জয় হোক সুসাংবাদিকতার
শুরুতেই ঢাকাপ্রকাশ-এর একবছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা প্রকাশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার পক্ষ থেকে একগুচ্ছ গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা রইল। মূলত গত ৩০ নভেম্বর ২০২১ সালে ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক মোস্তফা কামাল স্যারের ‘প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা এবং আমাদের অঙ্গীকার’ শীর্ষক শিরোনামের একটি বাক্য পড়ে মূলত আমি ঢাকাপ্রকাশের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলাম। সেই বাক্যটি হচ্ছে—‘গণমাধ্যম কখনো সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, বরং সহযোগী’।
সেই থেকে শুরু। আজ অবধি ঢাকাপ্রকাশের আমি একজন নিয়মিত পাঠক ও দর্শক। ঢাকাপ্রকাশের সঙ্গে এক বছর কখন পার করে ফেললাম টেরই পাইনি। মূলত ২০০৬ সাল থেকে আমি নিয়মিতভাবে সংবাদপত্র পাঠ করে আসছি। তখন ছাপা কাগজ পড়তাম। কিন্তু বর্তমানে ই-পেপার আসার পরে তেমন একটা ছাপা কাগজ পড়া হয় না। তাই সংবাদ পড়ার জন্য আমাকে নিয়মিত নিউজ পোর্টাল ভিজিট করতে হয়। দেশের শত শত নিউজ পোর্টালের ভিড়ে আমি প্রতিদিন নিয়ম করে ঢাকাপ্রকাশ পড়ি। আমার অফিসের কম্পিউটারে ও আমার মোবাইলে ঢাকাপ্রকাশের ওয়েব সাইট বুকমার্ক করা আছে। বুকমার্ক করার কারণে যখনই সংবাদ পড়তে ইচ্ছে করে তখনই আমি ঢাকাপ্রকাশের ওয়েবসাইটে খুব সহজেই ঢু মারতে পারি।
বর্তমানে দেশের মধ্যে অনেকগুলো ছাপা কাগজ ও ওয়েবসাইট রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে শত শত নিউজ পোর্টালের ভিড়ে ঢাকাপ্রকাশের ওয়েবসাইটে কেন ঢু মারি? এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব, আমি যেই ধরনের সংবাদ পছন্দ করি তার সবটুকু আমি পাই ঢাকাপ্রকাশে। আমি ঢাকাপ্রকাশের প্রতি আগ্রহী হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে ৪ পাতার ই-পেপার। ৪ পাতার ই-পেপার থেকে আমি ছাপা কাগজ পড়ার স্বাদ গ্রহণ করতে পারি। অন্য কোনো নিউজ পোর্টালে এই ধরনের সিস্টেম নেই যা আছে একমাত্র ঢাকাপ্রকাশের নিউজ পোর্টালে। এটি আমি মনে করি বাংলাদেশের নিউজ পোর্টালের জন্য নতুন সংযোজন। এ ছাড়া ঢাকাপ্রকাশের নিউজ পোর্টালের সাজসজ্জা ও পরিবেশনা আমাকে মুগ্ধ করে। ঢাকাপ্রকাশের বিভিন্ন বিভাগ আমার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য, মোটিভেশন, বিশেষ নিবন্ধ, হৃদয়ের জানালা বিভাগগুলোতে প্রকাশিত লেখাগুলো আমার খুব ভালো লাগে।
এখন মূল বিষয়ে আসি। ঢাকাপ্রকাশ সুসাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পেরেছে? আমি বলব, সুসাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ঢাকাপ্রকাশ অনেকটুকু ভূমিকা রাখতে পেরেছে। এডিটর'স টকের মাধ্যমে আমরা বেশ কিছু এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার পেয়েছি। সেইসব সাক্ষাৎকারের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যাগুলো উঠে এসেছে। যা নিঃসন্দেহে সুসাংবাদিকতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পেরেছে বলে আমি মনে করি। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রতিবেদনগুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে প্রকাশিত ‘পকেট কাটছে ইউনিলিভার, ভোক্তা অধিদপ্তরে তলব’। এমন সংবাদ পরিবেশন করার জন্য ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষ ঢাকাপ্রকাশের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছিল। আমি মনে করি এটি একটি সুসাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অন্যতম উদাহরণ।
সবমিলিয়ে বলব ঢাকাপ্রকাশ সুসাংবাদিকতার লক্ষ্যে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সামনের দিনগুলোতে ঢাকাপ্রকাশ থেকে আরও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আশা করছি। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের জীবন মান নিয়ে নতুন নতুন প্রতিবেদন আশা করছি। আর সাহিত্য বিভাগে বিদেশে জনপ্রিয় সাহিত্যিকদের গল্পগুলো অনুবাদ করে প্রকাশ করার অনুরোধ করছি। সর্বশেষে ঢাকাপ্রকাশের সামনের দিনগুলো আরও উজ্জ্বল হোক এই কামনা করছি।
লেখক: মোহাম্মদ সেলিম, সদরঘাট, চট্টগ্রাম
আরএ/