নবীন হলেও পাঠকের আস্থায় ঢাকাপ্রকাশ
আগামী ১ ডিসেম্বর ঢাকাপ্রকাশ তার প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। আমি প্রথমেই ঢাকাপ্রকাশ সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাচ্ছি অভিনন্দন ও হার্দিক শুভেচ্ছা।
'সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি' স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকাপ্রকাশ এক বছর আগে তার যাত্রা শুরু করেছিল। স্লোগানটি তাত্ত্বিক তাই এটিকে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের দায়টিও পত্রিকাটির উপরেই বর্তায়। আজকে বর্ষপূর্তির এই দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দ্বিধাহীনভাবেই স্বীকার করতে হবে যে, ঢাকাপ্রকাশ তার কথা রেখেছে। সত্য ও সুসাংবাদিকতার আকাল আজ বিশ্বজুড়ে।
পক্ষপাতমূলক উপাত্ত, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য, যাচাই-বাছাই না করা, কপি-পেস্ট সংবাদ, সুবিধাবাদী অবস্থান ইত্যাদি হলুদ সাংবাদিকতায় বিগত সময়ে ঢাকাপ্রকাশকে কখনোই সম্পৃক্ত থাকতে দেখা যায়নি। স্পেডকে স্পেড বলার মানসিকতা নিয়েই কাজ করে গিয়েছেন পত্রিকা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকেই। দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা দেশে-বিদেশে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর সুসম্পাদনার মাধ্যমে আমাদের সামনে পরিবেশিত হয়েছে।
রাজনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস, জন-জীবন, বিনোদন, ক্রীড়া সব বিভাগেই ঢাকাপ্রকাশ নিজস্বতার স্বাক্ষর রেখেছে। পাঠকের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বাংলা, ইংরেজি দুটো ভাষাতেই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। স্বদেশের যেকোনো জরুরি সংবাদ আমরা ঢাকাপ্রকাশ মারফত খুব কম সময়েই জানতে পেরেছি। দেশের রাজনৈতিক পরিক্রমা ও ক্রান্তিলগ্নে সাংবাদিকতায় যে সৎসাহস প্রয়োজন সেটি ঢাকাপ্রকাশ এই এক বছরে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে করে দেখিয়েছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছিলেন "স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম ও সুশাসন থাকলে সে দেশে দুর্ভিক্ষ হয় না।"
সাংবাদিকতার যে মৌলিক নীতি ও আদর্শ রয়েছে ঢাকাপ্রকাশ সূচনালগ্ন থেকে সচেতনভাবেই যেন সেগুলো মান্য করে চলেছে অদ্যাবধি। তাইতো পথচলায় নবীন হলেও লাখো পাঠকের আস্থা ও ভরসা অল্প সময়েই অর্জন করতে পেরেছে ঢাকাপ্রকাশ। তবে, এই বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে একজন পাঠক হিসেবে ঢাকাপ্রকাশের কাছে আমার দুইটি আর্জি রয়েছে।
প্রথমটি হলো, অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণাচাষাবাদের এই প্রতিকূল সময়ে আমাদের সবার ভেতর সহিষ্ণুতা ও শ্রদ্ধাবোধ জাগিয়ে তোলার জন্য শিল্প ও সাহিত্যধর্মী একটি স্বতন্ত্র অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করা।
দ্বিতীয়টি হলো, বিশ্বব্যাপী ঘটে যাওয়া আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও সংবাদগুলো নিয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী ভিডিও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
নিঃসন্দেহে, এর মধ্যে দিয়ে আমরা পাঠকেরা আরও বেশি সমৃদ্ধ ও উপকৃত হব। পরিশেষে বলতে চাই, শুভ জন্মবার্ষিকী ঢাকাপ্রকাশ। সহস্র বছর বেঁচে থাক পাঠকের হৃদয়ে।
এসএন