বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে বিদ্বেষ মনোভাব ত্যাগ করি
বিশ্বকাপ ফুটবল খুবই জনপ্রিয় খেলা। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে থাকে নানা আয়োজন। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের দেশগুলো ও দর্শকদের মাঝে আনন্দ উদ্দীপনা বিরাজ করে। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন দেশকে সমর্থন করে। কে কোন দেশকে সমর্থন করবে সেটা একান্তই ব্যক্তিগত ভালো লাগা ও পছন্দের বিষয়।
খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপ ফুটবল মঞ্চ পর্যন্ত এসেছেন- এই মঞ্চে আসাটা কি সহজ ছিল? তাদের বিশ্বের মানুষ দেখতে পারছে, চিনতে পারছে এ সফলতা জীবনের। এতো সফলতা কি অল্পতেই এসে পড়েছে সব খেলোয়াড়দের জীবনে? অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক খেলোয়াড়কে অংশ নিতে হয়েছে অসংখ্য ম্যাচে দেশীয় পর্যায়ে। অসংখ্য খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলে তাদের নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করতে হয়েছে। এই দক্ষতা অর্জন কি অল্পতেই সম্ভব ছিল? প্রতিটা দেশের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের দক্ষতার পেছনে হাড় ভাঙা শ্রম অনেক সাধনার ফসল।
জীবনের বড় লক্ষ্য ভালোবাসার কেন্দ্র ফুটবল খেলা ছিল বলেই তাদের বিশ্বকাপে মঞ্চ অব্দি আসা সম্ভব হয়েছে। আর আমাদের দেশের মানুষ বিভিন্ন দেশের দলকে সমর্থন করে। কে কোন দল সমর্থন করবে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। নিজের পছন্দের দল ভালো খেললে ভালো লাগবেই। তবে অন্য দেশের দল খারাপ খেললে বিদ্বেষ মনোভাব, কটূকথা কেন? অন্যের ব্যক্তিগত ভালোলাগায় হস্তক্ষেপ কেন?
যারা ভালো খেলছে তাদের কৌশল সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। তবে বিপরীত পক্ষ সঠিক প্রয়োগ করতে পারছে না বলে তো এমন নয় যে- পরবর্তী বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে না। প্রতিটা দলের খেলোয়াড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো যোগ্যতা আছে বলেই তারা সেরা বিশ্বকাপ মঞ্চ দাঁড়াতে পেরেছেন। ব্যক্তিগত সমর্থন তা কেবল নিজস্ব স্বাধীনতা। তবে অন্য দেশের দল ও সমর্থনকারীকে হেয় প্রতিপন্ন, কথার পরিপ্রেক্ষিতে তর্কে জড়ানো, ফেইসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে হিংসাত্মক পোস্ট বন্ধ করতে হবে। ব্যক্তিগত পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া, বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে বিদ্বেষমূলক আচরণ পরিহার করে অন্যের ব্যক্তিগত পছন্দের সমর্থনকে প্রাধান্য দেওয়া।
এসএন