কঠোর কর্মসূচি চায় জোট নেতারা
সরকার পতনে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে কঠোর কর্মসূচি চায় জোটের নেতারা।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে মতিঝিলের দিলখুশায় এনপিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের কাছে এই দাবি জানান ১১ দলীয় জোটের নেতারা।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির কাছে জোট নেতারা সব বিভাগীয় শহর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে লং মার্চ কর্মসূচির দাবি জানায়। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারির কথা বলা হয়। যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দল ও জোটের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।
এ ছাড়া চলো চলো ঢাকায় চলো, সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির দাবিও জানায় ১১ দলীয় জোটের নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপিসহ যেসব জোট বা দল আমরা আন্দোলনে রয়েছি সবাই মিলে আন্দোলনকে একটি আকাঙ্ক্ষার পর্যায়ে নিয়ে গেছি। মানুষ এখন একটি দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দাবি করে গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন তারা। আসলে তারা গণতন্ত্রের জবাই করেছে। এ কথা মনে করিয়ে দিলে তারা অসন্তুষ্ট হয়। ২৫ জানুয়ারি বাকশাল দিবস। এই দিনটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা বলি এই সরকার অগণতান্ত্রিক, এই সরকার অনির্বাচিত; এই কথাগুলো প্রমাণের চমৎকার তারিখ হলো ২৫ জানুয়ারি। আমাদের এই সুযোগটা কাজে লাগানোর দরকার।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাড. আজহারুল ইসলাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কজমার মন্ডল, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ (বিএমএল) এর সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিম খান এবং বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী।
এমএইচ/এসজি