শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অবসরে শিক্ষার্থীদের যা করা উচিত

পড়াশোনা ও গবেষণার বাইরে শিক্ষার্থীর আর কোনো মৌলিক কাজ আছে বলে মনে করি না। অবসর সময়ের জন্য আছে নানান পন্থা, তবে এর ফাঁকে এক্সট্রাকারিকুলামে নজর দিতে হয়ে। আমরা ভাবি দিনে পাঁচ ঘণ্টা পড়লে দিনের পড়া শেষ। তাই বাকি সময়টুকু ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বা সোশাল মিডিয়ায় ব্যয় করি, কেউবা অনলাইন গেমসে বুদ হয়ে থাকি, কেউবা আবার মনে করি, বাকি সময়টুকু ছাত্র সংগঠনে ব্যয় করি। এতে সময় কাজে লাগলো, সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি হলো। এটা ভালো চিন্তা। কিন্তু আমাদের ছাত্র সংগঠনগুলো বিশেষ রাজনৈতিক দলের দখলে চলে গেছে।নেতাদের পকেট কমিটি দ্বারা সংগঠন গুলো পরিচালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশে চলছে অপ-ছাত্র রাজনীতির খেলা। কেউ খেলছে ব্যক্তির নামে, কেউ ধর্মের নামে, কেউ নীতির নামে, কেউবা আবার জনমিতির দায়ে। কোথাও চলছে নেতাগীরি, কোথাও বসগীরি, কোথাও ভাইগীরি কোথাও আবার দায়িত্বশীলগীরি। তাই যতটুকু সম্ভব কথিত দলগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা উত্তম। সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্র সংসদের বিকল্প নাই। যেহেতু বাংলাদেশের শিক্ষালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ সচল না করা রাজনৈতিক দলের ক্রিয়াকর্মজনিত সুবিধা বিশেষ। তাই সেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোতে মনোনিবেশ করে সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারি। এছাড়াও অবসর সময় ব্যয়ে রয়েছে সময়োপযুগী নানান পন্থা। যেমন;

বই পড়া: বই পড়ার ফলে মানুষের মস্তিষ্কে যে উদ্দীপনা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয় তা মানুষের মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । মানুষের শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো মস্তিষ্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। শরীর সুস্থ রাখতে আমরা যেমন ব্যায়াম করি তেমনি মস্তিষ্ককে সবল ও কর্মচঞ্চল রাখতে বই পড়া বিশেষ জরুরি।

ধর্ম চর্চা: ধর্ম চর্চায় মানুষের জ্ঞান শানিত হয়। পৃথিবীর কোনো ধর্মই অনৈতিকতা প্রশ্রয় দেয় না। ধর্মপ্রাণ মানুষ সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে না বরং অসাম্প্রদায়িক পৃথিবী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। যে মসজিদে যায় সে না যাওয়া ব্যক্তি থেকে উত্তম, যে মন্দিরে যায় সে না যাওয়া ব্যক্তি থেকে উত্তম। যে গির্জায় যায় সে না যাওয়া ব্যক্তি থেকে উত্তম। এককথায় যিনি ধর্ম পালন করেন তিনি ধর্ম পালন না করা ব্যক্তি থেকে উত্তম।

শরীর চর্চা: শরীর সুস্থ থাকলে মন ভালো থাকে। শরীর অসুস্থ থাকলে কাজের আগ্রহ হারিয়ে পেলে। শরীর চর্চায় মন সতেজ হয়, সতেজ মন চিন্তার গতি সঞ্চার করে এবং উক্ত সঞ্চারিত গতি থেকেই নতুন ভাবনা ও ক্রিয়াশীল চিন্তা করতে সক্ষমতা অর্জিত হয়।

সাহিত্য চর্চা: জ্ঞানের পরিপক্কতা আননে সাহিত্য অনিবার্য। আবুল ফজল বলেন, ‘চুরি এবং ফাঁকিবাজি চলে রাজনীতি, ব্যবসা আর অর্থনীতিতে। সংগীতে, শিল্পে আর সাহিত্যে নয়’।

প্রযুক্তি চর্চা: বিশ্ব ব্যবস্থা প্রযুক্তি নির্ভর। চার দেয়ালে আবদ্ধ থেকে বিশ্ব পরিচালনার সময় এসেছে। নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে মুহূর্তেই বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের ব্যক্তির সাথে মেশার সুযোগ হয়। আজকের বিশ্বে ব্যক্তি ঠিক ততোবেশি স্মার্ট,যতোবেশি প্রযুক্তি জ্ঞানের জ্ঞানী।

ধ্যান করা: কর্মের অর্ধাংশ চিন্তন ফল। কর্ম পরিকল্পনা যতবেশি উন্নত কর্ম-ফলাফল ঠিক ততোবেশি সমৃদ্ধ। ধ্যানের মাধ্যমে নতুন বিষয়ের আবিষ্কার ঘটে, ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র বিষয়গুলো চিন্তন ডায়েরিতে যুক্ত হয়। এছাড়াও স্রষ্টাকে চিনতে ও স্রষ্টার সৃষ্টির রহস্য অনুধাবনে ধ্যানের বিকল্প নাই।

লেখালেখি: নব-প্রজন্মের চিন্তার বহিঃপ্রকাশে লেখার বিকল্প নাই। বেঞ্জামিন ডিজরেইলি বলেন, কোনো বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত হতে চাইলে তা নিয়ে বই লেখা শুরু করাই ভালো।

বন্ধুদের আড্ডা: মন-খোলাসা করতে, উচ্ছাশার ভাবনায় লিপ্ত হতে, হতাশার ঘোর কাটাতে,নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনে বন্ধুদের আড্ডা ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের বিকল্প বৈ কি!

ভ্রমণ: ভ্রমণ চিন্তার জগতকে সম্প্রসারিত ও জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ভ্রমণ মানুষকে পরিমিত করে তোলে। ভ্রমণে আপনি দেখতে পারেন যে আপনি পৃথিবীতে কত ছোট জায়গা দখল করেছেন। হিলায়ার বেলোক বলতেন আমরা বিভ্রান্তির জন্য ঘোরাঘুরি করি, তবে আমরা পরিপূর্ণতার জন্য ভ্রমণ করি ।

শখের কর্ম সম্পাদন: মানুষ সে কর্মটিই অধিক সাচ্ছ্বন্দে আন্তরিকতার সহিত সম্পাদন করে,যা তার কর্তব্যের অংশ নয় বরং শখের অন্তর্ভুক্ত। শখের কর্ম মন ভালো রাখে, দেয় তৃপ্তি। শিক্ষার্থীর অতৃপ্ত মনে তৃপ্তি আননে শখের কর্ম অনিবার্য।

গুণীজনের সংস্পর্শ গ্রহণ: পথ চলি, বেড়ে উঠি, বড় হই কিন্তু অনেকাংশেই নিজের উচিত অনুচিত ব্যাপার অনুধাবণ করতে পারিনা।নিজেকে জানতে, গতিশীল করতে গুণীজনের সংস্পর্শ জরুরি।

সমকালীন বিশ্ব জানা: জ্ঞানের মাত্রা বাড়াতে, নিজেকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সমকালীন বিশ্বকে জানতে হবে। প্রতিযোগী হতে হবে বিশ্বমন্ডলের।




মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ত্বোহা
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক