একটি কবিতার জন্য
অনেক দিন কিছুই লেখা হয় না
একটি কবিতার জন্য আমার আজম্ম সাধনা
কবিতা কবিতা করে
নিদ্রাহীন রাত পার হয়ে যায়
অথচ আমি মাত্র একটি কবিতাই লিখতে চেয়েছিলাম।
কবিতাটি হবে
দূর সমুদ্রের লঘু চাপের মত
যা ক্রমে ক্রমে নিম্মচাপে রূপান্তরিত হবে
তৈরি করবে সর্বোচ্চ মাত্রার হারিকেন
সুনামিতে ভাসাবে সকল আর্বজনা
কবিতাটি
সকল বীর্যহীনদের দেবে পুরুষ্ঠ বীর্য
বন্ধানারীকে দেবে ফলবান ডিম্বানু
কবিতাটির ঔরষে জন্ম নেবে মহাবীর অর্জুন
কবিতাটি হবে দ্বোফলা শমসের
তীক্ষ্ণ ধারে কাটবে আগাছা ।
কবিতাটি সক্রেটিসের কাছ থেকে ধার নেবে জ্ঞান
মরিয়মের পুত্র থেকে নেবে ক্ষমা
বোধি বৃক্ষের কাছ থেকে নেবে ধৈর্য
কবিতাটি হেরা গুহা ঘুরে, হবে প্রশান্ত
অতঃপর
কবিতাটি ইয়েমেনে গিয়ে থামাবে দুর্ভিক্ষ
অপুষ্ট শিশুকে দেবে পুষ্টিকর স্তন।
কবিতাটি
সিরিয়ার বালুতটে গিয়ে
আইনালকে জাগাবে
আদুরে স্বরে বলবে-
উঠ সোনা আর কত ঘুমাবি
তোর স্কুলে যাবার সময় হয়েছে
কবিতাটি
তেল আবিবের আইরন ডোম ভেঙে
ইস্পাতের নল দিয়ে ঝরাবে ঝর্ণা ধারা
কাঁটাতারের বেড়া হবে বসরার গোলাপ
হুইল চেয়ারে বসা পাথর ছোড়া যুবককে
উপহার দেবে মাছ ধরার ছিপ।
কবিতাটি
দজলা ফোরাতের মিষ্টি পানি পান করে
তর্জনী উঁচিয়ে থামাবে ক্ষেপণাস্ত্র
দীপ্ত কন্ঠে বলবে
এটাই সভ্যতার সূতিকাগার
শোনাবে হাজার রাত্রির কাহিনী।
কবিতাটি
আরবে আবার আবৃত্তি করবে ‘ইমরুল কায়েস’
ফু দিয়ে নেভাবে লিবিয়ার প্রজ্জ্বলিত গ্যাসের খনি
কবিতাটি
যখন কাবুলে আসবে
পাঠানের দোস্তি আর বীরত্বের গল্পে
ও মুগ্ধ হবে।
ভূ-স্বর্গ কাশ্মীরে জাদু দণ্ড ছুঁয়ে বলবে
জলপাই রঙ এবার হোক নীল আসমানী
কবিতাটি জিউসের বজ্র কেড়ে নেবে
জিব্রাইলের ডানা মেলে
ইস্রাফিলের হুংকারে ঘোষণা করবে
থামো সবাই
আজ থেকে সকল যুদ্ধের সমাপ্তি হলো ।।