শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মাঘের শীত বাঘের শীত

শীত থেকে বাঁচতে কাজী নজরুল ইসলাম নিজেকে হাঁড়িতে চড়িয়ে চুলার উপর রাখার কথা বলেছিলেন। তার রসবোধ ছিল প্রবল। যে কোনো কিছুকেই সহজে তিনি ব্যঙ্গাত্মক করে তুলতে পারতেন।

তিনি বলছেন, হাঁড়িতে চড়িয়ে আমায়/উনুনে রাখ গো ত্বরায়। কবির এই ইচ্ছা বাস্তবে বাস্তবায়নের চেয়ে বড় সত্য হলো শীত যখন জেকে বসে তখন প্রায় সবার মানসিকতা এমনটাই হয়। চোখ বাদে সমস্ত শরীর ঢেকেও ‘যেন শীতকে মোকাবিলা করা যায় না। যদিও এরকম শীত শহর এলাকায় বলা যায় বেশ দুর্লভ।

পৌষের শীত গেলে, মাঘের শীত শুরু। শুরু হয়েছে আরও প্রবল বেগে ধেয়ে আসা শীতের দাপট। কে তা গ্রহণ করল না করল তাতে মাঘের কিছু আসে যায় না। শীতের হাওয়াকে গ্রহণ করা না করার কোনো ধার সে ধারে না। শীতের কনকনে হাওয়া উপেক্ষা করা যায় না কোনোভাবেই। এ হাওয়া কাউকে কষ্ট দেয় আবার কাউকে দেয় আনন্দ। আসলে কারোর কোনো কিছু ভালো লাগা না লাগাকে বিবেচনায় রেখে মাঘ আসে না। সে আসে প্রাকৃতিক নিয়মেই। সে আসে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে তার নিয়ম রক্ষার্থে। তাকে যে আসতেই হবে। পৌষের পরেই যে মাঘ মাস। এ মাসও তো শীতের কিছু বৈশিষ্ট্যের তারতম্যের মধ্যে দিয়েই মৌসুমী হাওয়া বদল করে থাকে। বর্তমান বৈরী আবহাওয়া অনেক কিছু পরিবর্তন করলেও প্রকৃতির খেয়ালকে কি সহজে পরিবর্তন করা যায়। মাঘ শীতকে ভরপুর করে তোলে।

শীতঋতু উমউম ঋতু। আলসেমিতে পেয়ে বসে সহজেই। কোনো কাজ শুরু করাটাই যেন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তবে কোনো কাজ একবার শুরু করলে সহজেই ঠাণ্ডার সঙ্গে মানিয়ে যাওয়া যায়। পারত পক্ষে না পারলে কোনো কাজে হাতই দিতে মন চায় না। আড়মোড়া ভেঙে আলস্যকে দূর করা সত্যি কষ্টকর মনে হয়। নেহায়েত নিরূপায় হয়েও অনেক কাজ করতে হয়। কখনো এমন হয় যে বিছানা গড়াগড়ি দিয়েই বেলা কেটে যায়। নাওয়া খাওয়া নেহায়েত অসহায়। অথচ শীত নাচাল। তাকে তার নিয়ম রক্ষা করতে হয়। পুরো বৈশিষ্ট্যকে অক্ষুণ্ন রাখতে হয়। পাছে কেউ আবার অভিযোগ করে শীত এলো অথচ টেরই পেলাম না।

শীতকে নিয়ে অনেকেই অনেক ভাবে চিন্তা করে থাকে। একেকজনের দেখা একেক রকম। প্রত্যেকেই যার যার মনের মাধুরী মিশিয়ে শীতকে দেখে থাকে। ভালো খারাপ উভয় রকম, এমনকি মিশ্র অনুভূতিও থাকে। কেউ যদি রাত জেগে জেগে ভোর দেখে সেই বুঝবে রাতের শীতের ধরন কেমন। এটাও একটি অভিজ্ঞতা। এ অভিজ্ঞতা কি সবাই পায়। ‘সিলেট স্টেশনে একটি শীতের প্রভাত’ নামে এক কবিতায় ফররুখ আহমদ একটি শীতের প্রভাতের চমৎকার একটি বর্ণনা দিয়েছেন। ইরানি ছুরির মত তীধার হাওয়াকে তিনি উপমা শীতের কনকনে হাওয়ার উপমা হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

‘অন্ধকার আজদাহার বেষ্টনীতে প্রাণীও প্রাণের
সাড়া নেই। এখানে জালালাবাদে দেখি এসে
হিম-সিক্ত কম্বলের মত রাত্রি ঢেকেছে নিঃশেষে
সমস্ত আলোকরশ্মি পৃথিবীর সকল পথের।
ইরানী ছুরির মত তীধার হাওয়ার উত্তরের
বিদ্ধ হয় অনাবৃত তরু শীর্ষে, নিমেষে নিমেষে
তারি স্পর্শ পাই শূন্য প্লাটফর্মে; মাঘ রাত্রি শেষে
সুপ্তিমগ্ন জনপ্রাণী এখন সিলেট শহরের।’

মাঘের শীতের সময় হাওয়ার যেন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়। প্রচণ্ডভাবে শীত তখন জেকে বসে। মানুষের অনেক কষ্ট হয়। দুর্যোগের মধ্যেই ফেলে দেয় বলা যায়। সারারাত আরও কষ্ট। অবর্ণনীয় কষ্ট হয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে। আর সব জায়গায় গরিব মানুষের। এই শৈত্য প্রবাহ এমনকি গৃহপালিত পশুদের নিরুাদরুণ কষ্টভোগে বাধ্য করে থাকে। তবু মানুষ প্রকৃতির প্রয়োজনেই শীতের আগমন আশা করে থাকে। কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী শীতের একটি বর্ণনা দিয়েছেন -

‘তুষারি শিশির রিতু হিম চারি মাস
খুল­নার শীত খণ্ডে রবির প্রকাশ।’

শীতের দিনে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। নানারকম পিঠা। তেলে পিঠা, তেল ছাড়া পিঠা আরও রসের পিঠা। সামর্থ্যে না কুলালেও প্রত্যেকেই চায় একটু পিঠার আয়োজন করতে। সবাই তার সাধ্যের মধ্যে কমবেশি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করে থাকে। ভাপা, পুলি, চিতই যেন রসনার বাড়তি আয়োজন হয়। এই পিঠা খাওয়ার আনন্দটুকু সবাই যেন একটু হলে পরখ করে তৃপ্ত হতে চায়। এ সময় রসের আয়োজন সত্যি সব কিছুকে আরও উন্মুখ করে তোলে। শহর অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গাতেই এসময় পিঠা পাওয়া যায়। ইদানীং পিঠার উৎসবও হয়। চারিদিকে রসের মৌ মৌ গন্ধ। বাহারী ফুলের সৌরভে যুক্ত হয় হরেক রকম ফুল। শীতের সবজি তো রুচির মধ্যে বৈচিত্র্য এনে থাকে। দৈনন্দিন খাওয়া দাওয়াতেও যথেষ্ট রুচি পাওয়া যায়। সব কিছু মিলে শীত নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরার চেষ্টা করে। শিশির সিক্ত ভোর আর কুয়াশা ঢাকা প্রকৃতি তো আছেই। কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় হিমের এমন বিষয়টি সুন্দর ভাবে ব্যক্ত করেন।

‘শিশিরের কোলে হিমঋতু আসে,
নিশি-অশ্রুজলে তরুদল ভাসে;’

শীত সত্যি দরিদ্র মানুষের জন্য কষ্ট এনে থাকে। তারা সারারাত অপেক্ষায় থাকে একটু রোদের জন্য। সকালের সূর্যের প্রতিক্ষায় কাটে তাদের প্রহর। শীতের মৌসুমে বৃষ্টিপাত হয় না বললেও চলে। তবু হঠাৎ বৃষ্টি হয়ে যায় কখনো কখনো। সে কষ্ট আরও নিষ্ঠুর হয়ে আসে গরিবের জন্য। প্রকৃতি যেন এক নিষ্ঠুর খেয়ালে মেতে আনন্দ পায়। অথচ শীতের রোদকে বিলাসী করে উপভোগ্য করে তোলে অভিজাত মানুষেরা। ভ্রমণ আর ঘুরে ঘুরে আনন্দ মেতে থাকে তারা এসময় অন্যান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি। ধনী-গরীব ভেদে একই বিষয় একেক জনের কাছে একেক রকম। মাঘের রাত্রিগুলো বড় কষ্টকর। মাঘের শীত বাঘের শীতের মতোই। তখন মনে হয় এক মাঘে আসলেই শীত যায় না। এই ব্যবধান কবে ঘুচবে কে জানে? এরকম একটি অনুভূতিকে এভাবে ব্যক্ত করেছিলাম একটি কবিতায়-

‘বিকিনির শরীরের রোদ পুড়ে সানবাথ
তেঁজগাঁও রেললাইনের বস্তিগুলো
সুশৃক্সখল সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকে
রোদের অপেক্ষায়।
শিশিরের উপর খালি গায়
কাঁপে কুয়াশা
রোদ আসবে রোদ।’

শীত মৌসুমে সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন রকম মেলা বসে। এসব মেলায় সবাই জড়ো হয় আনন্দের সাথে। নানা রকম সাজে সেজে মেতে থাকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। ছেলে-বুড়ো সবাই এ সব উৎসবকে নিজের মতো করে গ্রহণ করতে চায়। উৎসব আমেজ বিরাজ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। কোনো কোনো মেলা মাসব্যাপীও চলে। এসময় আরও একটি বিষয় বেশ দেখা যায়, যদিও তা ইদানীংকালে যথেষ্ট কম হচ্ছে তা হলো ওয়াজ মাহফিল। শহরে, গ্রামে-গঞ্জে সারারাত ধরে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কোনো কোনো মাহফিল তিন থেকে পাঁচদিন পর্যন্তও চলে। অদ্ভুত ব্যাপার এ সব মাহফিলে অসীম ধৈর্যের সাথেই মানুষ সারারাত ওয়াজ শুনে থাকে। মাহফিলের সাথে নিজেকে গভীরভাবে নিবিষ্ট করে নেয় নিজেকে। ওরশ মাহফিলের অনুষ্ঠান এসময় বেড়ে যায় সারা দেশে। ওরশের প্রস্তুতিও চলে বেশ ঘটা করে।

মাঘ মাস আসবে আর ৩০ দিন পরই পত্রিকার হিসাব মতো বিদায় নেবে। মাঘের শীত বাঘের গায়ে লাগা থেকে বাঘও বেঁচে যাবে। আসবে রোমাঞ্চের ঋতু যাকে ঋতুরাজ বসন্ত বলা হয়। গাছে গাছে পাখি কূজন আর কোকিলের ডাকে শিহরতি হবে প্রকৃতি। রঙের শোভায় অপরূপ হয়ে উৎসবে প্রকৃতি। তবু শীত রেখে যাবে তার স্মৃতি চিহ্ন। শীতের অবদানকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখা সুযোগ নেয়। শীতের উদারতাও নিষ্ঠুরতার সময়েই পরবর্তী সময়ের জন্য প্রকৃতি নিজেকে তৈরি করে নেবে। বলা যায় শীত তুলনাহীন। তাকে বারবার আসতেই হবে। শীতকে আমাদের যে বড় প্রয়োজন। ধনী-গরীবের মাঝে শীতই বড়মাপের পার্থক্যটা জানান দিয়ে যায় প্রকাশ্যে।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের