গণঅধিকার পরিষদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ
ছবি: সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পাতানো ও সংসদ অধিবেশনকে অবৈধ ঘোষণা করে গণঅধিকার পরিষদ রাজধানীর পল্টন থেকে সংসদ ভবন অভিমুখে মিছিল করার সময় লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনসহ অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে পুরানা পল্টনের আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে গণঅধিকার পরিষদের নেতকর্মীরা মিছিল নিয়ে বের হলে তাদেরকে বাঁধা দেয় পুলিশ।
এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বেশ কয়েক দফা ধস্তাধস্তি চলে। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে।
মিছিলে নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জের প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আপনারা যারা আজকে লাঠিচার্জের মধ্যেও সরকার বিরোধী মিছিলে অংশ নিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আপনাদেরকে অনুরোধ করব পরবর্তীতে মারমারি লাগলে আপনারা দর্শকের ভূমিকায় না থেকে আপনারাও পাল্টা হামলা করবেন।
নুর সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আমরা কৃষক যখন আলু চাষ করে তখন ন্যায্য মূল্য পাই না। ইন্ডিয়া থেকে যখন আলু আসে তখন আলুর দাম বেড়ে যায়। তাই বলতে চাই লুটেরাদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে। দর্শকের ভূমিকায় রাজনীতি করতে আসি নাই, হয় লাশ, না হয় ইতিহাস।
এই সময় তিনি আরও বলেন, পুলিশ আজকে বলে এখানে অনুষ্ঠান করেন, কাল বলে ওখানে। পুলিশ কি রাষ্ট্র চালাচ্ছে? আমি বলব আইজিপিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিক। আপনারা গণভবন ঘেরাও করে ক্ষমতা নিন। পুলিশ যদি রাষ্ট্র চালায় তাহলেও আমরা বুঝতে পারব তারা রাষ্টের একটা পার্ট তারা রাষ্ট্র চালাচ্ছে। এই ফ্যাসিস্ট বাকশালীরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।
এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জের সমালোচনা করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, আমরা মিছিল নিয়ে বের হওয়ার পরই পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেন। সেখানে আমি নিজেও আহত হয়েছি, আমার ঠোঁট কেটে গেছে। আমি পুলিশকে বলতে চাই, আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই, তাহলে কার নির্দেশে আপনারা আমাদের মিছিলে বাধা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যারা মিছিলে এসেছি তারা গ্রেপ্তারে ভয় পাই না। আমি আজকে আমার মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে বলে এসেছি হয়তো আমি গ্রেপ্তার হতে পারি। তবে আমরা কেউই এই গ্রেপ্তারে ভয় পাই না। আপনারা (পুলিশ) আমার ভাইদের উপর হামলা চালাবেন না।
রাশেদ আরও বলেন, গুলি করে ৬৯ এর আন্দোলন ঠেকানো যায়নি, স্বৈরাচার এর বিরুদ্ধেও গুলি করে আন্দোলন ঠেকানো যায়নি। তাই এইবার ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনও ঠেকানো যাবে না। আমরা রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করব।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সংগঠনটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক ও উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা কিবরিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নুসরাত কেয়াসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।