রাজনন্দন
ভালোবাসার ঢেউয়ের দোলা তোমার জন্য রেখেছিলাম
হৃদয়জুড়ে ছলাৎ ছলাৎ তালে ছিলাম মগ্ন হয়ে,
মৌসুমে বেশ মনে হলো এইতো পেলাম, এইতো পেলাম
খরায় আবার ঢেউ ফুরোলে ভাবনা হলো কখন পেলাম!
নিজের ভেতর ঝর্ণা বহে তোমার নামে ছন্দ তুলে
তুমিই কেবল রইলে দূরে
বিরহের তপ্ত বেহাগ বেজে চলে মর্মমূলে
পুড়িয়ে যায় আগুন ছাড়াই।
নির্মাতা হে গড়লে আমায় অগ্নিদাহে, তপ্ত ঘাইয়ে।
নিজের সুখে, কারিগরি কল্পনাতে।
আমার সুখ-
সুখ বলে রাধিকার নিজের কিছু থাকে নাকি?
বাঁশরী বাজুক বা নাই বাজুক,
বাড়ির আঙিনায় আইডাই তার প্রাণ!
তুমি কিন্তু উদার দারুণ!
যখন যা চাইলে দিতে, দিলে ঢেলে।
দীনতা আমার, যৎসামান্য ভাণ্ডারে
ধরতে পারিনি অমৃত তার।
যা কিছু আমার ইচ্ছে হলো, চাইনু যা কিছু দু'হাত পেতে,
বড় উষ্মায় কেড়ে নিলে তাই, কেমন তোমার বৈরীচলন!
রাজনন্দন! কোন সে খাঁচায় বাঁধলে আমার ইচ্ছেগুলো!
জীবন পারের সিড়ি ধরে দাঁড়িয়ে গেলে
মিষ্টি করে বললে তুমি "এসো প্রিয়",
যেই চড়েছি নিজের মতো অমনি হঠাৎ হারিয়ে গেলে।
টলমলিয়ে পড়ল চরণ; ইচ্ছেখানার হলো মরণ।
রাজনন্দন! মালিক হবার সুখে তুমি হাসছ বুঝি!
যতই হাসো, প্রেমের টানে কদম তলে
আবার তোমায় আসতে হবে, রইল কসম।
এসজি