বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

৩১ বছরে কেউ কথা রাখেনি

কেউ কথা রাখেনি। সরকার অন্ধ ও বধিরদের। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কেউ কথা রাখেনি কবিতার লাইনই আজ লেখার মূল শিরোনাম। রাষ্ট্রে বহুমাত্রিক সংকট বর্তমান, কিন্তু একটি মৌলিক সংকটকে উপেক্ষা করে সরকার আরও অসংখ্য সংকট তৈরি করছে। এটা কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে গেল সেটাই আজ বিস্ময়কর ও আশ্চর্যজনক বটে। চরম সত্যের খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আজ সুনীলের বিখ্যাত সেই কবিতার লাইন।

রাষ্ট্র জন্মের বিগত ৫২ বছরে যে হারে কথা না রাখার সংস্কৃতি চালু হয়েছে সেটা ভাববার বিষয়। এই সময়ে রাষ্ট্রের শাসনে যে দলই ক্ষমতায় এসেছেন তারাই জিইয়ে রেখেছেন এই কথা না রাখার সংস্কৃতি। বলছি কবিতায় কথা না রাখার ৩৩ বছর আর বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের ৩১ বছর। এই বাস্তবতা আজ চরম সত্য। প্রতিষ্ঠার ৩১ বছরেরও অধিককাল উচ্চশিক্ষায় নিযুক্ত শিক্ষক শ্রেণি বেতনবঞ্চিত। এই তথ্য জানে না মন্ত্রী, সচিব থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট অনেকেই। এই গুরুত্ব উপলদ্ধি করতে না পারাটাও চরম চিন্তার দারিদ্র্য বলেই মনে হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর জল গড়িয়েছে বহুদূর। কিন্তু কথা রাখেনি কেউ! ভাবখানা এমন কথা দেওয়া হয়েছে কথা না রাখার জন্য।

সরকারের ভাষ্যমতে, গলগ্রহ আর করুণা প্রত্যাশী এসব শিক্ষক, কিন্তু বিষয়টি অধিকারের, আইনের শাসন ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার। বাস্তবতা হলো এটা শিক্ষকদের অধিকার এটা রক্ষা করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব, সাংবিধানিক অধিকার। স্পষ্টত সংবিধানে এই শিক্ষাব্যবস্থা অবৈতনিক, একমুখী ও সার্বজনীন ঘোষণার পরেও কীভাবে চলে এমন অন্যায় সেটাই আজ প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। অথচ গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব নৈরাজ্য আর অবিচার চললেও অবসান হয়নি। ক্রমান্বয়ে ঘনীভূত হয়েছে ক্ষেত্র বিশেষে। আর এই নীরব ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে মানবেতর দিনযাপন করছেন বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজের বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রায় ৫ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক।

সুদীর্ঘ এই সময়ে দেশের গণমানুষের প্রধান দুটি দল ক্ষমতায় টিকে ছিল। ছিল আধ ডজন শিক্ষামন্ত্রী। সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল সামনে রেখে সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বহুক্ষেত্রে ঘটেছে সুদূর প্রসারী পরিবর্তন। অথচ গুণগত পরিবর্তন হয়নি এইসব ভাগ্যবিড়ম্বিত শিক্ষকদের। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষায় মেগা প্রজেক্টের কথা বলে দিয়েছেন সান্ত্বনা, শিক্ষামন্ত্রীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, সচিবদের সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করাসহ সরকারের সব মুখপাত্রই দীর্ঘদিনের জমে থাকা এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও কথা রাখেনি কেউ। এমন টালবাহানার মধ্যেই কেটে গেছে ৩১ বছর। আর এই শোষণ এখন অন্যায়, অবিচার আর বঞ্চনার ২৪ বছর বারবার সামনে এনে দাঁড় করাচ্ছে পাকিস্তানের লুটপাট আর শোষণ। অধিভুক্ত কলেজের কলেজ প্রশাসন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আর সরকারের অদূরদর্শী শিক্ষাচিন্তার ফলেই টিকে আছে এই শোষণ।

সরকারের বিতর্কিত শিক্ষানীতি, খামখেয়ালিপনা, সিদ্ধান্তহীনতা আর অদক্ষ পরিচালনার কারণেই উচ্চশিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত আজ ধ্বংসের কিনারায়। কথা না রাখার সংস্কৃতির কারণে একদিকে যেমন সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় পিছিয়ে গেছে অন্যদিকে বিঘ্নিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গতি পেয়েছে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা। সর্বাত্মকবাদী, ফ্যাসিবাদী সরকারে শিক্ষা ও সংস্কৃতির সংকোচন নীতির মতো চলেছে বিগত দিনগুলো।

১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৩ সাল থেকে স্থানীয় পর্যায়ের বেসরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজগুলো নিয়োগ দেওয়া শিক্ষকদের তাদের নিজস্ব আয় থেকে বেতন দেবে এই শর্তে অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে কলেজগুলো। এই বিষয়ে শিক্ষক নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরণাপন্ন হলে তারাও এ বিষয়ে কোনো সমাধান দিতে পারেনি। অভিভাবক প্রতিষ্ঠানের এমন নিরবতা আর অধিভুক্ত কলেজগুলোকে শিক্ষা ব্যবসার সুযোগ দানের ভেতর দিয়েই শুরু কথা না রাখার সংস্কৃতির। কারণ হিসেবে কলেজ দেখিয়েছিল কলেজে পর্যাপ্ত আয় না থাকা কিন্তু বাস্তবতা ছিল উল্টো। এসব শিক্ষকদের শ্রমকে পুঁজি করে কলেজগুলো ব্যবসার জাল পেতে বসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যক্ষ মদদে। শিক্ষক ও ছাত্রদের এভাবে ধোঁকা দিয়েই চলছে পাঠদান কার্যক্রম মূল কুশীলবের ভূমিকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের শোষণ করে শিক্ষকদের ফাইফরমাস খাটিয়ে দিনের পর দিন অধিভুক্ত কলেজগুলো চালিয়ে যাচ্ছে এমন অন্যায় আর অবিচার।

শিক্ষকদের বেতন দেয় না প্রতিষ্ঠানগুলো অপরপক্ষে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় উচ্চ হারে বেতন। কলেজভেদে এই বেতনের পরিমাণ ৫০০-১৫০০ ছাড়িয়েছে কোথাও কোথাও। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের দাবি এমপিও নতুবা বেসরকারি অর্থের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শিক্ষকদের বৈষম্য হ্রাস। এমন বৈষম্য বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনো লাভ হয়নি উল্টো নবায়নের নামে কামিয়েছে কাড়ি কাড়ি টাকা। ইউজিসির টাকায় অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চললেও ছাত্র অনুপাতে বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। সাম্প্রতিক সময়ে কলেজগুলোর টাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি লাভজনক খাতে পরিণত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের প্রধান উৎস এখন এসব কলেজগুলো। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর যোগসাজসে বেশ সম্প্রসারণশীল এই বাজার বেশ রমরমা। এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজপথে দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছেন শোষিত-বঞ্চিত শিক্ষকসমাজ। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির দল ক্ষমতায় থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের এমন দৈন্যতা নিশ্চিতভাবেই স্ববিরোধী। বঞ্চনার এই দীর্ঘসময়ে গত একযুগে দেশের প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, সচিব, সাংসদ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ডিসি, ভিসিসহ মিটিং মিছিল লবিং স্মারকলিপি দেন দরবার করেও কোনো লাভ হয়নি। সবাই আশা দিয়েছেন, কিন্তু কথা রাখেননি কেউ। এই অন্ধ, মূক ও বধির সরকার শোনেনি শিক্ষকদের চিৎকার। শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি সরকার।

শিক্ষকদের ভাষ্যমতে, একই নিয়মে নিয়োগ নিয়ে সদ্য জাতীয়করণ করা কলেজগুলোর শিক্ষকরা যদি সরকারি বেতনের অংশ পেতে পারে, ডিগ্রির তৃতীয় শিক্ষকরা যদি এমপিও পেতে পারে তাহলে তাদের সমস্যা কোথায়। আদতে কোনো সমাধান নেই খোদ সরকারেই হাতেই। নিপীড়িত এসব শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার বিষয়ে সবোর্চ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। কেন অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হবে না এই মর্মে সংসদে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষমেষ তারাও কথা রাখেনি। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি বারবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব সমস্যার সমাধানকল্পে কাজ শুরু হয়েছে বললেও এখন পর্যন্ত তার আন্তরিকতার দৃশ্যমান কোনো প্রতিফলন চোখে পড়ছে না।

জাতীয় স্বার্থে রাষ্ট্রের একটা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উচ্চশিক্ষার মতো জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারের এমন নীরব ভূমিকা খোদ শিক্ষকদেরই ভাবিয়ে তুলেছে। শিক্ষাকে অবহেলা করে অতীতে পিছিয়ে গেছে এমন দেশের নজির বিরল নয়। এতে রাষ্ট্রেরই ভীত দুর্বল হয়ে ওঠে। শিক্ষায় বৈষম্য আর অবিচারের ফলে তারা তাদের অনিবার্য পতন রোধ করতে পারেনি। বাংলাদেশের শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের চিন্তা এর বাইরে নয়। সবশেষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও সেটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।

রাষ্ট্রে সমস্যা ছিল, আছে, থাকবে সমাধানও আছে কিন্তু একটা সমস্যা কীভাবে দীর্ঘ ৩১ বছর টিকে থাকে কল্যাণকর সরকারের তকমার মধ্যে। এভাবে টিকে থাকা সমস্যা সরকারের অদূরদর্শী, ভঙ্গুর, আর ব্যর্থ রাষ্ট্রের লক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়। শিক্ষা নিয়ে সরকারের কোনো কার্যকর গুণগত পরিবর্তনমুখি টেকসই পরিকল্পনা আছে কি না সেটা সুশীল সমাজের বোধগম্য নয়। মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ও বিশ্ব প্রতিযোগিতার বাজারে নিজের নিরাপত্তা কতটুকু নিশ্চিত করতে পারবে সেটা সময়ই বলবে। এভাবে কথা না রাখার সংস্কৃতি জাতি হিসেবে আমাদের কোথায় দাঁড় করাবে সেটা বিবেচ্য বটে। ফলে সুনীলের সেকথাই আজ চরম সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবেই দিন কেটে যায়। নিখিলেশরা কখনো এসে দেখে না, তাদের ভাগ্য বিধাতাও চোখ মেলে তাকাই না।

হাসিবুল হাসান: অ্যাসিসন্ট্যান্ট ম্যানেজার,
সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বাংলামোটর, ঢাকা।

এসএন

 

 

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের জৈব সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি বেলা আড়াইটার দিকে জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলী এবং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মঈন উদ্দিন ও সদস্যসচিব মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক চিঠিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কার হওয়া নেতারা হলেন, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাশার, সহসভাপতি খাদেমুল খোকন, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল কাশেম, বাঁকা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. রাজা মালিথা।

বহিষ্কার পত্রে বলা হয়, আপনি গত ০৪-০২-২০২৫ ইং তারিখ বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদে জৈব সার বিতরণ ও সার সরবরাহের ব্যাপারে অনধিকার প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সুষ্টি করায় দলের ভাবমূতি নষ্ট করেছেন। বিধায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল হইতে বহিষ্কার করা হলো।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদে জৈব সার বিতরণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিএনপির দুই গ্রুপ ও জামায়াত ইসলামীর দ্বন্দ্ব চলছিল। এরমধ্যে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১২২ বস্তা সার পাওয়ার টিলার করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা আটক করে। এই সার নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি খাদেমুল খোকন জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সার আটকের পর বাঁকা ইউনিয়ন যুবদল নেতা রাজা ফেসবুকে লেখেন, বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি মো. আবুল বাশার ও সহ-সভাপতি মো. খাদেমুল ইসলাম খোকন ভুয়া প্রকল্প করে মাটি ভর্তি সার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ে আসে। বিষয়টি মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় আজ ৪/২/২৫ ইং রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় স্যার পাওয়ার টিলার ভর্তি করে পাছার করার সময় জনতা ধাওয়া খেয়ে গাড়িসহ ধরা খায়। এই চোরের দায়দায়িত্ব বিএনপি দল নেবে না। এই দুইজন বিএনপি নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আবুল কাশেম বলেন, বিএনপি কোনো চোরের দল না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠছে। যদি ঘটনা সত্য হয় আমরা তার শাস্তি চাই।

বাঁকা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা মফিজুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১২২ বস্তা সার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয়েছে। গাড়ির চালক এ ঘটনায় দুজনের নাম বলেছেন। আমাদের দাবি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এ বিষয়ে বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বাঁশার বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। ইউনিয়ন পরিষদেরও কেউ নই। চেয়ারম্যান বরখাস্ত হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনিই সারের অনুমোদন করেছিলেন। আমাকে জড়িয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হলে তা মিথ্যা হবে।’

এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, পাওয়ার টিলারে করে সার নিয়ে যাচ্ছিল, এসময় স্থানীয় লোকজন আটক করেছে। আমরা জিডিমূলে সারগুরো থানা হেফাজতে রেখেছি। এই সারের উৎস কি, কোথায় থেকে আসছে সেটি জানার জন্য প্রশাসনের কয়েকজনকে ফোন দিয়েছিলাম, তবে তারা কিছু বলতে পারেননি।

 

 

Header Ad
Header Ad

আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন

আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন। ছবি: সংগৃহীত

আজ ৫ ফেব্রুয়ারি, বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন। প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে গোসল উপভোগ করতে পারেন। আবার গোসলকে নিয়মিত কাজের থেকে একটু বেশি আকর্ষণীয় বা স্মরনীয় করতে চলে যেতে পারেন দূরে কোথাও।

সেটা হতে পারে সমুদ্র বা সুইমিং পুল। আবার চলে যেতে পারেন গ্রামের পুকুরে। শৈশবের মতো দাপিয়ে গোসল করতে পারেন নদী, খাল-বিলেও। এতে বন্ধুর সাথে সুসময় কাটানোর পাশাপাশি শরীর ও মনে আসবে তাজা অনুভূতি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর ডেনভার শহরের একটি কোম্পানি ২০১৪ সালে ৫ ফেব্রুয়ারিকে 'ন্যাশনাল শাওয়ার উইথ এ ফ্রেন্ড ডে'- হিসেবে স্বীকৃতির আবেদন করে। পরে ২০১৫ সালে এটিকে দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

এই দিনটি পালনের মূল উদ্দেশ্য সুস্থ ও জীবানুমুক্ত গোসলে উৎসাহিত করার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ক্যাম্পেইন। মূলতে শীতকালে গোসলের ভীতি দূর করে উপভোগ্য করতে করণীয় নানা বিষয় মাথায় রেখে কোম্পানিটি পণ্য উৎপাদন করে। যেমন, উন্নতমানের শাওয়ার, ওয়াটার হিটার, গিজার, পানি বিশুদ্ধকরণ ফিল্টার ইত্যাদি।

 

Header Ad
Header Ad

২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংবাদ সম্মেলনে। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।

পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশকে ৪টি প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশও করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গ্রেটার সিটি ‘ঢাকা ক্যাপিটাল সিটি’ গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন।

এছাড়া ইমিগ্রেশনের জন্য পুলিশের আলাদা ইউনিট গঠনের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। পাবলিক সার্ভিস পৃথক করে তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

এদিকে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিচার বিভাগ কোনো দিনও স্বাধীন ছিল না, তাই কমিশন পুরোপুরি স্বাধীন করার প্রস্তাব দিয়েছে। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিশন। এছাড়া স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠনের সুপারিশ করেছে বিচার সংস্কার কমিশন। পুলিশী তদন্ত অনেক সময় রাজনৈতিক হয়ে থাকে এজন্য এটা দরকার বলে জানানো হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট উপজেলা পর্যন্ত নেয়ার সুপারিশ, আর বিভাগীয় পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ নিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

কমিশনগুলোর প্রস্তাবনা নিয়ে সবার সঙ্গে আলাপ করে প্রাইরোটি বেসিসে কিছু প্রস্তাবনাকে একত্রিত করা হবে যেখানে সব পক্ষের স্বাক্ষর থাকবে সেটার নাম হবে জুলাই চার্টার। এই জুলাই চার্টাররের কতটুকু বাস্তবায়ন করতে চায় রাজনৈতিক দলগুলো তার উপর নির্ভর করছে নির্বাচন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন  
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত গ্রেফতার  
জাবিতে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের ঘোষণা  
মুসলিম লীগ যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হবে : সলিমুল্লাহ খান