‘বিজয়ের চেতনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই’
বিজয়ের ৫১ বছরে অনেক সফলতা ও অগ্রগতির গৌরব অর্জিত হলেও দুর্নীতির ক্ষেত্রে অসন্তুষ্টির পরিমাণটা অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের চেতনা পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার। কিন্তু বাংলাদেশের বিজয়ের ৫১ বছরেও অঙ্গীকার আর প্রাপ্তির মধ্যে অর্জন ও দূরত্বটা রয়েই গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে দুই নেতা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার যে প্রচেষ্টা স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত হয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব থেকে শুরু করে বেশকিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মানসিকতা ও চর্চা বারবারই বাধা হয়েছে। আগামী বছর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তি উৎসবে মেতে ওঠার আগে এসব অপূর্ণতার অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
নেতারা বলেন, বিজয়ের ৫১বছর পরও প্রশ্ন জাগে- আমাদের সংবিধানে সন্নিবেশিত মৌলিক অধিকার ভোগ করতে না পারা নিয়ে। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালে এবং টেলিভিশনের খবর দেখলে দুর্নীতির পরিস্থিতি সম্পর্কে ইতিবাচক সংবাদের এত আকালের খবরতো অকারণে জায়গা পাওয়ার কথা নয়। এক্ষেত্রে সবার মনে রাখা উচিৎ, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরকার দুর্নীতি নির্মূলে কতটুকু আন্তরিক ও সচেষ্ট তার উপরই নির্ভর করে দেশে সত্যিকার অর্থে সু-শাসনের চিত্র কী।
তারা বলেন, যেখানে সু-শাসন, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, আইনের শাসন, বাক ও বিবেকের স্বাধীনতা নাই, বিরোধী দলের মর্যাদা নাই, সেখানকার মানুষ কোনোভাবেই সুখ, শান্তি বা নিরাপদে থাকতে পারে না। এই চিত্র পাল্টে দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অনেক অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারলে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এক বিশাল বিজয় হবে বলে জাতি বিশ্বাস করে।
এসএন