বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

জীবনের মূল্যবোধ

মূল্যবোধ এমন একটি জিনিস যা কখনো নিজের মধ্যে পোষণ না করে অন্যের কাছে আশা না করা ঠিক নয়। মানবিক আচরণ সমৃদ্ধ করার সুষ্ঠু নীতি ও মানদণ্ডই হচ্ছে মূল্যবোধ। এ মূল্যবোধ শব্দটা মানুষকে সমাজ জীবনে মর্যাদাবান হতে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা করে থাকে। যে চিন্তা চেতনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মানুষের মানবিক আচরণ, ব্যবহার ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রিত করে তাই মানবিক মূল্যবোধ। অবক্ষয় ও অস্থিতিশীলতা প্রায়শই মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টির পথে শত বাধা হয়ে বিরাজ করে। মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের ফলে সমাজে নিষ্ঠুর অমানবিক কাজগুলো ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।

জীবন-অস্তিত্ব বা বেঁচে থাকাটা জীবনের মূল্যবোধ বোঝার আগে আসছে। জীবনের প্রথম চাহিদা, প্রথম ও আদি তাগিদ হলো, ‘জীবিকা’। স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে, যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রাথমিক অধিকার বা Fundamental right হলো, নিজের খাওয়া-পরার সংস্থান নিজে করা। এর পরই আসবে self-esteem বা স্বাভিমান। ব্যক্তি-স্বাধীনতা ও স্বাভিমান বা আত্মমর্যাদা, এই দুটি শক্ত শিকড়ের বুনিয়াদে গড়ে ওঠে জীবনের মূল্যবোধ এবং সারা জীবন আমরা প্রতি পদে পদে জীবনের মূল্যবোধ উপলব্ধি করতে থাকি। জীবনের চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন। কেউ চায় অর্থ, কেউ চায় জ্ঞান, কেউ চায় ভক্তি, কেউ চায় প্রেম, কেউ চায় ক্ষমতা, কেউ চায় যশ ইত্যাদি। এবং এই উচ্চাকাঙ্ক্ষার কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা টানা যায় না। কথায় বলে বটে, ‘অতি বাড় বেড় না, ঝরে পড়ে যাবে’—কিন্তু আমার যদি বুদ্ধি থাকে, শক্তি থাকে, দক্ষতা থাকে, তবে আমি ঝড়কে উপেক্ষা করতে পারি। আমার ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস থাকলে কেন বাড় বাড়ব না? আকাঙ্ক্ষা গগণচুম্বী হবে না সীমারেখা মেনে চলবে, তা সবটাই নির্ভর করে ব্যক্তিবিশেষের চারিত্রিক দৃঢ়তার ওপর। আমরা আরম্ভ করি, শেষ করি না, আমরা আড়ম্বর করি, কাজ করি না, যাহা অনুষ্ঠান করি তাহা বিশ্বাস করি না, যা বিশ্বাস করি তা পালন করি না’। আবার আমাদের সমাজে অনেককে দেখা যায় আত্মপ্রশংসায় পঞ্চমুখ। তারা নিজেকে বড় বলে প্রচার করে এবং নিজের কর্মকীর্তি নিজেই প্রচার করতে অভ্যস্ত। আপনার কাজ আপনি করে যান নীরবে নিবৃত্তে। সাফল্য, সুনাম, যশ, খ্যাতি অমূল্য ভূষণ হয়ে আপনার চারিত্রিক মাধুর্যকে স্বমহিমায় ফুটিয়ে তুলবে। আত্মতুষ্টি থাকা ভালো, তবে আত্মপ্রশংসা এক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। আপনার মহৎ কাজের স্বীকৃতি প্রশংসার বাণী নিয়ে আপনার মাথায় মুকুট হয়ে শোভা বর্ধন করবে।

প্রাথমিক ধারণায় জীবনের মূল্যবোধকে আমরা সবাই সম্মান করি Universal moral values-এর যে সম্পর্কে তাবৎ বিশ্ববাসী সহমত। সেই নৈতিক গুণাবলী হলো— সততা, বিশ্বাস, প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা, ধৈর্য, শ্রদ্ধা, সহমর্মিতা, শ্রম, সত্যানুরক্তি, কর্তব্যপরায়ণতা, কৃতজ্ঞতা ইত্যাদি।

যাদের মধ্যে এই মানবিক গুণগুলির অভাব দেখা যায় তারা anti-social elements চোর-ডাকাত-খুনি প্রতারক-নিপীড়ক ইত্যাদি। কিন্তু এর মধ্যেও একটা ভাববার কথা আছে। ডাকাতে-পুলিশে হয়ত সমবেদনা-সহানুভূতির সম্পর্ক নেই। কিন্তু চোর-ডাকাতের নিজেদের গোষ্ঠীতে হয়ত তারা জীবনের মূল্যবোধের পরিচয় দেয়। এদের জীবনের মূল্যবোধ সংকীর্ণ গণ্ডির মধ্যে। সংসার জীবনে এক ডাকাত হয়ত স্নেহময় পিতা বা দায়িত্বশীল পুত্র এবং প্রেমময় স্বামীর ভূমিকা পালন করছে।

কর্মক্ষেত্রে ‘স্বজন-পোষণ’ নীতিতেও জীবনের মূল্যবোধ বিঘ্নিত হয়। যেমন, আমি আমার বোনপো বা ভাগ্নিকে খুব স্নেহ করি। আমার অফিসে তার কাজের ব্যবস্থা করে দিলাম। নিজের স্নেহ-ভালবাসাকে সম্মান দিলাম ঠিকই কিন্তু এর জন্য হয়ত এক যোগ্যতর প্রার্থীকে বঞ্চিত করলাম। জীবনের মূল্যবোধ লজ্জিত হলো।

মূল্যবোধ অহরহ পিষ্ট হয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। অ্যাম্বুলেন্স-কর্মী মুমূর্ষু শিশুর নাক থেকে অক্সিজেনের নল খুলে নিল। কারণ সিলিন্ডারটি অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালের শয্যা পর্যন্ত নাকে অক্সিজেনের নল রইল না। তার আশঙ্কা, যদি সিলিন্ডারটি খোয়া যায়। ফলতঃ শিশুর মৃত্যু। কিন্তু একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, নিজের সন্তানের ক্ষেত্রে কিন্তু কর্মীটি এমন অবিবেচনা কাজ কখনোই করত না। অর্থাৎ সেই আপন-পর বিভেদ, স্বার্থপরতা। দ্বেষ-হিংসা-স্বার্থপরতা সব সময়ে জীবনের মূল্যবোধের অন্তরায়। মাদার টেরেসা পথ শিশুকে বুকে তুলে নিতেন। এই হলো জীবনের মূল্যবোধের সার্থকতা।

জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় দাম্পত্য, এমন এক সম্পর্ক, যাতে রক্তের সম্পর্ক নেই। অথচ সারা জীবন একসাথে পথ চলার শপথ। জীবনের মূল্যবোধে নিবিড়তম যোজনা হলো দাম্পত্যের দাবি। অত্যন্ত সংকটময় পরিস্থিতি। দুটি পৃথক সত্তার জীবনের মূল্যবোধ ভিন্ন-ভিন্ন। অতএব দ্বৈত পথ চলায় সংঘাতের সম্ভাবনা থাকবেই। সে অন্য প্রসঙ্গ।

‘তুমি-আমি দুজন প্রিয়, তুমি-আমি দুজন’ এর বৃত্তে যখন যখন সন্তান এর আবির্ভাব ঘটে, তখন পিতা-মাতার জীবনের মূল্যবোধের বৃত্তে, সন্তান থাকে কেন্দ্রে। বিশেষ করে নতুন মায়ের জীবনের মূল্যবোধে সন্তানই মুখ্য, বাকি সবকিছু গৌণ! জীবনের একটি অধ্যায় একেক ধরনের আবেগ-অনুভূতি প্রাধান্য পায়।

দায়িত্ব-কর্তব্যের সারা জীবন বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আমরা জীবনের মূল্যবোধের চর্চা করি। যখনই দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলা হয়, তখনই জীবনের মূল্যবোধ ক্ষুণ্ন হয়। নবীন প্রজন্মের জীবনের মূল্যবোধ নিয়ে সমাজের প্রভূত আক্ষেপ। প্রবীণের অভিযোগ, তাদের ঔদ্ধত্য ও বেপরোয়া প্রকৃতি। কিন্তু প্রবীণ প্রজন্ম যদি পিছু ফিরে তাকায়, তবে মনে পড়বে, তাদের কৈশোরে-যৌবনে তারাও গুরুজনদের কাছ থেকে একই অভিযোগ শুনতেন। প্রবীণ প্রজন্মের জীবনের মূল্যবোধ ছিল পরিবার ভিত্তিক। বর্তমান প্রজন্মের মূল্যবোধ আত্মকেন্দ্রিক।

সুখ-শান্তি নয়, জয়ই কাম্য, এটা বর্তমান প্রজন্মের দাবি' কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘নর দিল ক্ষুধা, নারী দিল সুধা’। বর্তমান প্রজন্মের মূল্যবোধ বলছে, ‘ক্ষুধা নারীরও আছে এবং সুধা পুরুষেরও তরফেও বর্ষিত হওয়া চাই। জীবনের মূল্যবোধে নারী-পুরুষের ভূমিকা পৃথক-পৃথক নয় মোটেই।’

কেরিয়ার-ক্ষুধা- হচ্ছে নবীন প্রজন্মের নিশানাযুক্ত মূল্যবোধ। ‘আমার জীবন আমার’ এই জীবনবোধ কিন্তু শেষ কথা নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করার দায়িত্ব কিন্তু নবীন প্রজন্মের। প্রবল আত্মবিশ্বাস, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, উচ্চশিক্ষা অবশ্যই জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে। কিন্তু মানুষ তো একা নয়, সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে হলে একক উন্নতি কোনো কাজে আসে না। 'আমি ব্যক্তিগত উন্নতি নিয়ে এমনি মত রইলাম, সন্তানকে কোয়ালিটি টাইম টুকুও দিলাম না। সে গোল্লায় গেল, তখন ব্যক্তিগত সাফল্য-ব্যর্থতার নামান্তর। ব্যক্তিগত সাফল্য সম্পূর্ণ মূল্যহীন যদি না তা পরবর্তী প্রজন্মকে উচ্চতর আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

একটি মাত্র জীবন আর এই জীবনের মূল্যবোধ সর্বজনীন-সর্বকালীন, তার অদল-বদল হয় না। যুগে-যুগে বংশ পরম্পরায় দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টায়। ধ্যান-ধারণার রকমফের ঘটে। কিন্তু মূল কাঠামোটি অর্থাৎ Universal Moral Values অটুট থাকে। সর্বাঙ্গসুন্দর জীবন গড়ে ওঠে ব্যক্তিসত্তার সার্থক বিকাশে। আর জীবনের মূল্যবোধকে যদি এক বাক্যে প্রকাশ করি, তবে বলতে হয়, ‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্টের রায়ে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ সকল আসামি খালাস পেয়েছেন। ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এই রায় দেওয়া হয়।

আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কায়সার কামাল ও মো. মাকসুদ উল্লাহ, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান।

এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি মামলার ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।

২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রুস্তম আলী এ মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং আসামিরা খালাস চেয়ে আপিল করেন। আজকের রায়ে সবাইকে খালাস দেওয়া হলো।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, "এই মামলায় আইনের চরম অপপ্রয়োগ হয়েছে। কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল একটি পক্ষপাতদুষ্ট রায়। মামলার তদন্তও ছিল দুর্বল, অবহেলাজনিত ও কাল্পনিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।"

তিনি আরও বলেন, "এই মামলায় দণ্ডিত ৪৭ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে দুজন মারা গেছেন। বাকি ৪৫ জনের মধ্যে ৯ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন, আর বাকিরা গত ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।"

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে হামলার শিকার হন। ট্রেন লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। প্রথমদিকে বিএনপির ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করা হয়।

পরের বছর তদন্তে কোনো সাক্ষী না পাওয়ায় পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়, যা তৎকালীন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে গৃহীত হয়। তবে আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৫২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘদিন বিচারিক প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে আজ হাইকোর্টের রায়ে সকল আসামিকে খালাস দেওয়া হলো।

Header Ad
Header Ad

হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও। ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশি ইথিক্যাল হ্যাকিংগ্রুপ ‘সাইবার কমিউনিটি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা ছাত্রলীগের পেজটি নিষ্ক্রিয় করেছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফেসবুকে একাধিকবার খুঁজেও পেজটি পাওয়া যায়নি।

এদিকে সাইবার কমিউনিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে রাত ৯টায় লাইভে আসার কথা।’ সেই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিনগত রাত ২.১০ মিনিটে ছাত্রলীগের ওই পেজটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সেই সাথে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজের বিরুদ্ধেও কাজ চলমান।

‘সাইবার কমিউনিটি’ জুলাই আন্দোলনে বাংলাদেশে সাইবার যোদ্ধা হিসেবে মানুষের আস্থার জায়গা করে নিয়েছে, এরই ধারাবাহিকতায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লেখেন, হাসিনাকে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেয়াকে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে দেখি।

ফেব্রুয়ারিতেই ছাত্র-তরুণের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ফেব্রুয়ারিতেই ছাত্র-তরুণের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। সেখান থেকেই তিনি ও তার দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।

Header Ad
Header Ad

হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা

হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা। ছবি: সংগৃহীত

তিন দশক আগে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গণে সংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঈশ্বরদী থেকে আসা বিএনপির একদল উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী এই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ৷

রায় ঘোষণার পর বুধবার বেলা ১২টার দিকে হাইকোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে৷ সেখানে এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের ব্রিফিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সাংবাদিকরা৷

হামলায় আহত হয়েছেন এটিএন নিউজের সিনিয়র রির্পোটার জাবেদ আক্তার৷ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ হামলার সময় বৈশাখী টেলিভিশনের মাইক্রোফোন ভাঙচুরসহ মারধর করা হয় আরও কয়েকজন সাংবাদিককে৷

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইনজীবীরা অভিযোগ করে বলেন, হঠাৎ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের উপস্থিতিতে শতাধিক নেতাকর্মী হোট্টগোল শুরু করেন৷ এর প্রতিবাদ জানালে এক পর্যায়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান নেতাকর্মীরা৷

ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক ব্রিফিং বর্জনের পাশাপাশি এনেক্স চত্বরের বসে পড়েন সাংবাদিকরা৷ এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং জড়িতদের চিহ্নিত করার দাবি জানান সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত সাংবাদিকরা৷

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন  
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত গ্রেফতার  
জাবিতে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের ঘোষণা  
মুসলিম লীগ যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হবে : সলিমুল্লাহ খান
ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৮ বুয়েট শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার  
জীবননগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি যুবক আটক
নগদের সাবেক চেয়ারম্যান-এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা জালিয়াতির মামলা