ক্ষুরধার লেখনী ঢাকাপ্রকাশকে নিয়ে গেছে অনন্য মাত্রায়
স্বল্প সময়ে অনলাইন পত্রিকা ঢাকাপ্রকাশ দেশের পাঠকদের কাছে সমাদৃত হয়ে তৈরি করেছে অনন্য উদাহরণ। আসছে ১ ডিসেম্বর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে এই পত্রিকা। পত্রিকাটির অনুসন্ধানী সংবাদগুলো আমাকে সত্যি মুগ্ধ করে। সেইসঙ্গে ক্ষুরধার লেখনী এই পত্রিকাকে নিয়ে গেছে আলাদা মাত্রায়। বস্তুনিষ্ঠ, বিশ্লেষণভিত্তিক মতামত সকল পাঠকের কাছে অন্যরকম একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছে। বর্তমান সময়ের তরুণ লেখকরা এই অনলাইন পত্রিকার সাহিত্য এবং মতামত বিভাগের লেখা পড়ে বেশ সমৃদ্ধ হচ্ছেন।
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, অঞ্চল থেকে এই গণমাধ্যমের প্রতিনিধি রয়েছে। যাদের মাধ্যমে সবধরনের সংবাদ দ্রুত পাঠকের সামনে তুলে ধরছে পত্রিকাটি। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, অধিকার নিয়ে নিয়মিত লেখা প্রকাশ করে যাচ্ছে ঢাকাপ্রকাশ।
শুধু তাই নয়, সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও দেওয়ার মধ্য দিয়েও ঢাকাপ্রকাশ পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। সাধারণ মানুষের অধিকার, ন্যায্য দাবি পূরণে ও বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে এগিয়ে নিতে এই পত্রিকার অবদান স্বীকার করতে হবে অকপটে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নিয়মিত সাহসী প্রতিবেদন করেছে ঢাকাপ্রকাশ। যেখানেই মানুষের অধিকার হরণ হয় সেখানেই এই পত্রিকার ভূমিকা দেখা যায় সাহসীভাবে।
ঢাকাপ্রকাশ এ পর্যন্ত অনেক জাতীয় বেশকিছু বিষয়ে সাহসী রিপোর্ট করেছে। যা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। এ পত্রিকায় সব পেশা, শ্রেণি ও ধর্ম গোত্রের সব খবরা খবর প্রকাশ হয়। এখানে সত্য ও সঠিক মতামতসহ সবগুলো বিভাগ পাঠকের মন জয় করতে পেরেছে। এই পত্রিকার বিভাগগুলোও মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, সারাদেশ, সারাবিশ্ব, বিনোদন, খেলাধুলা, সাহিত্য, লাইফস্টাইল, স্বাস্থ্য, মতামত, বিশেষ প্রতিবেদন, ফিচার এমনকি পাঠকের কথা বিভাগও রয়েছে। সত্যি বলতে এ সব বিভাগ পাঠকের চাওয়াকে সমৃদ্ধ করেছে।
ঢাকাপ্রকাশের এই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বর্তমানেও। আমি মনে করি, সময় যত গড়াবে এই পত্রিকা আরও এগিয়ে যাবে। অল্প সময়ে এ পত্রিকা নতুন প্রজন্মকে সাথে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ পত্রিকার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লেখক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, গবেষক, তৈরি হচ্ছে। ঢাকাপ্রকাশ লেখক তৈরির একটা প্ল্যাটফর্ম বললেও ভুল হবে না। সাহিত্য চর্চা, সংস্কৃতি, ধর্মীয়, সভা, সম্মেলন সব বিষয়ের সংবাদ এ পত্রিকায় অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে প্রচার করা হয়। পাঠকদের কথা তুলে ধরতে এই পত্রিকা সবসময় সচেষ্ট থাকে।
পাঠকদের মনের কথা, ভালো লেখা নিয়মিত প্রকাশ করে থাকে এই পত্রিকা। সাবলীল এবং সুন্দর সংবাদ পরিবেশনের কারণে এই পত্রিকার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। আমার বিশ্বাস এই ধারবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে ঢাকাপ্রকাশ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে। আর এই সাফল্য ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন বস্তুনিষ্ঠতা।
এই পত্রিকার আরও একটা বিষয় বেশ ভালো লাগে। বিভিন্ন সময় এই পত্রিকায় দেওয়া হয় প্রতিযোগিতা। সাম্প্রতিক সময়ে বর্ষার গল্পসহ আরও নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ঢাকাপ্রকাশ। যা সত্যি পাঠকদের জন্য অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ। সেইসাথে পাঠকরা এমন একটা প্ল্যাটফর্ম পেয়েছে যেখানে তারাও লিখতে পারে।
পরিশষে এ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক, প্রতিবেদক, রিপোর্টার ও সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ রইল। সব লেখক-পাঠকদেরও শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা জানাই। ঢাকাপ্রকাশ এগিয়ে যাবে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে।
লেখক: শিক্ষার্থী, ওমরগণি এমইএস কলেজ, চট্টগ্রাম
আরএ/