১১ জানুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চের গণ-অবস্থান কর্মসূচি
সরকার বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে গণ-অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। আগামী ১১ জানুয়ারি ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ থেকে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
কর্মসূচি ঘোষণা ও সমাবেশ শেষে গণমিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পল্টনের দিকে রওনা করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা।
নিশি রাতের ভোট ডাকাতির চার বছর, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধ সমাবেশ ও গণমিছিল ব্যানারে গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি করেছে।
বাবলু বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিল শেষ হয়েছে। ১১ জানুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি হবে। সবাইকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ৩০ ডিসেম্বর কেউ ভোট দিতে পারেননি। গায়ের জোর ও রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে সারকার টিকে আছে।
জনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কলঙ্কজনক নির্বাচন আর হয় নাই। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করে মধ্যরাতে নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।
সাকি বলেন, সরকার একদিকে উন্নয়নের গণতন্ত্রের কথা বলে। অন্যদিকে খুন, গুম, হামলা মামলা গ্রেপ্তার করে বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে।
এ সময় নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে গণমিছিল বের করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মিছিলটি পুরানো পল্টন, বিজয়নগর হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
আরএ/