শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মাঘের শীত বাঘের শীত

শীত থেকে বাঁচতে কাজী নজরুল ইসলাম নিজেকে হাঁড়িতে চড়িয়ে চুলার উপর রাখার কথা বলেছিলেন। তার রসবোধ ছিল প্রবল। যে কোনো কিছুকেই সহজে তিনি ব্যঙ্গাত্মক করে তুলতে পারতেন।

তিনি বলছেন, হাঁড়িতে চড়িয়ে আমায়/উনুনে রাখ গো ত্বরায়। কবির এই ইচ্ছা বাস্তবে বাস্তবায়নের চেয়ে বড় সত্য হলো শীত যখন জেকে বসে তখন প্রায় সবার মানসিকতা এমনটাই হয়। চোখ বাদে সমস্ত শরীর ঢেকেও ‘যেন শীতকে মোকাবিলা করা যায় না। যদিও এরকম শীত শহর এলাকায় বলা যায় বেশ দুর্লভ।

পৌষের শীত গেলে, মাঘের শীত শুরু। শুরু হয়েছে আরও প্রবল বেগে ধেয়ে আসা শীতের দাপট। কে তা গ্রহণ করল না করল তাতে মাঘের কিছু আসে যায় না। শীতের হাওয়াকে গ্রহণ করা না করার কোনো ধার সে ধারে না। শীতের কনকনে হাওয়া উপেক্ষা করা যায় না কোনোভাবেই। এ হাওয়া কাউকে কষ্ট দেয় আবার কাউকে দেয় আনন্দ। আসলে কারোর কোনো কিছু ভালো লাগা না লাগাকে বিবেচনায় রেখে মাঘ আসে না। সে আসে প্রাকৃতিক নিয়মেই। সে আসে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে তার নিয়ম রক্ষার্থে। তাকে যে আসতেই হবে। পৌষের পরেই যে মাঘ মাস। এ মাসও তো শীতের কিছু বৈশিষ্ট্যের তারতম্যের মধ্যে দিয়েই মৌসুমী হাওয়া বদল করে থাকে। বর্তমান বৈরী আবহাওয়া অনেক কিছু পরিবর্তন করলেও প্রকৃতির খেয়ালকে কি সহজে পরিবর্তন করা যায়। মাঘ শীতকে ভরপুর করে তোলে।

শীতঋতু উমউম ঋতু। আলসেমিতে পেয়ে বসে সহজেই। কোনো কাজ শুরু করাটাই যেন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তবে কোনো কাজ একবার শুরু করলে সহজেই ঠাণ্ডার সঙ্গে মানিয়ে যাওয়া যায়। পারত পক্ষে না পারলে কোনো কাজে হাতই দিতে মন চায় না। আড়মোড়া ভেঙে আলস্যকে দূর করা সত্যি কষ্টকর মনে হয়। নেহায়েত নিরূপায় হয়েও অনেক কাজ করতে হয়। কখনো এমন হয় যে বিছানা গড়াগড়ি দিয়েই বেলা কেটে যায়। নাওয়া খাওয়া নেহায়েত অসহায়। অথচ শীত নাচাল। তাকে তার নিয়ম রক্ষা করতে হয়। পুরো বৈশিষ্ট্যকে অক্ষুণ্ন রাখতে হয়। পাছে কেউ আবার অভিযোগ করে শীত এলো অথচ টেরই পেলাম না।

শীতকে নিয়ে অনেকেই অনেক ভাবে চিন্তা করে থাকে। একেকজনের দেখা একেক রকম। প্রত্যেকেই যার যার মনের মাধুরী মিশিয়ে শীতকে দেখে থাকে। ভালো খারাপ উভয় রকম, এমনকি মিশ্র অনুভূতিও থাকে। কেউ যদি রাত জেগে জেগে ভোর দেখে সেই বুঝবে রাতের শীতের ধরন কেমন। এটাও একটি অভিজ্ঞতা। এ অভিজ্ঞতা কি সবাই পায়। ‘সিলেট স্টেশনে একটি শীতের প্রভাত’ নামে এক কবিতায় ফররুখ আহমদ একটি শীতের প্রভাতের চমৎকার একটি বর্ণনা দিয়েছেন। ইরানি ছুরির মত তীধার হাওয়াকে তিনি উপমা শীতের কনকনে হাওয়ার উপমা হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

‘অন্ধকার আজদাহার বেষ্টনীতে প্রাণীও প্রাণের
সাড়া নেই। এখানে জালালাবাদে দেখি এসে
হিম-সিক্ত কম্বলের মত রাত্রি ঢেকেছে নিঃশেষে
সমস্ত আলোকরশ্মি পৃথিবীর সকল পথের।
ইরানী ছুরির মত তীধার হাওয়ার উত্তরের
বিদ্ধ হয় অনাবৃত তরু শীর্ষে, নিমেষে নিমেষে
তারি স্পর্শ পাই শূন্য প্লাটফর্মে; মাঘ রাত্রি শেষে
সুপ্তিমগ্ন জনপ্রাণী এখন সিলেট শহরের।’

মাঘের শীতের সময় হাওয়ার যেন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়। প্রচণ্ডভাবে শীত তখন জেকে বসে। মানুষের অনেক কষ্ট হয়। দুর্যোগের মধ্যেই ফেলে দেয় বলা যায়। সারারাত আরও কষ্ট। অবর্ণনীয় কষ্ট হয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে। আর সব জায়গায় গরিব মানুষের। এই শৈত্য প্রবাহ এমনকি গৃহপালিত পশুদের নিরুাদরুণ কষ্টভোগে বাধ্য করে থাকে। তবু মানুষ প্রকৃতির প্রয়োজনেই শীতের আগমন আশা করে থাকে। কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী শীতের একটি বর্ণনা দিয়েছেন -

‘তুষারি শিশির রিতু হিম চারি মাস
খুল­নার শীত খণ্ডে রবির প্রকাশ।’

শীতের দিনে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। নানারকম পিঠা। তেলে পিঠা, তেল ছাড়া পিঠা আরও রসের পিঠা। সামর্থ্যে না কুলালেও প্রত্যেকেই চায় একটু পিঠার আয়োজন করতে। সবাই তার সাধ্যের মধ্যে কমবেশি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করে থাকে। ভাপা, পুলি, চিতই যেন রসনার বাড়তি আয়োজন হয়। এই পিঠা খাওয়ার আনন্দটুকু সবাই যেন একটু হলে পরখ করে তৃপ্ত হতে চায়। এ সময় রসের আয়োজন সত্যি সব কিছুকে আরও উন্মুখ করে তোলে। শহর অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গাতেই এসময় পিঠা পাওয়া যায়। ইদানীং পিঠার উৎসবও হয়। চারিদিকে রসের মৌ মৌ গন্ধ। বাহারী ফুলের সৌরভে যুক্ত হয় হরেক রকম ফুল। শীতের সবজি তো রুচির মধ্যে বৈচিত্র্য এনে থাকে। দৈনন্দিন খাওয়া দাওয়াতেও যথেষ্ট রুচি পাওয়া যায়। সব কিছু মিলে শীত নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরার চেষ্টা করে। শিশির সিক্ত ভোর আর কুয়াশা ঢাকা প্রকৃতি তো আছেই। কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় হিমের এমন বিষয়টি সুন্দর ভাবে ব্যক্ত করেন।

‘শিশিরের কোলে হিমঋতু আসে,
নিশি-অশ্রুজলে তরুদল ভাসে;’

শীত সত্যি দরিদ্র মানুষের জন্য কষ্ট এনে থাকে। তারা সারারাত অপেক্ষায় থাকে একটু রোদের জন্য। সকালের সূর্যের প্রতিক্ষায় কাটে তাদের প্রহর। শীতের মৌসুমে বৃষ্টিপাত হয় না বললেও চলে। তবু হঠাৎ বৃষ্টি হয়ে যায় কখনো কখনো। সে কষ্ট আরও নিষ্ঠুর হয়ে আসে গরিবের জন্য। প্রকৃতি যেন এক নিষ্ঠুর খেয়ালে মেতে আনন্দ পায়। অথচ শীতের রোদকে বিলাসী করে উপভোগ্য করে তোলে অভিজাত মানুষেরা। ভ্রমণ আর ঘুরে ঘুরে আনন্দ মেতে থাকে তারা এসময় অন্যান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি। ধনী-গরীব ভেদে একই বিষয় একেক জনের কাছে একেক রকম। মাঘের রাত্রিগুলো বড় কষ্টকর। মাঘের শীত বাঘের শীতের মতোই। তখন মনে হয় এক মাঘে আসলেই শীত যায় না। এই ব্যবধান কবে ঘুচবে কে জানে? এরকম একটি অনুভূতিকে এভাবে ব্যক্ত করেছিলাম একটি কবিতায়-

‘বিকিনির শরীরের রোদ পুড়ে সানবাথ
তেঁজগাঁও রেললাইনের বস্তিগুলো
সুশৃক্সখল সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকে
রোদের অপেক্ষায়।
শিশিরের উপর খালি গায়
কাঁপে কুয়াশা
রোদ আসবে রোদ।’

শীত মৌসুমে সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন রকম মেলা বসে। এসব মেলায় সবাই জড়ো হয় আনন্দের সাথে। নানা রকম সাজে সেজে মেতে থাকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। ছেলে-বুড়ো সবাই এ সব উৎসবকে নিজের মতো করে গ্রহণ করতে চায়। উৎসব আমেজ বিরাজ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। কোনো কোনো মেলা মাসব্যাপীও চলে। এসময় আরও একটি বিষয় বেশ দেখা যায়, যদিও তা ইদানীংকালে যথেষ্ট কম হচ্ছে তা হলো ওয়াজ মাহফিল। শহরে, গ্রামে-গঞ্জে সারারাত ধরে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কোনো কোনো মাহফিল তিন থেকে পাঁচদিন পর্যন্তও চলে। অদ্ভুত ব্যাপার এ সব মাহফিলে অসীম ধৈর্যের সাথেই মানুষ সারারাত ওয়াজ শুনে থাকে। মাহফিলের সাথে নিজেকে গভীরভাবে নিবিষ্ট করে নেয় নিজেকে। ওরশ মাহফিলের অনুষ্ঠান এসময় বেড়ে যায় সারা দেশে। ওরশের প্রস্তুতিও চলে বেশ ঘটা করে।

মাঘ মাস আসবে আর ৩০ দিন পরই পত্রিকার হিসাব মতো বিদায় নেবে। মাঘের শীত বাঘের গায়ে লাগা থেকে বাঘও বেঁচে যাবে। আসবে রোমাঞ্চের ঋতু যাকে ঋতুরাজ বসন্ত বলা হয়। গাছে গাছে পাখি কূজন আর কোকিলের ডাকে শিহরতি হবে প্রকৃতি। রঙের শোভায় অপরূপ হয়ে উৎসবে প্রকৃতি। তবু শীত রেখে যাবে তার স্মৃতি চিহ্ন। শীতের অবদানকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখা সুযোগ নেয়। শীতের উদারতাও নিষ্ঠুরতার সময়েই পরবর্তী সময়ের জন্য প্রকৃতি নিজেকে তৈরি করে নেবে। বলা যায় শীত তুলনাহীন। তাকে বারবার আসতেই হবে। শীতকে আমাদের যে বড় প্রয়োজন। ধনী-গরীবের মাঝে শীতই বড়মাপের পার্থক্যটা জানান দিয়ে যায় প্রকাশ্যে।

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত