ধর্ম

ধর্মকে অন্তরে ধারণ করো, লালন করো এবং ধর্মকে সবার আগে হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করো তারপর জমিনে ছড়াও আর ধর্মের বীজ বপন করো। নিজে যদি আগে শুদ্ধ না হও তবে পৃথিবী কিংবা এ সমাজ শুদ্ধ করবে কীভাবে? সবার আগে আত্মশুদ্ধির প্রয়োজন।
একজনের দোষে আরেকজন দোষী হতে পারে না, কিংবা একের দায় আরেক জনের ঘাড়ে দেওয়া অনুচিত।
অনেক সময় দেখি কোনো পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননা হলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা বৈষম্য তৈরি হয়। পবিত্র গ্রন্থের অবমাননা সত্যিই হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করবে, হৃদয়কে দাউ দাউ করে পোড়াবে, এটাই স্বাভাবিক। এর জন্য প্রতিবাদ হবে, বিক্ষোভ হবে এটাও স্বাভাবিক কিন্তু তাই বলে কি প্রতিবাদের ভাষা হবে হিংসাত্মক কিংবা আগুন জ্বালিয়ে মানুষের ঘরবাড়ি, আর গবাদিপশু পুঁড়িয়ে ছাই করে দেওয়া? এটা কেমন ধর্মবোধ?
একজনের দোষে শতশত নিরীহ জনের বিরুদ্ধে এমন বিভৎসতা, পৈচাশিকতা কোনো ধর্ম সমর্থন করে বলে আমার জানা নেই।
হৃদয়ে যদি আত্মবিচার বোধ না থাকে, আত্মনিয়ন্ত্রণ বোধ না থাকে, আত্মউপলব্ধি বোধ না থাকে তবে সে হৃদয় কীভাবে ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হবে?
কিছুদিন আগে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননা করাকে কেন্দ্র করে যে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি হলো তা কাম্য নয়। পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ যারা অবমাননা করেছে, তাদের খুঁজে বের করতে দলমত নির্বিশেষে সবার এক কাতারে দাঁড়ানো উচিত ছিল। কিন্তু কিছু শয়তানের দল, সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে উসকে দিয়ে জলঘোলা করে নিরীহ মানুষের জানমালের ক্ষতি করছে।
মনে রাখতে হবে, যারা ধর্মগ্রন্থকে অসম্মান করে তাদের কোনো ধর্ম নেই, তারা মানুষরুপী শয়তান। শয়তানের আবার ধর্ম কি!
লেখক: মাঈন উদ্দীন, কুষ্টিয়া
আরএ/
