প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা এবং পরামর্শ
প্রথমেই শুভেচ্ছা জানাই ঢাকাপ্রকাশ-কে পথচলার এক বছর পূর্ণ হওয়ায়। ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকাপ্রকাশ আমাদের মাঝে এসেছে ‘সততাই শক্তি সুসাংবাদিকতায় মুক্তি’র নতুন বার্তা নিয়ে। সকল তথ্য আমাদের কাছে মুহূর্তেই যথাযথ শিরোনামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ প্রকাশ করছি ‘ঢাকাপ্রকাশ’-এর সম্পাদকসহ উক্ত প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
বর্তমানে যেভাবে অনলাইনে পোর্টালগুলো বিভিন্ন রংচং মাখিয়ে শিরোনাম দিয়ে খবর প্রকাশ করে সেদিক থেকে ঢাকাপ্রকাশ সবসময় নিজেকে আলাদা স্থান করে নিয়েছে। সঠিক এবং শুদ্ধ শিরোনাম দিয়ে মন জয় করেছে পাঠক সমাজের। একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে আমি মনে করি গত এক বছরে সংবাদ পাঠকদের কাছে আস্থা এবং বিশ্বাসের একটা যায়গা তৈরি করতে পেরেছে জনপ্রিয় এই অনলাইন পোর্টাল। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো ওয়েবসাইটের কাঠামো। যেখানে প্রতিটা বিষয় আলাদাভাবে বিভক্ত করে রাখা হয়েছে। যাতে একজন পাঠক খুব সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো খুঁজে পায়।
একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে সবসময়ই বিভিন্ন অপশন চেক করার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে নিজেকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ হয়েছে জনপ্রিয় এই পোর্টালের কল্যাণে।
বর্তমান সময়ে স্টুডিওতে যে লাইভ করা হচ্ছে পাঠক এবং শ্রোতা সমাজের নিকট এর প্রভাব খুব আলোড়ন সৃষ্টি করবে আমার বিশ্বাস। কেন না সাধারণ জনগণ এখন সঠিক, শুদ্ধ এবং ফলপ্রসূ আলোচনা শুনতে এবং দেখতে পছন্দ করে।
সেদিক থেকে এমন ভাবনা এবং সূচনা নিঃসন্দেহে এগিয়ে নেবে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় এই অনলাইন পোর্টালকে।
আগামীর দিনগুলোতে ঢাকাপ্রকাশ এভাবেই সত্য এবং নির্ভরযোগ্য তথ্যগুলো অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে পত্রিকা আকারে প্রকাশিত করুক। ঢাকাপ্রকাশ ছড়িয়ে যাক গ্রাম থেকে গ্রামান্তর এটাই কামনা করছি। সর্বোপরি ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবারও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা জানাই।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই শুভ ক্ষণে একজন পাঠক হিসেবে আমি কিছু পরামর্শ দিতে চাই:
১. ক্যাম্পাস প্রতিনিধিদের আরও সক্রিয় করে গড়ে তোলা। কেন না ক্যাম্পাস ভিত্তিক খবর ওয়েবসাইট খুব কম।
২. বিভিন্ন বিষয়ে স্টুডিওতে নিয়মিত টকশোর আয়োজন করা। তরুণদের মাঝেমধ্যে সুযোগ দেওয়া।
৩. বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জনমানুষের মতামত তুলে ধরতে নিয়মিত বিভিন্ন প্রতিনিধি দিয়ে খবর সংগ্রহ করা।
৪. বিভিন্ন আলোচিত ইস্যু নিয়ে টকশোতে আলোচনা করা।
৫. জনপ্রিয় লেখক, গায়ক, কবিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরা এবং একান্ত সাক্ষাৎকার নেওয়া।
৫. আলাদা ইংরেজি পোর্টাল খোলা। কেন না একসঙ্গে বা এক ওয়েবসাইট বাংলা এবং ইংরেজি থাকলে দৃষ্টিকটু লাগে।
৬. যেহেতু দিনদিন মানুষ অনলাইনে আসছে তাই সংবাদ উপস্থাপন করার চিন্তাভাবনা মাথায় নেওয়া।
৭. তরুণদের উদ্বুদ্ধ করা, প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ দেওয়া।
৮. অনভিজ্ঞদের সুযোগ প্রদান করে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং তাদেরকে মানবসম্পদে রূপান্তর করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া
৯. প্রত্যান্ত অঞ্চল এবং স্কুল কলেজে বিভিন্ন সভা সেমিনারের আয়োজন করা এবং নিজেদের চিন্তাভাবনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র না করে আশেপাশের কলেজ গুলোতে বিভিন্ন সেমিনার করা।
১০. সাম্প্রতিক লাইভ গুলো ছোট ছোট না করে পূর্ণাঙ্গরূপে সম্পূর্ণ করা এবং যথেষ্ট সাউন্ড এবং ভিডিও ক্লিয়ার করে করা।
১১. বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থেকে নিজেদের তুলে ধরা।
ধন্যবাদ।
লেখক: কলামিস্ট, জাতীয় দৈনিক এবং শিক্ষার্থী: ঢাকা কলেজ, ঢাকা