চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে আপিল শুনানি শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেতে তার আবেদন মঞ্জুর করে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। আপিল শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে নির্বাচন ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন মাহিয়া মাহি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী রকিব সরকার ও আইনজীবী। যদিও আপিল তথ্যে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া। আপিল নম্বর ১৭৯/২০২৩।
প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, আমার এলাকার জনগণ আমাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। আমি মনে করছি, রাজশাহী-১ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে, ইনশাআল্লাহ আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করব। আমি বরাবরাই যোদ্ধা, যুদ্ধ করেই জিতব আমি।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মাহি। তবে গত ৩ ডিসেম্বর (রোববার) যাচাই-বাছাইয়ের সময় এক শতাংশ ভোটারের ভুয়া স্বাক্ষর পাওয়ার অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
তবে এর আগে নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিতে কষ্ট পান বলে জানিয়েছিলেন তিনি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন মাহিয়া মাহি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্বতন্ত্র বললেই মনে কষ্ট লাগে। কারণ আমি মনেপ্রাণে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শকে লালন করি। প্রধানমন্ত্রীর নৌকাকে নিজের নৌকা মনে করি।
সেসময় তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, কোনো এলাকায় যেন কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত না হন। এ জায়গা থেকেই আমি রাজশাহীর তানোর-গোদাগাড়ী আসন থেকে নির্বাচন করতে চাই। কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের যে প্রার্থী আছেন তিনি অনেকটাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যেতে পারেন। তাই প্রথম থেকেো এখানে নির্বাচন করতে চাই।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এজন্য মনোনয়ন ফরম তুলেছিলেন রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জন্য। তবে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড তাকে বিবেচনায় নেয়নি। নির্বাচন কমিশনের আজকের রায়ের ফলে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে তার আর কোনো বাধা রইলো না।