নিখোঁজের ৫৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা অন্তর

কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাবিষয়ক সহসম্পাদক রবিউল আউয়াল অন্তর। ছবি: সংগৃহীত
নিখোঁজের ৫৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাবিষয়ক সহসম্পাদক রবিউল আউয়াল অন্তর (৩০)। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর সোয়া ছয়টায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার আশরাফাবাদ থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
অন্তর গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। উদ্ধার করার পর তাকে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, "অন্তরকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় তার এক বন্ধুর বাড়ি থেকে কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশের সহায়তায় কলাপাড়া থানা-পুলিশ উদ্ধার করেছে। বিকেলে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।"
রবিউল আউয়াল অন্তর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া পৌর শহরের শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কের কলাপাড়া প্রেসক্লাব মার্কেটে তার একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তিনি মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
কলাপাড়া থানা-পুলিশ পরে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কলাপাড়া-পটুয়াখালী সড়কের রজপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করে। মোটরসাইকেলের কিছু দূরে তার হেলমেটও পাওয়া যায়।
অন্তর নিখোঁজ হওয়ার পর তার বড় ভাই তুষার আল মামুন পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ছয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা করেন।
অন্তরের বাবা মো. সোলায়মান মৃধা জানান, তার ছেলে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণ ও চাকরিসহ আট দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। তিনি বলেন, "ছেলের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আমরা পরিবারে আতঙ্কে ছিলাম। তাকে ফিরে পাওয়ায় সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।"
