বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের স্মরণে…

আজ ৪ জানুয়ারি কথাশিল্পের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস স্যারের ২৬তম প্রয়াণ দিবস। আমার ভাগ্য যে স্যারের একজন ছাত্র ছিলাম। ১৯৯৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার ফলে স্যারের সাথে আমার অন্যরকম পরিচয় ঘটে যায়। স্যার তখন আমাদের পড়াতেন মাইকেল মধুসূদন এর মেঘনাবধ কাব্য।

ভর্তির পর আমি প্রায় এক বছর ঠিকমত ক্লাসে উপস্থিত ছিলাম না। একদিন স্যারের ক্লাসে (১৯৯৬) উপস্থিত হলে— তিনি খাতা নিয়ে নাম ডাকতেন। রোল ২৩ ডাকতেই আমি উঠে জ্বীর স্যার বলতেই স্যার আমার দিকে তাকিয়ে আবার খাতার দিকে দেখেন, পরপর কয়েকটি পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখে বললেন, তুমি এক বছর ক্লাসে আস না। সামনেই পরীক্ষা। তুমি পাস করতে পারবে না। যাও বেরিয়ে যাও। রিএডমিশন নিও।

কোনো কথা না বলে আমি ক্লাস থেকে ৬৩ জনের সামনে বের হয়ে আসি। এসে নিজেকে এতো ছোট মনে হলো যে , আর কলেজে পড়া হবে না আমার। একবার মনে হলো দোতলা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যাই। এতো ছেলেদের সামনে কেমন করে বের করে দিলেন!

এদিক-সেদিক পাঁয়চারি করছি। কি করব? বিভাগের পিওন আমাকে বললেন, মামা ঘাবড়াবেন না, স্যার খুব ভাল মানুষ। ক্লাস শেষ হলে স্যার যখন চেম্বারে ফ্রেশ হয়ে বসেন, যখন পাইপ ধরিয়ে টান মারবেন তার কিছুক্ষণ বাদে যেয়ে বলবেন, সার আমি অসুস্থ ছিলাম।

মিথ্যা কথা বলতে হবে ভেবে সাহস করে রিহার্সেল করে নিচ্ছি বারবার। সময় পার হয় না। এক সময় স্যার ক্লাস থেকে বেরিয়ে সোজা নিজের চেম্বারে চলে গেলেন । বাথরুমে যেয়ে হাতমুখ ধুয়ে চেয়ারে বসেন। পানি পান করে পাইপ ধরিয়ে টানছেন। আমি যাব কি যাবো না! পর্দার আড়াল থেকে দেখছি এক পা এগুই তো কয়েক-পা পিছিয়ে যাই। এরকম করতে করতে একসময় ঢুকে গেলাম।

স্যার আমায় দেখে বললেন, কি খবর, কি চাই? আমি বললাম, স্যার আমি তো অসুস্থ ছিলাম অনেকদিন সেকারণে ক্লাস করতে পারিনি।

স্যার বললেন, ক্লাস করোনি সামনেই ফাইনাল! পাস করতে পারবে নাতো! ক্লাসের সারের স্বর আর তখনকার নরম স্বর এক্কেবারে আলাদা।

মুহূর্তেই ভাললাগার বারীন্দ্র ছড়িয়ে যেতে থাকে আমার মনের মধ্যে। চুপচাপ থাকার পর বললেন, বাড়ি কোথায়? আমি বললাম কুষ্টিয়ায়? কুষ্টিয়ায় কোথায়?
বললাম কুমারখালী।

তখন স্যার পাইপের ধোয়া ছেড়ে আবার বললেন, মিলি রহমানকে চেনো?
আমি স্যারের কথার রেশ টেনেই বললাম, চিনি স্যার। উনিও আমাকে চেনেন।
স্যার আবার প্রশ্ন করেন, কীভাবে?
বললাম স্যার, উনি লেখালেখি করেন আমিও করি।
স্যার পাইপের ধোয়ার আড়ালে মুচকি হেসে বললেন, কি লেখো?
বললাম কবিতা।
স্যার বললেন, কাছে আছে?
তখনতো মানিবাগে টাকার বদলে জায়গা করে নিতো বেশ কিছু কবিতা (যা আদৌ কখনো কবিতা হয়নি বোধ হয়। তবু থাকত সযত্নে)। সঙ্গে সঙ্গে পকেটের মানিবাগ থেকে বড় সাইজের একটা কবিতা বের করি।
স্যার বললেন পড়ো।
কাঁপা কাঁপা গলায় স্বর বা সুর বের হয়ে আসতে চায় না। তবুও পড়লাম একটি কবিতা।

ওতোবড়ো মানুষের সামনে কাঁচা লেখার এক পদ্য পড়ে সেদিন পার পেয়েছিলাম সত্যিই!
স্যার এই কবিতা শুনার পর বললেন, যাও ক্লাসে আর কখনো ফাঁকি দেবে না। কবিতা লিখতে হলে তো একাডেমিক যোগ্যতাও থাকা দরকার! না হলে তোমার কথা মানুষ মানবে কেনো?

সেই থেকে স্যারের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর কোনো ক্লাসে উপস্থিত হই বা না হই আর কেউ আমাকে কিছু বলতো না।
পুরো ক্লাসে শুধুই আমিই যা টুকটাক লেখালেখি করি। সেটা চাউরে গেল বলে সবকিছুতেই পার।

স্যারের অল্পদিনের ভালবাসা আমাকে বিদ্যুৎ বেগে টানতে থাকে। স্যারের সাথে আমার কাঙাল হরিনাথের ‘বিজয় বসন্ত’ উপন্যাস নিয়ে কথা হয়েছিল।
আমি বলেছিলাম,
স্যার, 'আলালের ঘরের দুলাল' নয় ‘বিজয় বসন্ত’ই বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস।
স্যার বলেছিলেন কি প্রমাণ আছে তোমার কাছে?
আমি বললাম আছে স্যার।
স্যার বলেছিলেন, নিয়ে এসো।
এরপর কাঙাল বংশধরদের কাছে কতোবার ধরনা দিয়েও পাইনি বলে স্যারের কাছে উপস্থাপন করতে পারিনি।
সেদিন যদি পারতাম তাহলে স্যার এটা নিশ্চিতভাবে লেখালেখি করে রেকর্ডটা করাতে পারতেন।
তখনো বুঝিনি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস স্যার কত বড় মাপের, কত বড় গুণী লেখক!

মৃত্যুর পর বুঝেছি। স্যার কে নিয়ে লেখা ‘গড়াইপাড়ের কবিতা (২০০১) সংকলিত কাব্যগ্রন্থে— ‘সাদা কফিনে ইলিয়াস স্যার’ নামে একটি কবিতা লিখেছিলাম। সেই সান্ত্বনা!

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গোটিয়া জেলার গাইবান্ধা গ্রামে মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি বগুড়া জেলায়। ম্যাট্রিক পাস করেন বগুড়া জিলা স্কুল থেকে (১৯৫৮) এবং ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন ঢাকা কলেজ থেকে (১৯৬০)।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন (১৯৬৪)। তার কর্মজীবন শুরু হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগদানের মাধ্যমে। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজের বাংলার প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পুরস্কার পেয়েছেন অনেকগুলো। উল্লেখযোগ্য হলো— বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩) এবং একুশে পদক (মরণোত্তর) (১৯৯৯)।

রাজনীতি আমাদের জীবনের একটি প্রধান নিয়ামক হলেও আমাদের সাহিত্যে সরাসরি রাজনৈতিক প্রসঙ্গিক প্রসঙ্গ ব্যাপকভাবে বিবেচিত হয়নি। রাজনীতির সঙ্গে লেখকরা সবসময়ই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেছেন। ইলিয়াসই প্রথম এতটা সার্থক শিল্পসম্মতভাবে প্রধান দুটি আন্দোলনকে তার দুই উপন্যাসে ধারণ করলেন। চিলেকাঠার সেপাই উপন্যাসে তিনি উপজীব্য করেছেন এ দেশের রাজনীতির পাকিস্তান পর্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আন্দোলন ঊনসত্তরের গণআন্দোলনকে। এটি অবলম্বনে পরবর্তীতে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তার শেষ ও শ্রেষ্ঠ উপন্যাস খোয়াবনামার মূল প্রসঙ্গ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি জনপদে পাকিস্তান আন্দোলনের প্রভাব। এই উপন্যাসের জন্য তিনি পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার।

মাত্র ২৮ টা গল্প, অল্প কিছু প্রবন্ধ আর ২টি উপন্যাস, সাকুল্যে এই আমাদের সম্পদ। কিন্তু অল্প সংখ্যক লেখা দিয়েই তিনি নিজের স্টাইল দাঁড় করে ফেলেছেন। যে কারণে স্যারের লেখা পড়েই আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না এটা কার লেখা।

সমগ্র বাংলাসাহিত্যেরই একজন অগ্রগণ্য কথাসাহিত্যিক তিনি। তিনি কখনোই লেখার সংখ্যা বৃদ্ধিতে মনোযোগী ছিলেন না। ভিন্ন আঙ্গিক ও প্রকরণে মনোযোগী এ লেখক তাই খুব বেশি লেখেননি জীবনে। কিন্তু যা লিখেছেন শিল্প-বিচারে তা এখনো বিশ্বমানের, এমনটিই মনে করেন সাহিত্যের বিদগ্ধ সমালোচকরা।

প্রখ্যাত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী বলেছেন, ‘কি পশ্চিম বাংলা, কি বাংলাদেশ সবটা মেলালে তিনি শ্রেষ্ঠ লেখক।’ লিখেছেন, ‘ইলিয়াস-এর পায়ের নখের তুল্য কিছু লিখতে পারলে আমি ধন্য হতাম।’

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক। একজন স্বল্পপ্রজ লেখক। দু’টি মাত্র উপন্যাস - চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭) ও খোয়াবনামা (১৯৯৬) বাংলা সাহিত্যে তার অক্ষয় আসনটি নির্মাণ করে দিয়েছে।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।

বুধবার মধ্যরাতে সচিবালয়ের মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তামূলক স্থানে আগুন লাগা এবং ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীর মৃত্যু ও দুই-তিনজন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং হতাহতদের জন্য শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর ভবনে ভয়াবহ আগুন, ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীর মৃত্যু ও দুই-তিনজনের আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ভস্মীভূত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরণের অগ্নিকাণ্ডে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়া অস্বাভাবিক নয়।’

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি করছি। নিহতের পরিবারসহ আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

Header Ad
Header Ad

বিপিএলে সাকিব না থাকায় হতাশ সুজন

ছবি: সংগৃহীত

দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে খেলতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। নিজের ক্যারিয়ারে প্রথমবার মিস করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে যা দেশের ক্রিকেটের জন্য বড় ব্যর্থতা।

বৃহস্পতিবার ( ২৬ ডিসেম্বর) মিরপুরে ঢাকা ক্যাপিটালসের অনুশীলন শেষে খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, ‘সাকিব বাংলাদেশে খেলতে পারছে না এটা আমাদের সবার জন্য ব্যর্থতা। সেখানে যদি আমরা একটু বিচক্ষণ হতাম তাহলে ভালো হতো। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেটার সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না, এটাতে ক্রিকেটাররা সবাই হতাশ। ওর না থাকা সবারই খারাপ লেগেছে।’

সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে আলোচনা থাকলেও সুজন মনে করেন, ‘ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে সাকিব রাজনীতি করেছে। তবে সারা বাংলাদেশ ওকে চেনে ক্রিকেটার হিসেবে। ওর উত্থান ক্রিকেটার হিসেবে। সারা বিশ্বে পরিচিতি ক্রিকেটার হিসেবে। রাজনীতি করেছে, কতটা অন্যায় করেছে সেটা আমি বলতে পারবো না। তবে ওই ৭-৮ মাস সময়টা ওর এত লম্বা ক্যারিয়ারের সঙ্গে মিলিয়ে ফেললাম এটাই আমার কাছে সবচেয়ে অবাক লাগে। সেখানে আমরা যদি একটু বিচক্ষণতার পরিচয় দিতাম... দেশের একটা ক্রিকেটার, দেশের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে না। ক্রিকেটাররাও সবাই হতাশ আমার মনে হয়। সবাই হয়তো মাইকের সামনে বলতে পারে না। কিন্তু ক্রিকেটাররাও হতাশ। কারণ সাকিবের সব ক্রিকেটারের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সবাইকে সবভাবে সহযোগিতা করে সে। তো খারাপ লাগছে, এটাই।’

শাকিব খানের দল ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। যদিও এখনও মালিকের সাথে কোন কথা হয়নি তার, ‘ভেরি আনফরচুনেটলি এখনও আমার সঙ্গে দেখা হয়নি। ডেফিনিটলি হয়তো বা হবে। দুই একদিনের মধ্যে হয়তো হবে। আমি ব্যস্ত ছিলাম, উনিও ব্যস্ত থাকেন অবশ্যই। ডেফিনিটলি ঢাকা টিম বানিয়েছে, প্রত্যেকটা টিম তো বানায় ভালো কিছুর আশায়, ফাইনাল খেলার আশায়, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশায়। এই ফরম্যাটটায় তো অবশ্যই লাক লাগে, যদি লাক ফেভার করে তাহলে হোয়াই নট? কথা হলে বুঝতে পারবো, ওনার প্রত্যাশাটা কী।’

বৃহস্পতিবার প্রথম বারের মতো অনুশীলন করেছে ঢাকা। যদিও অনুশীলনে কোন প্রাণ ছিল না। কেননা বিদেশি ক্রিকেটাররা দলের সাথে যুক্ত হন না। এই কারণে দেখা যায় অনুশীলনে সেভাবে প্রাণ থাকে না। প্রথম দিনের অনুশীলন নিয়ে সুজন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘যেটা হয় বিপিএলের ফার্স্ট ডেতে অনুশীলন খুব একটা ভালো হয় না। ফরেইন প্লেয়াররা আসে না, লোকাল প্লেয়াররা অনেকে রেস্টে থাকে। একটা টুর্নামেন্ট শেষ হলো, অবশ্যই তাদের একটা রেস্ট দরকার, ফাস্ট বোলার যারা আছে বা যারা ন্যাশন্যাল প্লেয়ার আছে তারাও উইন্ডিজ থেকে একটা লম্বা ট্যুর করে এসেছে। তাদের বিশ্রাম দরকার। তারপরও মোস্তাফিজ এসেছে, লিটন আসেনি, মুগ্ধকে পাইনি, তামিম ছিল না। বাট অ্যাগেইন একটা গেট টুগেদার। ইনফ্যাক্ট তাদের ট্রেনিংয়ের থেকে ছেলেরা খেলার মধ্যেই ছিল, তবে যখন সম্পূর্ণ টিম আসবে, তখন ভালো লাগবে।’

আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে বিপিএল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে উইকেটের আচরণ নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। এবারের আসরে ভালো উইকেটের প্রত্যাশা সুজনের, ‘টি-টোয়েন্টির উইকেট যে রকম হয় ওই রকম প্রত্যাশা থাকবে। আশা করি, কিউরেটররা সেভাবেই বানাবে। অবশ্যই তারা চেষ্টা করে ভালো কিছু দিতে। আশা করি, এবারও ভালো দিতে পারবে। যদি ফ্ল্যাট উইকেট হয়, রানের খেলা হয়, যেখানে বোলারদের স্কিলের ব্যাপার থাকে। ভালো উইকেটে অবশ্যই বোলারদের স্কিলের প্রয়োজন ব্যাটারদের ডিফেন্ড করার জন্য। আমি বিশ্বাস করি বেশি রানের খেলা হলে সাপোর্টাররাও মজা পায়। দর্শকরা আনন্দ পায়। আমি চাই যে রানের খেলা হোক, ভালো উইকেট থাকুক সেটা আমি চাই।’

Header Ad
Header Ad

বুধবার রাতে আগুন লেগেছিল ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও

ছবি: সংগৃহীত

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এটি নাশকতা হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

এদিকে ওই রাতেই আরেকটি আগুনের ঘটনা ঘটে। সেটি রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার সচিব নিবাসে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

একই রাতে আরেকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে রাজধানীর ইস্কাটনের সচিব নিবাসে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ইস্কাটন গার্ডেন রোডে অবস্থিত সচিব নিবাসের ২০ তলা ভবনের ৪ তলার একটি বাসার রান্নাঘরে আগুন লাগে।

সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কেউ হতাহত হয়নি।প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় নাশকতার সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে। একই রাতে দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় এ বিষয়ে যথাযথ তদন্তের দাবি উঠেছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ উভয় ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র বা নাশকতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের
বিপিএলে সাকিব না থাকায় হতাশ সুজন
বুধবার রাতে আগুন লেগেছিল ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও
পূর্বাচলে হাসিনা পরিবারের প্লট নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু  
চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস, পরিবারে শোকের মাতম
বিডা’র আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ইলন মাস্ক
সচিবালয়ে আগুন: কারণ খুঁজতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
সরকার হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী
ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, একই পরিবারের ৪ জন নিহত
হাসিনার দালালেরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে: সারজিস
লামায় ত্রিপুরাদের পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টারা
সচিবালয়ের আগুন পরিকল্পিত হতে পারে: নৌবাহিনী কর্মকর্তা
বগুড়া কারাগারে সাবেক এমপি রিপুর ‘হার্ট অ্যাটাক’, আনা হয়েছে ঢাকায়
নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কর্ণফুলী নদীতে মিলল ২ পর্যটকের লাশ
ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নারী-শিশুসহ আটক ১৬
রাফসানের সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন জেফার
সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে বোমা হামলায় ৫ সাংবাদিক নিহত
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা