মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতারা প্রতারণা করেছে: ববি হাজ্জাজ
এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজাজ্জ বলেছেন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ উদ্দেশ্যহীন এবং মুক্তিকামী জনতার প্রত্যাশা পূরণে অসফল। তবে বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলন এবং দলটির সংগ্রামী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি আমাদের পূর্ণ সহানুভূতি আছে। আমরা তাঁর মুক্তি দাবি করছি। তবে আমরা মনে করি, বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ প্রতারণা করেছে। কারণ তাদের একাংশ কর্মী-সমর্থকদের রক্তের উপর দিয়ে সমাবেশের আগের রাতে অনুমতির নাটক সাজাতে ডিএমপির প্রধান কার্যালয়ে গিয়েছিলো।
বুধবার (১৪ই ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম কর্তৃক আয়োজিত এক গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ববি হাজ্জাজ।
তিনি আরও বলেন, '১৯৭১ সালে আমাদের মহান বিজয় অর্জনের আগ মুহুর্তে আজকের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। বর্তমান নিশিরাতের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের সরকার ঠিক একইভাবে বিরোধী মত এবং পথের মানুষদের গুম-খুন এবং নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। সংবিধান লঙ্ঘন করে মানুষের মোবাইল ফোনের গোপন বার্তা-ছবি পরীক্ষা করে দেখছে তারা সরকার বিরোধী কিনা। এই দানব শক্তিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হলে জনগণের ঐক্য লাগবে।'
ববি হাজ্জাজ প্রশ্ন তুলে বলেন, ১০ তারিখের গণসমাবেশ কি সরকার পতনের জন্য ছিলো নাকি শুধুই একটা গতানুগতিক রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিলো?” তিনি বলেন, আমরা উত্তর জানার এবং রাজপথে একসাথে নামার অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু আমরা হতাশ হয়েছি। জনগণের মধ্যে আবেদন সৃষ্টি করতে হলে এই সরকারের পতনের পর কোন ঘোষণাপত্রের আলোকে এবং কোন নেতৃত্বের অধীনে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে সেটার সুষ্পষ্ট উত্তর পেতে হবে। এটা ছাড়া যুগপৎ আন্দোলন কখনোই আলোর মুখ দেখবে না।
ববি হাজ্জাজ বলেন, পল্টনে নেতা-কর্মীদের অবস্থানের নির্দেশনা দিয়ে এবং কর্মী-সমর্থকদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করে বিএনপির নেতৃত্ব যখন ডিএমপির কাছে ১০ ডিসেম্বরের আগের রাতে অনুমতি চাইতে গেলো তখনই তাদের আন্দোলন উদ্দেশ্যহীন হয়ে পড়েছিলো। তারা যুগপৎ আন্দোলনের আহ্বান জানালেও জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট রুপরেখা উপস্থাপন করতে পারে নাই। মনে রাখতে হবে, গন্তব্যহীন আন্দোলনে সরকার পড়ে না। গণবিপ্লব ঘটিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সরকারকে বাধ্য করেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।
গণঅবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনডিএম এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হুমায়ুন পারভেজ খান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, এনডিএম এর যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা প্রমুখ।
এনএইচবি/এএস