সততা ও সুসাংবাদিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকাপ্রকাশ
প্রযুক্তি বিজ্ঞানের একটি আশীর্বাদ। আমাদের জীবন প্রযুক্তিময়। এর সাহায্য ছাড়া আমাদের জীবন অচল। ফলে পৃথিবী এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে মানুষের তৈরি সমাজ ব্যবস্থা। তারই ধারাবাহিকতায় বিবর্তনের মধ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন তত্ত্ব কিংবা আবিষ্কার। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে গেছে সংবাদমাধ্যমও। শুধু ছাপা কাগজের সংবাদের অপেক্ষায় পাঠক আর বসে থাকে না। ঘটনা ঘটার কিছু মুহূর্তেই অনলাইন পোর্টালের কারণে পাঠক সবার আগে জানতে পারে ঘটনার সঠিক তথ্য।
সংবাদ জানতে পাঠক এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উপর বেশি নির্ভরশীল। তবে আঁধার তাড়াতে আলোর প্রয়োজন। এই বাক্যটি যেমন চিরন্তন সত্য কথা ঠিক তেমনি সংবাদ প্রকাশে চাই সঠিক তথ্য। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে অনলাইন সংবাদমাধ্যম কি সত্য ও বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ প্রকাশ করতে পারে? আর সংবাদমাধ্যম দেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? প্রশ্ন গুলোর উত্তর করতে হলে গভীরভাবে বিশ্লেষণ আর অনুসন্ধান প্রয়োজন তবে মোটা দাগে কিছু কথা বললে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব।
একটি দেশ গণতান্ত্রিকভাবে কতটুকু শক্তিশালী, সেটি পরিমাপে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশক মধ্যে অন্যতম নির্দেশক হলো সংবাদমাধ্যম। ফলে যে দেশের সংবাদমাধ্যম যত স্বাধীন ও সার্বভৌম, সে দেশের গণতন্ত্র তত শক্তিশালী। তাই তো সংবাদমাধ্যমকে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে সংবাদপত্র সার্বভৌম ক্ষমতা ভোগ করে থাকে। আর সংবাদপত্রের মূল কাজ হলো সত্য সংবাদ প্রকাশ করা।
কিন্তু অনলাইন পোর্টালগুলোতে তথ্যের সঙ্গে অপতথ্য, ভুয়াতথ্য দেখা যায় অহরহ। যা সাংবাদিকতার আদর্শের পরিপন্থি। তবে সব পোর্টাল আবার একই রকম নয় কেউ না কেউ সাংবাদিকতার আদর্শের ঝান্ডার ধরে রাখেন। ঠিক তেমনি অনলাইন পোর্টাল গুলোর মধ্যে ঢাকা প্রকাশ সব সময় সত্য ও তথ্য সমৃদ্ধ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে পাঠকের মাঝে আস্থা তৈরী করেছে। এ ছাড়াও এক্সক্লুসিভ সংবাদ, দুর্নীতি, অপরাধের বিষয়ে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে চলেছে পত্রিকাটি।
বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ প্রকাশের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই পাঠকদের নিয়ে ১ বছর পদার্পণ করেছে ঢাকা প্রকাশ। বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্য দিয়ে ঢাকাপ্রকাশ পাঠক মহলে একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।
‘সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি‘ এই স্লোগানকে ধারণ করে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামালের সম্পাদনায় ‘ঢাকাপ্রকাশ২৪.কম’ এর যাত্রা শুরু করে ১ ডিসেম্বর ২০২১ সালে। স্লোগানের সঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-এর নিত্য দিনের প্রকাশিত সংবাদ যেন পরিপূর্ণ। তাই ঢাকাপ্রকাশ-এর ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্পাদক, প্রকাশকসহ ঢাকাপ্রকাশ-এর পরিবারের সব কর্মীদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাই।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ঢাকাপ্রকাশ প্রতিদিন সাধারণ মানুষের তথ্য চাহিদা পূরণে যে ভূমিকা রেখেছে তা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব দেশের সংবাদ এবং সংবাদের বিশ্লেষণ ঢাকাপ্রকাশ-এর দেখতে পাই। বিশেষ ভাবে এ পত্রিকার সম্পাদকীয় ও অন্যান্য নিবন্ধে দেশ-বিদেশের সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হয়। পাঠক হিসাবে প্রত্যাশা থাকবে অসাম্প্রদায়িক দেশ প্রেমের আচ্ছাদনে ঢাকাপ্রকাশ পাঠক নন্দিত অগ্রগণ্য নান্দনিকতায় পরিপুষ্ট হোক।
মার্কিন কথাসাহিত্যিক মার্ক টোয়েন বলেছিলেন, প্রতিদিন দুটো করে সূর্য ওঠে। একটি প্রভাত সূর্য এবং অপরটি সংবাদপত্র সূর্য। প্রভাত সূর্যের চিরন্তন আলোয় সমগ্র জগৎ উদ্ভাসিত হয়। তেমনি ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রতিদিনের সংবাদ বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরে দৈনন্দিন ঘটনাবলিকে জানতে পারি। ঢাকাপ্রকাশ দ্বিতীয় সূর্যের মত আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে সারা বিশ্বে।
রুচিশীল কৃষ্টি, ঐতিহ্য, চারুশিল্প, চলচ্চিত্র ও বিনোদন প্রকাশের দৃষ্টিভঙ্গি আরও ব্যাপক পরিসরে বিস্তৃতি করতে হবে। শিক্ষা-সংস্কৃতি-সাহিত্য, নৃত্য, বিতর্ক, গান, আবৃত্তির জায়গায় তৈরি করতে হবে। গবেষণা, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ইত্যকার বিষয়গুলোকে গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করতে হবে। ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, অঞ্চল, গোত্র নির্বিশেষে পরিবেশনায় ঢাকাপ্রকাশ হোক গণমানুষের প্রধান সংবাদমাধ্যম।
লেখক: সংবাদকর্মী ও কলাম লেখক, জয়পুরহাট জেলা