বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মহাবিশ্বের মহৎ সত্তা

আকৃতিগত দিক দিয়ে এই মহাবিশ্বের প্রেক্ষাপটে মানুষ হিসেবে আমাদের অবস্থান কোথায়? এক বাক্যে হয়ত সবাই উত্তর দেবে—আমরা মানুষরা খুবই ক্ষুদ্র। কিন্তু কতটুকু ক্ষুদ্র? আমাদের থেকেও তো কত ক্ষুদ্র প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে চারপাশে এই পৃথিবীতেই। যে সব প্রাণী আকৃতিগত দিক দিয়ে ছোট তাদের আমরা কোন দৃষ্টিতে দেখি? একটা পিঁপড়ার জীবন নিয়ে আমরা কতটুকু উদ্বিগ্ন হই? আমরা মানুষরা যখন আমাদের চেয়েও আকৃতিতে বড় এবং হিংস্র বন্য প্রাণীদের পোষ মানাই তখন অহংকার করে নিজেদের অনেক বড় ভাবি! আমরা নিজেদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দাবি করি। আমরা আসলে এই জগত সংসারে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?

সাগর তলের ওই অতি ক্ষুদ্র অনুবিক্ক্ষণিক প্ল্যাঙ্কটন প্রাণিকূল যদি বিলীন হয়ে যায় কোনোদিন তাহলে এই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রাণী নীল তিমিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে! কেননা নীল তিমি যে বেঁচে থাকে ওই অতিক্ষুদ্র প্ল্যাঙ্কটন খেয়েই। আমরা মানুষরা যদি একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাই এই পৃথিবীর বুক থেকে তাহলে কি হবে? শক্তিশালী ডাইনোসরও তো সব বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তাতে কি কোনো ক্ষতি হয়েছে আমাদের ইকো সিস্টেম বা বাস্তু জগতের? মানুষরা কি বাস্তু জগতের কোনো অপরিহার্য অংশ, নাকি এই সৌরজগত টিকে থাকার জন্য আমাদের কোনো প্রয়োজন আছে?

মানুষরাই কি জৈব বিবর্তনে শেষ ধাপ না কি কালের বিবর্তনে জৈব বিবর্তনও এগিয়ে যাবে এবং একদিন আমাদের থেকেও আরও চতুর কোনো প্রাণীর আবির্ভাব হবে এই পৃথিবীতে? তখন ওই নব বিবর্তিত প্রাণিকূল কি আমাদের নিম্ন শ্রেণির কোনো প্রাণী ভাববে, যেমনটি আমরা ভাবি ইথুপিয়া পাহাড়ের ওই বেবুন সম্প্রদায়কে? জৈব বিবর্তনের তত্ত্ব অনুসারে যারা আমাদের পূর্বপুরুষ!

একটা পিঁপড়ের দৃষ্টি সীমার বাইরে আমাদের দৈহিক আকৃতি, সম্ভবত পিঁপড়ে সম্প্রদায়ের কাছে মানুষই সর্ববৃহৎ প্রাণী! আমাদের কাছে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া হচ্ছে সবচেয়ে ক্ষুদ্র জীব, কেননা মাইক্রোস্কোপ ছাড়া খালি চোখে ওদের আমরা দেখতে পাই না। এই পৃথিবীতে মানুষরা দানব আর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া হলো নগণ্য ক্ষুদ্র কোনো জৈবিক অস্তিত্ব। হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে যখন পৃথিবীর ছবি তোলা হয় তখন কিন্তু পৃথিবীর বুকে আমাদের অর্থাৎ মানুষের বিচরণ দৃষ্টিগোচর হয় না। পৃথিবীর স্বাপেক্ষে আমরা হয়ে পরি অতি ক্ষুদ্র নগণ্য। আবার, এই পৃথিবী কিন্তু মিল্কিওয়ে নামক এক গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের বাসিন্দা। আর এই ছায়াপথের স্বাপেক্ষে পৃথিবীর আকৃতি অতি ক্ষুদ্র অনুবিক্ষণিক— অনেকটা আমাদের কাছে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আকৃতি যেমন। তাহলে ছায়াপথের স্বাপেক্ষে মানুষের আকৃতি কতটুকু হবে? আমাদের জানা মহাবিশ্বে শত শত কোটি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ রয়েছে। আর এই মহাবিশ্বের স্বাপেক্ষে আমাদের নিজস্ব ছায়াপথ মিল্কিওয়ের আকৃতি হবে অতিশয় ক্ষুদ্র! তাহলে এই মহাবিশ্বের স্বাপেক্ষে আমাদের আকৃতি কতটুকু? বিজ্ঞানের ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় মানুষের আকৃতি ও অবস্থান এই মহাবিশ্বে নেগলিজিবল বা নগণ্য অথবা তুচ্ছ!

এই দীনতার অবস্থানগত সত্ত্বেও আমাদের রয়েছে দর্শনতত্ত্ব, বিজ্ঞানতত্ত্ব এবং ধর্মতত্ত্ব— যা নিয়ে আমরা বড়াই করি এবং নিজেদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক অস্তিত্ব রূপে দাড় করাই। আমরা আমাদের এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ভাবি যে আমরা বলি সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং নিজে তার সব ফেরেস্তাকুল নিয়ে ব্যস্ত আমরা কে কি করছি তা দেখার জন্য! আমরা খুনোখুনিতে লিপ্ত হই এই সৃষ্টি কর্তাকে কেন্দ্র করেই! সৃষ্টিকর্তার কি অন্য কোনো কাজ নেই? বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয় ১৩.৭ বিলিয়ন বছর আগে আর আমাদের এই পৃথিবীর বয়স ৪.৫ বিলিয়ন বছর। এই ভূপৃষ্ঠে মানুষের আবির্ভাব ঘটে মাত্র ৪.৪ মিলিয়ন বছর আগে। এই মহাবিশ্বে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে আমাদের অস্তিত্বের আবির্ভাবের পূর্বে। প্রায় ১৩ বিলিয়ন বছর সৃষ্টিকর্তা ব্যস্ত ছিলেন তার সৃষ্টিকর্ম নিয়ে। তিনি এখনো ব্যস্ত আছেন ক্রমবর্ধমান তার এই সৃষ্টিজগত তদারকিতে। আমার ধারণা স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার কাছেও আমরা অতি তুচ্ছ নগণ্য। মানুষের অস্তিত্ব সম্পর্কে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং একবার বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন—
‘We are such insignificant creatures on a minor planet of a very average star in the outer suburbs of one of a hundred billion galaxies. So it is difficult to believe in a God that would care about us or even notice our existence.’

আকৃতিগত এই মহাবিশ্বে দিক থেকে হতে পারি আমরা অতি তুচ্ছ নগণ্য অপ্রয়োজনীয় এক জৈবিক অস্তিত্ব। কিন্তু বৈচিত্র্যের দিক দিয়ে আমরা মানুষরা কি এক বিস্ময়কর প্রাণী নই? আমরাই তো একমাত্র প্রাণী যারা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে গান রচনা করি, অথবা সাগর পাড়ে দাঁড়িয়ে লিখে ফেলি পাতার পর পাতা কবিতা। আমাদের মাঝেই তো জন্ম নেয় রবীন্দ্র-নজরুল-সুকুমার। সেক্সপেয়ার লিখে ওথেলো অথবা জন্ম দেয় রোমিও-জুলিয়েটের! বিথোফেন বাঁধে সুর। আমরা মানুষরাই তো ভালবাসি, ভালোবাসার জন্য মৃত্যুকে বরণ করি হাসি মুখে। আমরা মানুষরাই তো যৌনতাকে উপভোগ করি চুম্বন অথবা বৈচিত্র্যময় সঙ্গম লীলায়। আমরা মানুষরাই তো মাতৃভাষার দাবিতে বুক পেতে দেই বন্দুকের সামনে। আমরা মানুষরাই তো কেও হই নেলসন ম্যান্ডেলা অথবা মাদার তেরেসা। আমরাই তো সেই মানুষ, যে তার শরীর কেটে অঙ্গ দান করে আরেক মানুষের জন্য। আকৃতিগত সকল তুচ্ছতাকে ছাপিয়ে আমাদের মাঝে এবং এই মহাবিশ্বে আমরাই শ্রেষ্ঠ এবং অতি তাৎপর্যপূর্ণ এক মহৎ সত্তা।

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত