বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৩১ বছরে কেউ কথা রাখেনি

কেউ কথা রাখেনি। সরকার অন্ধ ও বধিরদের। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কেউ কথা রাখেনি কবিতার লাইনই আজ লেখার মূল শিরোনাম। রাষ্ট্রে বহুমাত্রিক সংকট বর্তমান, কিন্তু একটি মৌলিক সংকটকে উপেক্ষা করে সরকার আরও অসংখ্য সংকট তৈরি করছে। এটা কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে গেল সেটাই আজ বিস্ময়কর ও আশ্চর্যজনক বটে। চরম সত্যের খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আজ সুনীলের বিখ্যাত সেই কবিতার লাইন।

রাষ্ট্র জন্মের বিগত ৫২ বছরে যে হারে কথা না রাখার সংস্কৃতি চালু হয়েছে সেটা ভাববার বিষয়। এই সময়ে রাষ্ট্রের শাসনে যে দলই ক্ষমতায় এসেছেন তারাই জিইয়ে রেখেছেন এই কথা না রাখার সংস্কৃতি। বলছি কবিতায় কথা না রাখার ৩৩ বছর আর বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের ৩১ বছর। এই বাস্তবতা আজ চরম সত্য। প্রতিষ্ঠার ৩১ বছরেরও অধিককাল উচ্চশিক্ষায় নিযুক্ত শিক্ষক শ্রেণি বেতনবঞ্চিত। এই তথ্য জানে না মন্ত্রী, সচিব থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট অনেকেই। এই গুরুত্ব উপলদ্ধি করতে না পারাটাও চরম চিন্তার দারিদ্র্য বলেই মনে হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর জল গড়িয়েছে বহুদূর। কিন্তু কথা রাখেনি কেউ! ভাবখানা এমন কথা দেওয়া হয়েছে কথা না রাখার জন্য।

সরকারের ভাষ্যমতে, গলগ্রহ আর করুণা প্রত্যাশী এসব শিক্ষক, কিন্তু বিষয়টি অধিকারের, আইনের শাসন ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার। বাস্তবতা হলো এটা শিক্ষকদের অধিকার এটা রক্ষা করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব, সাংবিধানিক অধিকার। স্পষ্টত সংবিধানে এই শিক্ষাব্যবস্থা অবৈতনিক, একমুখী ও সার্বজনীন ঘোষণার পরেও কীভাবে চলে এমন অন্যায় সেটাই আজ প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। অথচ গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব নৈরাজ্য আর অবিচার চললেও অবসান হয়নি। ক্রমান্বয়ে ঘনীভূত হয়েছে ক্ষেত্র বিশেষে। আর এই নীরব ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে মানবেতর দিনযাপন করছেন বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজের বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রায় ৫ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক।

সুদীর্ঘ এই সময়ে দেশের গণমানুষের প্রধান দুটি দল ক্ষমতায় টিকে ছিল। ছিল আধ ডজন শিক্ষামন্ত্রী। সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল সামনে রেখে সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বহুক্ষেত্রে ঘটেছে সুদূর প্রসারী পরিবর্তন। অথচ গুণগত পরিবর্তন হয়নি এইসব ভাগ্যবিড়ম্বিত শিক্ষকদের। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষায় মেগা প্রজেক্টের কথা বলে দিয়েছেন সান্ত্বনা, শিক্ষামন্ত্রীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, সচিবদের সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করাসহ সরকারের সব মুখপাত্রই দীর্ঘদিনের জমে থাকা এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও কথা রাখেনি কেউ। এমন টালবাহানার মধ্যেই কেটে গেছে ৩১ বছর। আর এই শোষণ এখন অন্যায়, অবিচার আর বঞ্চনার ২৪ বছর বারবার সামনে এনে দাঁড় করাচ্ছে পাকিস্তানের লুটপাট আর শোষণ। অধিভুক্ত কলেজের কলেজ প্রশাসন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আর সরকারের অদূরদর্শী শিক্ষাচিন্তার ফলেই টিকে আছে এই শোষণ।

সরকারের বিতর্কিত শিক্ষানীতি, খামখেয়ালিপনা, সিদ্ধান্তহীনতা আর অদক্ষ পরিচালনার কারণেই উচ্চশিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত আজ ধ্বংসের কিনারায়। কথা না রাখার সংস্কৃতির কারণে একদিকে যেমন সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় পিছিয়ে গেছে অন্যদিকে বিঘ্নিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গতি পেয়েছে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা। সর্বাত্মকবাদী, ফ্যাসিবাদী সরকারে শিক্ষা ও সংস্কৃতির সংকোচন নীতির মতো চলেছে বিগত দিনগুলো।

১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৩ সাল থেকে স্থানীয় পর্যায়ের বেসরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজগুলো নিয়োগ দেওয়া শিক্ষকদের তাদের নিজস্ব আয় থেকে বেতন দেবে এই শর্তে অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে কলেজগুলো। এই বিষয়ে শিক্ষক নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরণাপন্ন হলে তারাও এ বিষয়ে কোনো সমাধান দিতে পারেনি। অভিভাবক প্রতিষ্ঠানের এমন নিরবতা আর অধিভুক্ত কলেজগুলোকে শিক্ষা ব্যবসার সুযোগ দানের ভেতর দিয়েই শুরু কথা না রাখার সংস্কৃতির। কারণ হিসেবে কলেজ দেখিয়েছিল কলেজে পর্যাপ্ত আয় না থাকা কিন্তু বাস্তবতা ছিল উল্টো। এসব শিক্ষকদের শ্রমকে পুঁজি করে কলেজগুলো ব্যবসার জাল পেতে বসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যক্ষ মদদে। শিক্ষক ও ছাত্রদের এভাবে ধোঁকা দিয়েই চলছে পাঠদান কার্যক্রম মূল কুশীলবের ভূমিকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের শোষণ করে শিক্ষকদের ফাইফরমাস খাটিয়ে দিনের পর দিন অধিভুক্ত কলেজগুলো চালিয়ে যাচ্ছে এমন অন্যায় আর অবিচার।

শিক্ষকদের বেতন দেয় না প্রতিষ্ঠানগুলো অপরপক্ষে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় উচ্চ হারে বেতন। কলেজভেদে এই বেতনের পরিমাণ ৫০০-১৫০০ ছাড়িয়েছে কোথাও কোথাও। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের দাবি এমপিও নতুবা বেসরকারি অর্থের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শিক্ষকদের বৈষম্য হ্রাস। এমন বৈষম্য বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনো লাভ হয়নি উল্টো নবায়নের নামে কামিয়েছে কাড়ি কাড়ি টাকা। ইউজিসির টাকায় অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চললেও ছাত্র অনুপাতে বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। সাম্প্রতিক সময়ে কলেজগুলোর টাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি লাভজনক খাতে পরিণত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের প্রধান উৎস এখন এসব কলেজগুলো। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর যোগসাজসে বেশ সম্প্রসারণশীল এই বাজার বেশ রমরমা। এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজপথে দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছেন শোষিত-বঞ্চিত শিক্ষকসমাজ। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির দল ক্ষমতায় থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের এমন দৈন্যতা নিশ্চিতভাবেই স্ববিরোধী। বঞ্চনার এই দীর্ঘসময়ে গত একযুগে দেশের প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, সচিব, সাংসদ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ডিসি, ভিসিসহ মিটিং মিছিল লবিং স্মারকলিপি দেন দরবার করেও কোনো লাভ হয়নি। সবাই আশা দিয়েছেন, কিন্তু কথা রাখেননি কেউ। এই অন্ধ, মূক ও বধির সরকার শোনেনি শিক্ষকদের চিৎকার। শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি সরকার।

শিক্ষকদের ভাষ্যমতে, একই নিয়মে নিয়োগ নিয়ে সদ্য জাতীয়করণ করা কলেজগুলোর শিক্ষকরা যদি সরকারি বেতনের অংশ পেতে পারে, ডিগ্রির তৃতীয় শিক্ষকরা যদি এমপিও পেতে পারে তাহলে তাদের সমস্যা কোথায়। আদতে কোনো সমাধান নেই খোদ সরকারেই হাতেই। নিপীড়িত এসব শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার বিষয়ে সবোর্চ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। কেন অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হবে না এই মর্মে সংসদে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষমেষ তারাও কথা রাখেনি। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি বারবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব সমস্যার সমাধানকল্পে কাজ শুরু হয়েছে বললেও এখন পর্যন্ত তার আন্তরিকতার দৃশ্যমান কোনো প্রতিফলন চোখে পড়ছে না।

জাতীয় স্বার্থে রাষ্ট্রের একটা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উচ্চশিক্ষার মতো জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারের এমন নীরব ভূমিকা খোদ শিক্ষকদেরই ভাবিয়ে তুলেছে। শিক্ষাকে অবহেলা করে অতীতে পিছিয়ে গেছে এমন দেশের নজির বিরল নয়। এতে রাষ্ট্রেরই ভীত দুর্বল হয়ে ওঠে। শিক্ষায় বৈষম্য আর অবিচারের ফলে তারা তাদের অনিবার্য পতন রোধ করতে পারেনি। বাংলাদেশের শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের চিন্তা এর বাইরে নয়। সবশেষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও সেটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।

রাষ্ট্রে সমস্যা ছিল, আছে, থাকবে সমাধানও আছে কিন্তু একটা সমস্যা কীভাবে দীর্ঘ ৩১ বছর টিকে থাকে কল্যাণকর সরকারের তকমার মধ্যে। এভাবে টিকে থাকা সমস্যা সরকারের অদূরদর্শী, ভঙ্গুর, আর ব্যর্থ রাষ্ট্রের লক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়। শিক্ষা নিয়ে সরকারের কোনো কার্যকর গুণগত পরিবর্তনমুখি টেকসই পরিকল্পনা আছে কি না সেটা সুশীল সমাজের বোধগম্য নয়। মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ও বিশ্ব প্রতিযোগিতার বাজারে নিজের নিরাপত্তা কতটুকু নিশ্চিত করতে পারবে সেটা সময়ই বলবে। এভাবে কথা না রাখার সংস্কৃতি জাতি হিসেবে আমাদের কোথায় দাঁড় করাবে সেটা বিবেচ্য বটে। ফলে সুনীলের সেকথাই আজ চরম সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবেই দিন কেটে যায়। নিখিলেশরা কখনো এসে দেখে না, তাদের ভাগ্য বিধাতাও চোখ মেলে তাকাই না।

হাসিবুল হাসান: অ্যাসিসন্ট্যান্ট ম্যানেজার,
সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বাংলামোটর, ঢাকা।

এসএন

 

 

Header Ad
Header Ad

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।

বুধবার মধ্যরাতে সচিবালয়ের মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তামূলক স্থানে আগুন লাগা এবং ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীর মৃত্যু ও দুই-তিনজন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং হতাহতদের জন্য শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর ভবনে ভয়াবহ আগুন, ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীর মৃত্যু ও দুই-তিনজনের আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ভস্মীভূত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরণের অগ্নিকাণ্ডে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়া অস্বাভাবিক নয়।’

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি করছি। নিহতের পরিবারসহ আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

Header Ad
Header Ad

বিপিএলে সাকিব না থাকায় হতাশ সুজন

ছবি: সংগৃহীত

দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে খেলতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। নিজের ক্যারিয়ারে প্রথমবার মিস করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে যা দেশের ক্রিকেটের জন্য বড় ব্যর্থতা।

বৃহস্পতিবার ( ২৬ ডিসেম্বর) মিরপুরে ঢাকা ক্যাপিটালসের অনুশীলন শেষে খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, ‘সাকিব বাংলাদেশে খেলতে পারছে না এটা আমাদের সবার জন্য ব্যর্থতা। সেখানে যদি আমরা একটু বিচক্ষণ হতাম তাহলে ভালো হতো। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেটার সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না, এটাতে ক্রিকেটাররা সবাই হতাশ। ওর না থাকা সবারই খারাপ লেগেছে।’

সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে আলোচনা থাকলেও সুজন মনে করেন, ‘ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে সাকিব রাজনীতি করেছে। তবে সারা বাংলাদেশ ওকে চেনে ক্রিকেটার হিসেবে। ওর উত্থান ক্রিকেটার হিসেবে। সারা বিশ্বে পরিচিতি ক্রিকেটার হিসেবে। রাজনীতি করেছে, কতটা অন্যায় করেছে সেটা আমি বলতে পারবো না। তবে ওই ৭-৮ মাস সময়টা ওর এত লম্বা ক্যারিয়ারের সঙ্গে মিলিয়ে ফেললাম এটাই আমার কাছে সবচেয়ে অবাক লাগে। সেখানে আমরা যদি একটু বিচক্ষণতার পরিচয় দিতাম... দেশের একটা ক্রিকেটার, দেশের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে না। ক্রিকেটাররাও সবাই হতাশ আমার মনে হয়। সবাই হয়তো মাইকের সামনে বলতে পারে না। কিন্তু ক্রিকেটাররাও হতাশ। কারণ সাকিবের সব ক্রিকেটারের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সবাইকে সবভাবে সহযোগিতা করে সে। তো খারাপ লাগছে, এটাই।’

শাকিব খানের দল ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। যদিও এখনও মালিকের সাথে কোন কথা হয়নি তার, ‘ভেরি আনফরচুনেটলি এখনও আমার সঙ্গে দেখা হয়নি। ডেফিনিটলি হয়তো বা হবে। দুই একদিনের মধ্যে হয়তো হবে। আমি ব্যস্ত ছিলাম, উনিও ব্যস্ত থাকেন অবশ্যই। ডেফিনিটলি ঢাকা টিম বানিয়েছে, প্রত্যেকটা টিম তো বানায় ভালো কিছুর আশায়, ফাইনাল খেলার আশায়, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশায়। এই ফরম্যাটটায় তো অবশ্যই লাক লাগে, যদি লাক ফেভার করে তাহলে হোয়াই নট? কথা হলে বুঝতে পারবো, ওনার প্রত্যাশাটা কী।’

বৃহস্পতিবার প্রথম বারের মতো অনুশীলন করেছে ঢাকা। যদিও অনুশীলনে কোন প্রাণ ছিল না। কেননা বিদেশি ক্রিকেটাররা দলের সাথে যুক্ত হন না। এই কারণে দেখা যায় অনুশীলনে সেভাবে প্রাণ থাকে না। প্রথম দিনের অনুশীলন নিয়ে সুজন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘যেটা হয় বিপিএলের ফার্স্ট ডেতে অনুশীলন খুব একটা ভালো হয় না। ফরেইন প্লেয়াররা আসে না, লোকাল প্লেয়াররা অনেকে রেস্টে থাকে। একটা টুর্নামেন্ট শেষ হলো, অবশ্যই তাদের একটা রেস্ট দরকার, ফাস্ট বোলার যারা আছে বা যারা ন্যাশন্যাল প্লেয়ার আছে তারাও উইন্ডিজ থেকে একটা লম্বা ট্যুর করে এসেছে। তাদের বিশ্রাম দরকার। তারপরও মোস্তাফিজ এসেছে, লিটন আসেনি, মুগ্ধকে পাইনি, তামিম ছিল না। বাট অ্যাগেইন একটা গেট টুগেদার। ইনফ্যাক্ট তাদের ট্রেনিংয়ের থেকে ছেলেরা খেলার মধ্যেই ছিল, তবে যখন সম্পূর্ণ টিম আসবে, তখন ভালো লাগবে।’

আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে বিপিএল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে উইকেটের আচরণ নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। এবারের আসরে ভালো উইকেটের প্রত্যাশা সুজনের, ‘টি-টোয়েন্টির উইকেট যে রকম হয় ওই রকম প্রত্যাশা থাকবে। আশা করি, কিউরেটররা সেভাবেই বানাবে। অবশ্যই তারা চেষ্টা করে ভালো কিছু দিতে। আশা করি, এবারও ভালো দিতে পারবে। যদি ফ্ল্যাট উইকেট হয়, রানের খেলা হয়, যেখানে বোলারদের স্কিলের ব্যাপার থাকে। ভালো উইকেটে অবশ্যই বোলারদের স্কিলের প্রয়োজন ব্যাটারদের ডিফেন্ড করার জন্য। আমি বিশ্বাস করি বেশি রানের খেলা হলে সাপোর্টাররাও মজা পায়। দর্শকরা আনন্দ পায়। আমি চাই যে রানের খেলা হোক, ভালো উইকেট থাকুক সেটা আমি চাই।’

Header Ad
Header Ad

বুধবার রাতে আগুন লেগেছিল ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও

ছবি: সংগৃহীত

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এটি নাশকতা হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

এদিকে ওই রাতেই আরেকটি আগুনের ঘটনা ঘটে। সেটি রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার সচিব নিবাসে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

একই রাতে আরেকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে রাজধানীর ইস্কাটনের সচিব নিবাসে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ইস্কাটন গার্ডেন রোডে অবস্থিত সচিব নিবাসের ২০ তলা ভবনের ৪ তলার একটি বাসার রান্নাঘরে আগুন লাগে।

সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কেউ হতাহত হয়নি।প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় নাশকতার সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে। একই রাতে দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় এ বিষয়ে যথাযথ তদন্তের দাবি উঠেছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ উভয় ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র বা নাশকতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের
বিপিএলে সাকিব না থাকায় হতাশ সুজন
বুধবার রাতে আগুন লেগেছিল ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও
পূর্বাচলে হাসিনা পরিবারের প্লট নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু  
চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস, পরিবারে শোকের মাতম
বিডা’র আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ইলন মাস্ক
সচিবালয়ে আগুন: কারণ খুঁজতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
সরকার হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী
ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, একই পরিবারের ৪ জন নিহত
হাসিনার দালালেরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে: সারজিস
লামায় ত্রিপুরাদের পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টারা
সচিবালয়ের আগুন পরিকল্পিত হতে পারে: নৌবাহিনী কর্মকর্তা
বগুড়া কারাগারে সাবেক এমপি রিপুর ‘হার্ট অ্যাটাক’, আনা হয়েছে ঢাকায়
নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কর্ণফুলী নদীতে মিলল ২ পর্যটকের লাশ
ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নারী-শিশুসহ আটক ১৬
রাফসানের সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন জেফার
সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে বোমা হামলায় ৫ সাংবাদিক নিহত
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা