পাঠকের পছন্দকে গুরুত্ব দেয় ঢাকাপ্রকাশ
আসছে ১ ডিসেম্বর ঢাকাপ্রকাশ এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি ঢাকাপ্রকাশ পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন জানাই। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। বিগত মেয়াদে দেশে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যাপক সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে তথ্যনির্ভর সমাজ গঠনের পথ এগিয়ে নিচ্ছে সরকার। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ, লালন ও পরিচর্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
এদেশের গণমাধ্যম দেশ ও জাতির বিভিন্ন ক্রান্তিকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় সাহসী, নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চায় ঢাকাপ্রকাশ অব্যাহত ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসী ও দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী নজর কেড়েছে, অর্জন করেছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা।
আমি আশা করি, ঢাকাপ্রকাশ পাঠকের চাহিদা ও পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পাঠকের মাঝে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট হবে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, বিজ্ঞানমনস্ক ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম তৈরিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। অতীতের ন্যায় আগামী দিনেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এবং পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দেশ ও দশের উন্নয়নে নিবেদিত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।
নিয়মিত পড়ি। পড়ার একটা কারণ হচ্ছে এর সংবাদ পরিবেশনের বৈশিষ্ট্য। কখনোই তা একপেশে হয় না। যে ঘটনা ঘটে, সেটাই বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে তুলে ধরে। সংবাদ পরিবেশনও উন্নত মানের এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ। এজন্য ঢাকাপ্রকাশ আমার ভালো লাগে। ঢাকাপ্রকাশ উপসম্পাদকীয়গুলো আমি মনোযোগ দিয়ে পড়ি। এখানে বিভিন্ন মত আসে। অন্য পত্রিকার মতো একপেশে নয়।
আমি ঢাকাপ্রকাশ সফলতা কামনা করি এবং প্রকাশনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
লেখক: নাহিদ হাসান, কেশবপুর, যশোর
আরএ/