শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মহাবিশ্বের মহৎ সত্তা

আকৃতিগত দিক দিয়ে এই মহাবিশ্বের প্রেক্ষাপটে মানুষ হিসেবে আমাদের অবস্থান কোথায়? এক বাক্যে হয়ত সবাই উত্তর দেবে—আমরা মানুষরা খুবই ক্ষুদ্র। কিন্তু কতটুকু ক্ষুদ্র? আমাদের থেকেও তো কত ক্ষুদ্র প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে চারপাশে এই পৃথিবীতেই। যে সব প্রাণী আকৃতিগত দিক দিয়ে ছোট তাদের আমরা কোন দৃষ্টিতে দেখি? একটা পিঁপড়ার জীবন নিয়ে আমরা কতটুকু উদ্বিগ্ন হই? আমরা মানুষরা যখন আমাদের চেয়েও আকৃতিতে বড় এবং হিংস্র বন্য প্রাণীদের পোষ মানাই তখন অহংকার করে নিজেদের অনেক বড় ভাবি! আমরা নিজেদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দাবি করি। আমরা আসলে এই জগত সংসারে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?

সাগর তলের ওই অতি ক্ষুদ্র অনুবিক্ক্ষণিক প্ল্যাঙ্কটন প্রাণিকূল যদি বিলীন হয়ে যায় কোনোদিন তাহলে এই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রাণী নীল তিমিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে! কেননা নীল তিমি যে বেঁচে থাকে ওই অতিক্ষুদ্র প্ল্যাঙ্কটন খেয়েই। আমরা মানুষরা যদি একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাই এই পৃথিবীর বুক থেকে তাহলে কি হবে? শক্তিশালী ডাইনোসরও তো সব বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তাতে কি কোনো ক্ষতি হয়েছে আমাদের ইকো সিস্টেম বা বাস্তু জগতের? মানুষরা কি বাস্তু জগতের কোনো অপরিহার্য অংশ, নাকি এই সৌরজগত টিকে থাকার জন্য আমাদের কোনো প্রয়োজন আছে?

মানুষরাই কি জৈব বিবর্তনে শেষ ধাপ না কি কালের বিবর্তনে জৈব বিবর্তনও এগিয়ে যাবে এবং একদিন আমাদের থেকেও আরও চতুর কোনো প্রাণীর আবির্ভাব হবে এই পৃথিবীতে? তখন ওই নব বিবর্তিত প্রাণিকূল কি আমাদের নিম্ন শ্রেণির কোনো প্রাণী ভাববে, যেমনটি আমরা ভাবি ইথুপিয়া পাহাড়ের ওই বেবুন সম্প্রদায়কে? জৈব বিবর্তনের তত্ত্ব অনুসারে যারা আমাদের পূর্বপুরুষ!

একটা পিঁপড়ের দৃষ্টি সীমার বাইরে আমাদের দৈহিক আকৃতি, সম্ভবত পিঁপড়ে সম্প্রদায়ের কাছে মানুষই সর্ববৃহৎ প্রাণী! আমাদের কাছে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া হচ্ছে সবচেয়ে ক্ষুদ্র জীব, কেননা মাইক্রোস্কোপ ছাড়া খালি চোখে ওদের আমরা দেখতে পাই না। এই পৃথিবীতে মানুষরা দানব আর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া হলো নগণ্য ক্ষুদ্র কোনো জৈবিক অস্তিত্ব। হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে যখন পৃথিবীর ছবি তোলা হয় তখন কিন্তু পৃথিবীর বুকে আমাদের অর্থাৎ মানুষের বিচরণ দৃষ্টিগোচর হয় না। পৃথিবীর স্বাপেক্ষে আমরা হয়ে পরি অতি ক্ষুদ্র নগণ্য। আবার, এই পৃথিবী কিন্তু মিল্কিওয়ে নামক এক গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের বাসিন্দা। আর এই ছায়াপথের স্বাপেক্ষে পৃথিবীর আকৃতি অতি ক্ষুদ্র অনুবিক্ষণিক— অনেকটা আমাদের কাছে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আকৃতি যেমন। তাহলে ছায়াপথের স্বাপেক্ষে মানুষের আকৃতি কতটুকু হবে? আমাদের জানা মহাবিশ্বে শত শত কোটি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ রয়েছে। আর এই মহাবিশ্বের স্বাপেক্ষে আমাদের নিজস্ব ছায়াপথ মিল্কিওয়ের আকৃতি হবে অতিশয় ক্ষুদ্র! তাহলে এই মহাবিশ্বের স্বাপেক্ষে আমাদের আকৃতি কতটুকু? বিজ্ঞানের ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় মানুষের আকৃতি ও অবস্থান এই মহাবিশ্বে নেগলিজিবল বা নগণ্য অথবা তুচ্ছ!

এই দীনতার অবস্থানগত সত্ত্বেও আমাদের রয়েছে দর্শনতত্ত্ব, বিজ্ঞানতত্ত্ব এবং ধর্মতত্ত্ব— যা নিয়ে আমরা বড়াই করি এবং নিজেদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক অস্তিত্ব রূপে দাড় করাই। আমরা আমাদের এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ভাবি যে আমরা বলি সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং নিজে তার সব ফেরেস্তাকুল নিয়ে ব্যস্ত আমরা কে কি করছি তা দেখার জন্য! আমরা খুনোখুনিতে লিপ্ত হই এই সৃষ্টি কর্তাকে কেন্দ্র করেই! সৃষ্টিকর্তার কি অন্য কোনো কাজ নেই? বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয় ১৩.৭ বিলিয়ন বছর আগে আর আমাদের এই পৃথিবীর বয়স ৪.৫ বিলিয়ন বছর। এই ভূপৃষ্ঠে মানুষের আবির্ভাব ঘটে মাত্র ৪.৪ মিলিয়ন বছর আগে। এই মহাবিশ্বে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে আমাদের অস্তিত্বের আবির্ভাবের পূর্বে। প্রায় ১৩ বিলিয়ন বছর সৃষ্টিকর্তা ব্যস্ত ছিলেন তার সৃষ্টিকর্ম নিয়ে। তিনি এখনো ব্যস্ত আছেন ক্রমবর্ধমান তার এই সৃষ্টিজগত তদারকিতে। আমার ধারণা স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার কাছেও আমরা অতি তুচ্ছ নগণ্য। মানুষের অস্তিত্ব সম্পর্কে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং একবার বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন—
‘We are such insignificant creatures on a minor planet of a very average star in the outer suburbs of one of a hundred billion galaxies. So it is difficult to believe in a God that would care about us or even notice our existence.’

আকৃতিগত এই মহাবিশ্বে দিক থেকে হতে পারি আমরা অতি তুচ্ছ নগণ্য অপ্রয়োজনীয় এক জৈবিক অস্তিত্ব। কিন্তু বৈচিত্র্যের দিক দিয়ে আমরা মানুষরা কি এক বিস্ময়কর প্রাণী নই? আমরাই তো একমাত্র প্রাণী যারা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে গান রচনা করি, অথবা সাগর পাড়ে দাঁড়িয়ে লিখে ফেলি পাতার পর পাতা কবিতা। আমাদের মাঝেই তো জন্ম নেয় রবীন্দ্র-নজরুল-সুকুমার। সেক্সপেয়ার লিখে ওথেলো অথবা জন্ম দেয় রোমিও-জুলিয়েটের! বিথোফেন বাঁধে সুর। আমরা মানুষরাই তো ভালবাসি, ভালোবাসার জন্য মৃত্যুকে বরণ করি হাসি মুখে। আমরা মানুষরাই তো যৌনতাকে উপভোগ করি চুম্বন অথবা বৈচিত্র্যময় সঙ্গম লীলায়। আমরা মানুষরাই তো মাতৃভাষার দাবিতে বুক পেতে দেই বন্দুকের সামনে। আমরা মানুষরাই তো কেও হই নেলসন ম্যান্ডেলা অথবা মাদার তেরেসা। আমরাই তো সেই মানুষ, যে তার শরীর কেটে অঙ্গ দান করে আরেক মানুষের জন্য। আকৃতিগত সকল তুচ্ছতাকে ছাপিয়ে আমাদের মাঝে এবং এই মহাবিশ্বে আমরাই শ্রেষ্ঠ এবং অতি তাৎপর্যপূর্ণ এক মহৎ সত্তা।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের