণ, সবকিছু তো বইয়ের পাতায় লেখা আছে। এই কাজ জাতির জন্য এক মূল্যবান স্মারক হয়ে থাকবে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা
আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান
মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা
খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি
বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব