‘আমরা রাষ্ট্র নতুন করে গঠন করতে চাই’
আমরা রাষ্ট্র নতুন করে গঠন করতে চান জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির আহ্বায়ক ফরহাদ মজহার।
তিনি বলেন, ‘যেখানে রাষ্ট্রই বেইনসাফি সেখানে পাঁচ বছর পর নির্বাচন করে দেশে দেশে ইনসাফ কায়েম হবে না, বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় এ ব্যবস্থায় ইনসাফ কায়েম হবে না।’
সোমবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির দারিদ্র ও ইনসাফ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। আগত বেশিরভাগই গার্মেন্টস শ্রমিক ও দিনমজুর।
ফরহাদ মজহার বলেন, আজকে সাংবাদিকদের মাছ-মাংসের স্বাধীনতা চাই -এ কথা লেখার স্বাধীনতা আছে? গণঅভ্যুত্থান হবেই-আমি বা শওকত নাও দেখে যেতে পারি।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সব আইন মানলে গণঅভ্যুত্থান হবে না, সেটা ৬০ দশকে আমরা দেখেছি, শেখ মুজিবুর রহমানও রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করে গণঅভ্যুত্থান করেছেন, আমরা উনার থেকেই গণঅভ্যুত্থান শিখেছি।’
আপনারা কি ইনসাফ চান কি চান না? সমস্বরে চিৎকার করে উপস্থিত লোকজন বলে 'চাই'।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, এই জালিম খুনি ভোট চোর সরকারের সঙ্গে আমরা নেই, যারা শেখ হাসিনা অধীনে নির্বাচন যাবে তারা দালাল, তাদেরকে আপনারা চিহ্নিত করবেন। এটা আমার দল গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের থেকে পরিষ্কার যে তারা এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।
তিনি বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে স্বপ্ন তারা বুনছেন তা বাস্তবায়ন হবে না।’
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরে দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত করা হয়। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আরোগ্য কামনায় দোয়া করা হয়।
জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির আহ্বায়ক ফরহাদ মজহারের সভাপতিত্বে সাংবাদিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রধানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইনসাফের সদস্য সচিব সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, জানিপপ চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, দিগন্ত মিডিয়ার চেয়ারম্যান শিব্বির মাহমুদ, সাংবাদিক আব্দুল আউয়াল ঠাকুর, ড. ফরহাত হোসেন খন্দকার, মাওলানা আশরাফুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এমএইচ/এমএমএ/