বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ | ২৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে: রাশেদ খাঁন

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদ আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন জানিয়েছেন, জনগণ এখন তরুণ নেতৃত্ব চায়, এবং গণঅধিকার পরিষদ সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর পুরোনো পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রবাসী অধিকার পরিষদের আয়োজনে এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন রাশেদ খাঁন। এই মানববন্ধনে লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও যুদ্ধে বিপর্যস্ত বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের মাঝে জরুরি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।

রাশেদ খাঁন বলেন, "আগামী নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। জনগণ তরুণ নেতৃত্ব চায়। আমরা চাই জাতীয় সংসদে কমপক্ষে ১৫০ জন তরুণ সাংসদ থাকুক। তরুণরা শুধু আন্দোলন করবে আর অন্যরা সুযোগ নেবে, তা হতে পারে না। তরুণরাই দেশের নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবে।"

তিনি আরও বলেন, জনগণ এখন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ চায়। "যতক্ষণ না গণহত্যার বিচার হচ্ছে, তারা কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তিনটি জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত তাদের নিষিদ্ধ থাকতে হবে। এরপর তারা যদি রাজনীতি করতে চায়, তা নতুন নামে এবং গণহত্যার বিচারের পরই করতে হবে। তবে কোনোভাবেই গণহত্যার সাথে জড়িতরা রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে না," বলেন রাশেদ খাঁন।

মানববন্ধনে প্রবাসীদের বিষয়ে তিনি বলেন, "লেবাননে ইসরায়েলের দ্বারা বিপর্যস্ত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এছাড়াও প্রবাসীদের ভোটাধিকার দিতে হবে, কারণ তারা দেশের সম্পদ। প্রবাসীদের মরদেহ সরকারিভাবে ফিরিয়ে আনাসহ জনশক্তি রপ্তানিতে দালাল ও এজেন্সিগুলোর দৌরাত্ম বন্ধ করতে হবে। এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের হয়রানি করা যাবে না, বরং তাদের সম্মানের সাথে স্যালুট দেওয়া উচিত।"

রাশেদ খাঁন আরও বলেন, "গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স শাট ডাউন না করলে বর্তমান সরকার টিকে থাকতে পারত না। আমি ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি ৫৭ জন বাংলাদেশি প্রবাসীকে মধ্যপ্রাচ্যে আটক থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি বাংলাদেশিদের জন্য আল্লাহর রহমত। তবে কিছু আওয়ামী লীগপন্থী তার পাশে ঢুকে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।"

 

Header Ad

ভারতে বসে শেখ হাসিনার অপতৎপরতার প্রসঙ্গে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার (ইনসটে: সাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ভারতের সঙ্গে দেশটির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অন্যান্য আঞ্চলিক ইস্যুর মধ্যে বাংলাদেশ নিয়েও আলোচনা হয়ে থাকে বলেও নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি। ব্রিফিংয়ে ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনার অপতৎপরতার’ প্রসঙ্গ টেনেও তাকে প্রশ্ন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ম্যাথু মিলারে কাছে জানতে চান—‘গণহত্যা ও নৃশংসতার পর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছিলেন এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে দেশের চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনা করে বাইডেন প্রশাসন কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চাইছে, সে বিষয়ে আপনাদের পর্যবেক্ষণ কী?’

জবাবে মিলার বলেন, এসব প্রশ্নে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং এই সব বিষয়ে অগ্রগতির জন্য আলোচনা অব্যাহত রাখতে আমরা উন্মুখ।

এরপরই এই সাংবাদিক ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন’— এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চান। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জংশঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই ভবনে এসেছিলেন। বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন এবং সেখান থেকেই দেশটিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে—ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কোনও আলোচনা হয়েছিল কি-না।’

জবাবে মিলার বলেন, আমি আপনাকে এতটুকুই বলতে পারি—ভারতের সঙ্গে আমাদের বৈঠকে বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক সমস্যাগুলো প্রায়ই উঠে আসে। এর বাইরে এই ইস্যুতে সুনির্দিষ্টভাবে বলার মতো কোনও তথ্য আমার কাছে নেই।

Header Ad

দর্শনা কেরু চিনিকলে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুর, থানায় মামলা

দর্শনা কেরু চিনিকলে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুর। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানি (কেরু চিনিকল) এর টেন্ডার বাক্স ছিনতাই করে ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় অজ্ঞাত ২০/২৫ জন উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে কেরু কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে দর্শনা থানায় এ মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর জানান, কেরু চিনিকলের টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুরের ঘটনায় কেরু ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা দায়েরের জন্য একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত ৯ পৌনে ৯ টায় দর্শনা থানায় অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। যার নং- ০৬, তাং-০৮-১০-২৪ইং ধারা-১৪৩, ৪৪৮, ৩৭৯ ও ৪২৭।

সোমবার (৭ অক্টোবর) কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ২০২৪- ২০২৫ মাড়াই মৌসুম চালুর লক্ষ্যে ৯ টি খামার ও ডোঙ্গার  (কেইন কেরিয়ার) এর ঠিকাদারির টেন্ডার ড্রপের দিন ছিল। সকাল থেকেই সকল প্রকার সহিংসতা এড়াতে কেরু কর্তৃপক্ষ দর্শনা থানা পুলিশের একটি দল কেরু জেনারেল অফিসের নিচে উপস্থিত রেখেছিল। তারপরও টেন্ডার বাক্স খোলার পর বিএনপি ও যুবদলের নামধারী ২৫/৩০ জন দুর্বৃত্তরা মিলে কেরু জেনারেল অফিসের ৩য় তলায় উঠে টেন্ডার বাক্স নিচে নামিয়ে ভাঙচুর করে।

Header Ad

এনআইডির তথ্য ফাঁস: জয়-পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সজীব ওয়াজেদ জয় এবং জুনায়েদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর কাফরুল থানায় সংক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি সাইবার নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে জনগণের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিক্রি করেছেন।

জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসার অনুমতি দেন অভিযুক্তরা। যে তথ্য দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়। তৃতীয়পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। তথ্য বিক্রির প্রায় বিশ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও আনা হয় মামলায়।

এদিকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে একাধিক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। একের পর এক মামলায় রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) আলাদা আলাদা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে ২৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে বসে শেখ হাসিনার অপতৎপরতার প্রসঙ্গে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
দর্শনা কেরু চিনিকলে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুর, থানায় মামলা
এনআইডির তথ্য ফাঁস: জয়-পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কাবা শরিফের গিলাফ উপহার পেলেন ধর্ম উপদেষ্টা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত
ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু
হাইকোর্ট বিভাগে নতুন ২৩ বিচারপতি নিয়োগ
সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মহিবুর রহমান গ্রেপ্তার
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন অক্টোবরেই চালু হচ্ছে
আ. লীগের ‘নিরীহ’ নেতাকর্মীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়: রিজভী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন ড. শেখ আব্দুর রশিদ
গ্রেপ্তারের দুই দিন পরই মুক্ত সাবের হোসেন চৌধুরী
পনের বছরের ঝঞ্ঝাট একদিনে পরিষ্কার হবে না: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
টাঙ্গাইলে ডিমের বাজারে অস্থিরতা, খামারিসহ তিন আড়তদারকে জরিমানা
পদত্যাগ করলেন পিএসসির চেয়ারম্যানসহ ১৩ সদস্য
শেখ হাসিনা ভারতে, দুবাইয়ে যাওয়ার খবর গুজব: সজীব ওয়াজেদ জয়
অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাই: ফারুক
শাহজালালে প্রবাসীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার ও বিশ্রাম ব্যবস্থা