মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মাঘের শীত বাঘের শীত

শীত থেকে বাঁচতে কাজী নজরুল ইসলাম নিজেকে হাঁড়িতে চড়িয়ে চুলার উপর রাখার কথা বলেছিলেন। তার রসবোধ ছিল প্রবল। যে কোনো কিছুকেই সহজে তিনি ব্যঙ্গাত্মক করে তুলতে পারতেন।

তিনি বলছেন, হাঁড়িতে চড়িয়ে আমায়/উনুনে রাখ গো ত্বরায়। কবির এই ইচ্ছা বাস্তবে বাস্তবায়নের চেয়ে বড় সত্য হলো শীত যখন জেকে বসে তখন প্রায় সবার মানসিকতা এমনটাই হয়। চোখ বাদে সমস্ত শরীর ঢেকেও ‘যেন শীতকে মোকাবিলা করা যায় না। যদিও এরকম শীত শহর এলাকায় বলা যায় বেশ দুর্লভ।

পৌষের শীত গেলে, মাঘের শীত শুরু। শুরু হয়েছে আরও প্রবল বেগে ধেয়ে আসা শীতের দাপট। কে তা গ্রহণ করল না করল তাতে মাঘের কিছু আসে যায় না। শীতের হাওয়াকে গ্রহণ করা না করার কোনো ধার সে ধারে না। শীতের কনকনে হাওয়া উপেক্ষা করা যায় না কোনোভাবেই। এ হাওয়া কাউকে কষ্ট দেয় আবার কাউকে দেয় আনন্দ। আসলে কারোর কোনো কিছু ভালো লাগা না লাগাকে বিবেচনায় রেখে মাঘ আসে না। সে আসে প্রাকৃতিক নিয়মেই। সে আসে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে তার নিয়ম রক্ষার্থে। তাকে যে আসতেই হবে। পৌষের পরেই যে মাঘ মাস। এ মাসও তো শীতের কিছু বৈশিষ্ট্যের তারতম্যের মধ্যে দিয়েই মৌসুমী হাওয়া বদল করে থাকে। বর্তমান বৈরী আবহাওয়া অনেক কিছু পরিবর্তন করলেও প্রকৃতির খেয়ালকে কি সহজে পরিবর্তন করা যায়। মাঘ শীতকে ভরপুর করে তোলে।

শীতঋতু উমউম ঋতু। আলসেমিতে পেয়ে বসে সহজেই। কোনো কাজ শুরু করাটাই যেন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তবে কোনো কাজ একবার শুরু করলে সহজেই ঠাণ্ডার সঙ্গে মানিয়ে যাওয়া যায়। পারত পক্ষে না পারলে কোনো কাজে হাতই দিতে মন চায় না। আড়মোড়া ভেঙে আলস্যকে দূর করা সত্যি কষ্টকর মনে হয়। নেহায়েত নিরূপায় হয়েও অনেক কাজ করতে হয়। কখনো এমন হয় যে বিছানা গড়াগড়ি দিয়েই বেলা কেটে যায়। নাওয়া খাওয়া নেহায়েত অসহায়। অথচ শীত নাচাল। তাকে তার নিয়ম রক্ষা করতে হয়। পুরো বৈশিষ্ট্যকে অক্ষুণ্ন রাখতে হয়। পাছে কেউ আবার অভিযোগ করে শীত এলো অথচ টেরই পেলাম না।

শীতকে নিয়ে অনেকেই অনেক ভাবে চিন্তা করে থাকে। একেকজনের দেখা একেক রকম। প্রত্যেকেই যার যার মনের মাধুরী মিশিয়ে শীতকে দেখে থাকে। ভালো খারাপ উভয় রকম, এমনকি মিশ্র অনুভূতিও থাকে। কেউ যদি রাত জেগে জেগে ভোর দেখে সেই বুঝবে রাতের শীতের ধরন কেমন। এটাও একটি অভিজ্ঞতা। এ অভিজ্ঞতা কি সবাই পায়। ‘সিলেট স্টেশনে একটি শীতের প্রভাত’ নামে এক কবিতায় ফররুখ আহমদ একটি শীতের প্রভাতের চমৎকার একটি বর্ণনা দিয়েছেন। ইরানি ছুরির মত তীধার হাওয়াকে তিনি উপমা শীতের কনকনে হাওয়ার উপমা হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

‘অন্ধকার আজদাহার বেষ্টনীতে প্রাণীও প্রাণের
সাড়া নেই। এখানে জালালাবাদে দেখি এসে
হিম-সিক্ত কম্বলের মত রাত্রি ঢেকেছে নিঃশেষে
সমস্ত আলোকরশ্মি পৃথিবীর সকল পথের।
ইরানী ছুরির মত তীধার হাওয়ার উত্তরের
বিদ্ধ হয় অনাবৃত তরু শীর্ষে, নিমেষে নিমেষে
তারি স্পর্শ পাই শূন্য প্লাটফর্মে; মাঘ রাত্রি শেষে
সুপ্তিমগ্ন জনপ্রাণী এখন সিলেট শহরের।’

মাঘের শীতের সময় হাওয়ার যেন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়। প্রচণ্ডভাবে শীত তখন জেকে বসে। মানুষের অনেক কষ্ট হয়। দুর্যোগের মধ্যেই ফেলে দেয় বলা যায়। সারারাত আরও কষ্ট। অবর্ণনীয় কষ্ট হয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে। আর সব জায়গায় গরিব মানুষের। এই শৈত্য প্রবাহ এমনকি গৃহপালিত পশুদের নিরুাদরুণ কষ্টভোগে বাধ্য করে থাকে। তবু মানুষ প্রকৃতির প্রয়োজনেই শীতের আগমন আশা করে থাকে। কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী শীতের একটি বর্ণনা দিয়েছেন -

‘তুষারি শিশির রিতু হিম চারি মাস
খুল­নার শীত খণ্ডে রবির প্রকাশ।’

শীতের দিনে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। নানারকম পিঠা। তেলে পিঠা, তেল ছাড়া পিঠা আরও রসের পিঠা। সামর্থ্যে না কুলালেও প্রত্যেকেই চায় একটু পিঠার আয়োজন করতে। সবাই তার সাধ্যের মধ্যে কমবেশি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করে থাকে। ভাপা, পুলি, চিতই যেন রসনার বাড়তি আয়োজন হয়। এই পিঠা খাওয়ার আনন্দটুকু সবাই যেন একটু হলে পরখ করে তৃপ্ত হতে চায়। এ সময় রসের আয়োজন সত্যি সব কিছুকে আরও উন্মুখ করে তোলে। শহর অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গাতেই এসময় পিঠা পাওয়া যায়। ইদানীং পিঠার উৎসবও হয়। চারিদিকে রসের মৌ মৌ গন্ধ। বাহারী ফুলের সৌরভে যুক্ত হয় হরেক রকম ফুল। শীতের সবজি তো রুচির মধ্যে বৈচিত্র্য এনে থাকে। দৈনন্দিন খাওয়া দাওয়াতেও যথেষ্ট রুচি পাওয়া যায়। সব কিছু মিলে শীত নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরার চেষ্টা করে। শিশির সিক্ত ভোর আর কুয়াশা ঢাকা প্রকৃতি তো আছেই। কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় হিমের এমন বিষয়টি সুন্দর ভাবে ব্যক্ত করেন।

‘শিশিরের কোলে হিমঋতু আসে,
নিশি-অশ্রুজলে তরুদল ভাসে;’

শীত সত্যি দরিদ্র মানুষের জন্য কষ্ট এনে থাকে। তারা সারারাত অপেক্ষায় থাকে একটু রোদের জন্য। সকালের সূর্যের প্রতিক্ষায় কাটে তাদের প্রহর। শীতের মৌসুমে বৃষ্টিপাত হয় না বললেও চলে। তবু হঠাৎ বৃষ্টি হয়ে যায় কখনো কখনো। সে কষ্ট আরও নিষ্ঠুর হয়ে আসে গরিবের জন্য। প্রকৃতি যেন এক নিষ্ঠুর খেয়ালে মেতে আনন্দ পায়। অথচ শীতের রোদকে বিলাসী করে উপভোগ্য করে তোলে অভিজাত মানুষেরা। ভ্রমণ আর ঘুরে ঘুরে আনন্দ মেতে থাকে তারা এসময় অন্যান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি। ধনী-গরীব ভেদে একই বিষয় একেক জনের কাছে একেক রকম। মাঘের রাত্রিগুলো বড় কষ্টকর। মাঘের শীত বাঘের শীতের মতোই। তখন মনে হয় এক মাঘে আসলেই শীত যায় না। এই ব্যবধান কবে ঘুচবে কে জানে? এরকম একটি অনুভূতিকে এভাবে ব্যক্ত করেছিলাম একটি কবিতায়-

‘বিকিনির শরীরের রোদ পুড়ে সানবাথ
তেঁজগাঁও রেললাইনের বস্তিগুলো
সুশৃক্সখল সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকে
রোদের অপেক্ষায়।
শিশিরের উপর খালি গায়
কাঁপে কুয়াশা
রোদ আসবে রোদ।’

শীত মৌসুমে সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন রকম মেলা বসে। এসব মেলায় সবাই জড়ো হয় আনন্দের সাথে। নানা রকম সাজে সেজে মেতে থাকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। ছেলে-বুড়ো সবাই এ সব উৎসবকে নিজের মতো করে গ্রহণ করতে চায়। উৎসব আমেজ বিরাজ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। কোনো কোনো মেলা মাসব্যাপীও চলে। এসময় আরও একটি বিষয় বেশ দেখা যায়, যদিও তা ইদানীংকালে যথেষ্ট কম হচ্ছে তা হলো ওয়াজ মাহফিল। শহরে, গ্রামে-গঞ্জে সারারাত ধরে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কোনো কোনো মাহফিল তিন থেকে পাঁচদিন পর্যন্তও চলে। অদ্ভুত ব্যাপার এ সব মাহফিলে অসীম ধৈর্যের সাথেই মানুষ সারারাত ওয়াজ শুনে থাকে। মাহফিলের সাথে নিজেকে গভীরভাবে নিবিষ্ট করে নেয় নিজেকে। ওরশ মাহফিলের অনুষ্ঠান এসময় বেড়ে যায় সারা দেশে। ওরশের প্রস্তুতিও চলে বেশ ঘটা করে।

মাঘ মাস আসবে আর ৩০ দিন পরই পত্রিকার হিসাব মতো বিদায় নেবে। মাঘের শীত বাঘের গায়ে লাগা থেকে বাঘও বেঁচে যাবে। আসবে রোমাঞ্চের ঋতু যাকে ঋতুরাজ বসন্ত বলা হয়। গাছে গাছে পাখি কূজন আর কোকিলের ডাকে শিহরতি হবে প্রকৃতি। রঙের শোভায় অপরূপ হয়ে উৎসবে প্রকৃতি। তবু শীত রেখে যাবে তার স্মৃতি চিহ্ন। শীতের অবদানকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখা সুযোগ নেয়। শীতের উদারতাও নিষ্ঠুরতার সময়েই পরবর্তী সময়ের জন্য প্রকৃতি নিজেকে তৈরি করে নেবে। বলা যায় শীত তুলনাহীন। তাকে বারবার আসতেই হবে। শীতকে আমাদের যে বড় প্রয়োজন। ধনী-গরীবের মাঝে শীতই বড়মাপের পার্থক্যটা জানান দিয়ে যায় প্রকাশ্যে।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য