গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ কর্মসূচি ৪ ফেব্রুয়ারি
যুগপৎ আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
মান্না বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে আওয়ামী সন্ত্রাস দমন নিপীড়ন এর বিরুদ্ধে, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি, বিদ্যুৎ গ্যাস জ্বালানিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো এবং দশ দফা দাবি আদায়ে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে সমাবেশ-বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির দিনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির তীব্র সমালোচনা করে সভাপতির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান বলেন, সরকার সবসময় আছে। আমরা আন্দোলন করি ওরা পাহারা দেয়, আসল কথা হচ্ছে ওরা নিজেদের পাহারা দেয়। ওরা মনে করে জনগণ যদি শ্রীলঙ্কার মতো এই দেশে গণভবন-বঙ্গভবনে ঢুকে পড়ে।
জনগণ অধিকার আদায়ের লক্ষ্য থেকে উঠে আসছে। দিন দিন ওদের পাহারা দেওয়ার লোক পাবে না। তারা যদি মনে করে দেখি আমরা পারি কি না? তাহলে বলব আমরা পারি কি না তা দেখারও সুযোগ পাবে না তারা। কারণ চলতি বছরেই সরকারের পতন হবে। ধাক্কা নয় আমার মনে হয় এই সরকার এতটাই দুর্বল যে কাতুকুতু দিলেই পড়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত সরকার।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আন্দোলনের সুনামিতে আওয়ামী লীগ ও সরকার ভেসে যাবে। এই শীত তাদের শেষ শীত, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে যদি এগিয়ে না আসে তাহলে আগামী শীতের আগেই এই সরকার বিদায় নেবে।
গণ অধিকার পরিষদের সদস্য নুরুল হক নুর বলেছেন, ২০২৪ জানুয়ারি নির্বাচন হবে ভেবে সরকারকে সময় দেওয়া যাবে না। আজকে জনগণ জেগে উঠেছে। আমরা যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারের পতন ঘটাতে না পারি তাহলে রাজপথে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থেমে যাবে। জনগণ কখনো দাবি আদায়ে দীর্ঘ সময় রাজপথে থাকে না। সরকার পতনে এখনই প্রয়োজন টানা কর্মসূচি অব্যাহত রাখা। শিগগিরই আলোচনা সাপেক্ষে লং মার্চ রোড মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। জনগণের আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের ফাঁদে পা দেব না। এই সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা গুজব ছড়াচ্ছে। আমাদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। আমাদের মূল ফোকাস নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে নুরুল হক বলেন, আপনি বলেছেন ধাক্কা দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে না, আসলে আওয়ামী লীগ এতটাই ভীত হয়েছে যে তাদের কাঁপণ ধরেছে। বিদেশি সমর্থন নাই। সামান্য ধাক্কা দিলে হবে না বুলডোজার দিয়ে ধাক্কা দিতে হবে।
এমএইচ/এমএমএ/