গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে: রাশেদ খাঁন
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। ছবি: সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদ আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন জানিয়েছেন, জনগণ এখন তরুণ নেতৃত্ব চায়, এবং গণঅধিকার পরিষদ সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর পুরোনো পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রবাসী অধিকার পরিষদের আয়োজনে এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন রাশেদ খাঁন। এই মানববন্ধনে লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও যুদ্ধে বিপর্যস্ত বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের মাঝে জরুরি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
রাশেদ খাঁন বলেন, "আগামী নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। জনগণ তরুণ নেতৃত্ব চায়। আমরা চাই জাতীয় সংসদে কমপক্ষে ১৫০ জন তরুণ সাংসদ থাকুক। তরুণরা শুধু আন্দোলন করবে আর অন্যরা সুযোগ নেবে, তা হতে পারে না। তরুণরাই দেশের নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবে।"
তিনি আরও বলেন, জনগণ এখন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ চায়। "যতক্ষণ না গণহত্যার বিচার হচ্ছে, তারা কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তিনটি জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত তাদের নিষিদ্ধ থাকতে হবে। এরপর তারা যদি রাজনীতি করতে চায়, তা নতুন নামে এবং গণহত্যার বিচারের পরই করতে হবে। তবে কোনোভাবেই গণহত্যার সাথে জড়িতরা রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে না," বলেন রাশেদ খাঁন।
মানববন্ধনে প্রবাসীদের বিষয়ে তিনি বলেন, "লেবাননে ইসরায়েলের দ্বারা বিপর্যস্ত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এছাড়াও প্রবাসীদের ভোটাধিকার দিতে হবে, কারণ তারা দেশের সম্পদ। প্রবাসীদের মরদেহ সরকারিভাবে ফিরিয়ে আনাসহ জনশক্তি রপ্তানিতে দালাল ও এজেন্সিগুলোর দৌরাত্ম বন্ধ করতে হবে। এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের হয়রানি করা যাবে না, বরং তাদের সম্মানের সাথে স্যালুট দেওয়া উচিত।"
রাশেদ খাঁন আরও বলেন, "গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স শাট ডাউন না করলে বর্তমান সরকার টিকে থাকতে পারত না। আমি ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি ৫৭ জন বাংলাদেশি প্রবাসীকে মধ্যপ্রাচ্যে আটক থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি বাংলাদেশিদের জন্য আল্লাহর রহমত। তবে কিছু আওয়ামী লীগপন্থী তার পাশে ঢুকে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।"