শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পুনর্মিলনীতে শিক্ষকদের সান্নিধ্য

 

সকাল সোয়া ৮টায় শামসুল আলম স্যারের ইংরেজির ক্লাসের কথা মনে পড়ে গেল। স্যার পড়াচ্ছেন ‘দি লাঞ্চন’; সঙ্গে থাকত প্রচুর রেফারেন্স। আবার, জিম-ডেলার গল্প; কখনো মনে পড়ে মহাবীর ইউলিসিস কবিতার কথা। এ স্মৃতি সব আজ অতীত! তবুও ভোলার নয়, এখনও জ্বল জ্বল করে।

আমি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র, ২০০১ সালে বাণিজ্য বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করি। দীর্ঘ একুশ বছর পরে ১১ জুলাই বন্ধুদের সঙ্গে মিলনমেলায় মিলিত হয়েছি। করোনার বাস্তবতায় জুমে বন্ধুদের সঙ্গে মিটিং করে অনুষ্ঠানের দিনে সবার সঙ্গে দেখা হলো। এ এক অজানা প্রশান্তি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা ছাত্রদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শহীদ হন। তাঁর স্মৃতির স্মরণে তৎকালীন নাটোরের গুরুদাসপুর থানা সদরে অবস্থিত কলেজটির নামকরণ করা হয়। কলেজের ২০০১ সালের এইচএসসি ব্যাচ 'সংশপ্তক জোহা-২০০১' নামে পরিচিতি লাভ করেছে।

সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতেই দেখলাম বন্ধুরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তারা বিভিন্ন চায়ের দোকানে চা-চক্রে মেতেছে। আমিও তাদের সঙ্গে যুক্ত হলাম। কিন্তু, বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না আমার আড্ডা! উঠতেই হলো।

অবশ্য আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা আমাদের আগেই কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শুকুর আলীর চায়ের দোকানে চা পান করছেন। স্যারদের চা খাওয়ার পরে তাদের নিয়ে হল রুমে প্রবেশ করলাম। শিক্ষকমল্ডলীরাও আমাদের সঙ্গে আমাদের গেঞ্জি পরে নিলেন। যেন
আমরা সবাই এক মন, এক প্রাণ।

অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ছাত্র ও শিক্ষকমণ্ডলীর স্মৃতিচারণের পালা। শিক্ষকমণ্ডলী মঞ্চে আসন গ্রহণের পরে প্রথমেই আমাদের বন্ধুরা তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তারপর তাদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে বন্ধু রিপন আর গীতা থেকে পাঠ করে তাপস কুমার। আমাদের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন বন্ধু রাজীব ও ফজলুল হক। আর, সমাপনী বক্তব্য রাখে সজল মাহমুদ।

বন্ধুদের স্মৃতিচারণের পরে শুরু হয় শিক্ষকদের স্মৃতিচারণ পর্ব। প্রথমেই স্মৃতিচারণ করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মো. শামসুল আলম স্যার। তার নাতিদীর্ঘ বক্তব্য থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বেশ কিছু বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অধ্যাপক মো. শামসুল আলম স্যার তার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। মুক্তিযোদ্ধা এ শিক্ষক তরুণ প্রজন্মের প্রতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠের আহ্বান জানান।

আমি ও আমার বন্ধু ফেরদৌসি আক্তার কনার সঞ্চালনায় সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণমূলক আরও বক্তব্য রাখেন অবসরে যাওয়া শিক্ষক অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম, অধ্যাপক মো. শাহাদাৎ হোসেন, অধ্যাপক আব্দুস সালাম মণ্ডল, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক আবু ইউনুস, অধ্যাপক মামুনুর রহমান, অধ্যাপক মো. আব্দুর রশীদ প্রমুখ। আরও কয়েকজন প্রিয় শিক্ষক আমাদের আয়োজনে আসতে পারেননি।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকমণ্ডলীর সংবর্ধনার এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় ও প্রেরণাদায়ক। পাশাপাশি আগামী নতুন প্রজন্মের জন্য এটি একটি মহতি ও শিক্ষণীয় বার্তা বলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা মনে করেন। গুরুদাসপুরের মতো চলনবিলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ শিক্ষার মানোন্নয়নে তথা শিক্ষকের মান রক্ষায় যে কার্যক্রম নিয়েছে তা অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের জন্য সত্যিই অনুকরণীয় একটা বিষয় বলে বক্তারা মনে করেন।

তারা আরও বলেন যে, সংশপ্তক জোহা-২০০১ এর ভূমিকা দেখে আমাদের অবাক লেগেছে। কারণ, তারা দীর্ঘ সময় পার করলে শিক্ষা গুরুদের মনে রেখেছেন এবং তাদের মনেপ্রাণে সম্মান দেখিয়েছেন। আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে এসে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিক্ষার মানোন্নয়নে ঘটিয়ে উপযোগী মানবসম্পদ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে এটাই প্রত্যাশা করি।

শিক্ষকরা মনে করেন, বিগত কয়েক বছর ধরে দেশে শিক্ষকদের নিগ্রহের হার বেড়েই চলছে। কয়েক মাসের ঘটনা পর্যালোচনা করলেই বোঝা যায়। প্রতিকূল সময়ে সংশপ্তক জোহা-২০০১ কতৃর্ক শিক্ষকদের সম্মানিত করা অবশ্যই ইতিবাচক।

শিক্ষকমণ্ডলীর সঙ্গে স্মৃতিচারণে অংশ নিয়ে ছাত্ররাও নস্টালজিক হয়ে ওঠে। সে এক অনিন্দ্য অনুভূতি। স্মৃতিচারণের পরে ছোট পরিসরে কেক কেটে, কলেজ কর্তৃপক্ষকে ব্যাচের পক্ষে ঘড়ি উপহার দিয়ে, শোভাযাত্রা শেষ করে মধ্যাহ্ন ভোজ হয়। বন্ধুদের অংশগ্রহণে র‍্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। অতপর, চলনবিলের হরদমা, বিলসা, কুন্দইল, ধামাইচ গ্রামগুলোতে নৌকাভ্রমণ দিয়ে আমাদের পুনর্মিলনীর যাত্রা শেষ হয়।

একুশ বছর পরে বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হবার পরে যে অভিব্যক্তি, যে অনুভূতি তা প্রকাশ করা যাবে না। বার বার শুধু মনে হলো আরও সময় যদি পেতাম বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করার! কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হয়েছিলাম। আর, বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে এখন কর্মজীবী হয়েছি। সেই সময়গুলো শিক্ষকদের প্রকৃত শিক্ষা, দোয়া আর বন্ধুদের ভালোবাসা ছিল। তা আজও ভোলার নয়।

লেখক: ব্যাংকার ও কবি।
fattahtanvir@gmail.com

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র তিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় পর্দা উঠবে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের। বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে উইন্ডিজ ক্রিকেট আয়োজন করছে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ, আর এই টুর্নামেন্টের জন্য তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছে স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই টাইগার পেসার।

এর আগে বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন সাকিব। এরপর গায়ানায় সাকিবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় ফ্যাঞ্চাইজিটি। নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে গ্লোবাল সুপার লিগ কতৃপক্ষ।

চোটের কারণে এই আসরে সাকিবের খেলা নিয়ে এতদিন অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন সাকিব। কিন্তু গত সোমবার ফিটনেস টেস্ট দিয়ে সেই অনিশ্চিয়তা দূর করেছেন তিনি। যার ফলে বিসিবির কাছ থেকে এই লিগে খেলার অনুমতি পান সাকিব।

রংপুর রাইডার্স ও গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সসহ টুর্নামেন্টটিতে অংশ নেবে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্স, ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলা ভিক্টোরিয়ান ক্রিকেট দল।

টুর্নামেন্টটির প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে। পাঁচ দলের মধ্য থেকে চার দল যাবে সেমিফাইনালে। এরপর আগামী ৭ ডিসেম্বর হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ