অসত্য সংবাদ প্রকাশ করে না ঢাকাপ্রকাশ
বর্তমানে আমাদের দেশে ব্যাঙের ছাতার মত অনলাইন পত্রিকা গড়ে উঠেছে। যারা অনলাইন পত্রিকার উদ্যোক্তা তারা নামে বেনামে এমন নিউজ ছড়াচ্ছেন যা সত্যিকার অর্থে সাংবাদিকতা পেশাটাকে কলুষিত করছে। এতে করে সাংবাদিকরা যেমন হেয় হচ্ছেন, তেমনিভাবে জনসাধারণ অনলাইন পত্রিকার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
অনেক মানুষ আছেন যাদের কোনো সংবাদের বিষয়ে বললে শুরুতেই বলেন, এটা কি অনলাইন পত্রিকার নিউজ? অনলাইন পত্রিকার নিউজ হলে বিশ্বাস করা যাবে না এমন একটা ভাব। অনেকেই বর্তমানে মনে করেন— মূল পত্রিকার মত অনলাইন পত্রিকা গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। কারণ হচ্ছে কিছু সাংবাদিক সত্যিকার অর্থেই হলুদ সাংবাদিকতায় লিপ্ত। যা আমাদের জাতির জন্য অশনি সংকেত। বাংলাদেশ এমনিতেই হুজুগে বাঙালি। তারা একটা কিছু পেলেই হলো। গুজব হোক আর ফেইক নিউজ হোক খুব সহজেই বিশ্বাস করে ফেলে। এতে করে সাংবাদিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।
ঢাকাপ্রকাশ অনলাইন নিউজ পেপার হলেও তা যে পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে তা বলাই বাহুল্য। ঢাকাপ্রকাশ পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার পেছনে যেটা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে তা হচ্ছে সত্য নিউজ। আমি ঢাকাপ্রকাশ-এর শুরু থেকেই নিউজগুলো দেখি। এর মধ্যে আমি একদিনও দেখিনি কোনো ফেইক নিউজ বা গুজব প্রচার করতে। এই বিষয়টা একটা অনলাইন পত্রিকার জন্য বড় পাওয়া আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।
ঢাকাপ্রকাশের আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে— গুরুত্বপূর্ণ নিউজগুলো সবার আগে প্রচার করা। আমরা জানি, প্রিন্ট মিডিয়াতে একটা নিউজ আসতে এক দুই দিন সময় লেগে যায়। পাঠকরা অনেক সময় ওই গুরুত্বপূর্ণ নিউজটাকে পুরাতন নিউজ মনে করে। ঢাকাপ্রকাশ যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ নিউজগুলো সবার আগে প্রচার করে। এই কারণে অন্যান্য যত অনলাইন-অফলাইন পত্রিকা আছে তাদের থেকে অনেক এগিয়ে থাকে। আমি প্রায়ই যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ নিউজ বা সাম্প্রতিক নিউজের জন্য ঢাকাপ্রকাশের নিউজফিড এ প্রবেশ করি। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ নিউজের জন্য ঢাকাপ্রকাশ পোর্টালে প্রবেশ করে কখনো হতাশ হয়নি। এটা আমার অনেক ভাল লাগে।
আমি পাঠক হিসেবে খেলাধুলা এবং রাজনীতি অনেক পছন্দ করি। এই খেলাধুলা এবং রাজনৈতিক নিউজগুলো ঢাকাপ্রকাশ থেকেই সর্বপ্রথম আমি পাই। ঢাকাপ্রকাশের পোর্টালে লাইক দেওয়ার কারণে খুব সহজেই আমার ফেসবুক ওয়ালে নিত্য নতুন নিউজগুলো আসে। অনেক সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিউজফিডের ভেতরে গেলে লেখাটা আকর্ষণীয় মনে হলে নিউজটা পড়তে থাকি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিউজগুলোতে অন্য রকম এক রহস্য বা তথ্যমূলক ব্যাপার পাই যাতে করে সম্পূর্ণ নিউজটা পড়ে ফেলি।
আমার ফেসবুক ওয়ালে অনেক অনলাইন নিউজগুলোর তথ্য আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় হেডলাইন অনেক আকর্ষণীয় থাকে। ভেতরে সব ফাঁকা। আবার হেডলাইনের সঙ্গে ভেতরের নিউজের কোনো মিল নেই। এটা যে হলুদ সাংবাদিকতা বা গুজব ছড়ানোর হাতিয়ার তা সহজেই বুঝা যায়। ওই সমস্ত নিউজ শেয়ার বা লাইক দিলেও নিজেকে অপরাধী মনে হয়।
ঢাকাপ্রকাশ-এ এমন কোনো নিউজ দেখিনি যেটা হেডলাইনের সঙ্গে ভেতরে কোনো মিল নেই। ব্যাপারটা হচ্ছে এই রকম যে, হেডলাইন দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার জন্য আকৃষ্ট করা। এতে করে পাঠকরা বিরক্ত হয়। আমি নিজেও অনেক বিরক্ত হতাম। এই কারণে যত অনলাইন নিউজ আছে সব আমি ডিলেট করে দেই শুধুমাত্র ঢাকাপ্রকাশের পেজটা ছাড়া।
ঢাকাপ্রকাশ-এর গুণগান গেয়ে শেষ করা যাবে না। সবদিক দিয়েই তারা দেশের একটি বিখ্যাত এবং নামকরা অনলাইন পত্রিকা। মানুষ যার উপর আস্থা রাখছে। আমি নিজেও রাখছি। অনলাইন নিউজ পেপারগুলোতে সাহিত্যের কিছুটা ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। ঢাকাপ্রকাশকেও মনে হল সেই ব্যাপারে উদাসীন। যদি সপ্তাহে একদিনও সাহিত্যের নিউজগুলো প্রচার হয় তাহলে সাহিত্যপ্রেমীরা উপকৃত হবেন।
লেখক: সিনিয়র অফিসার (আইটি) সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, গোকর্ণঘাট শাখা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আরএ/