‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে’
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে মিল কল-কারখানার যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে বাথরুমের ফিটিংস লুটপাট করে অসংখ্য ট্রাক ভর্তি করে ভারতে নেওয়ার পথে যশোর সীমান্তে আটকে দেওয়ার কারণে সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলকে গ্রেপ্তার করেছিল বাংলাদেশ সরকার।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) এম এ জলিলের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে লেবার পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগ্রাসনবিরোধী সংগ্রামে মেজর জলিল দেশপ্রেমিক, শক্তির প্রেরণার উৎস। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কারণে মেজর জলিলকে মুক্তিযুদ্ধের খেতাব থেকে বঞ্চিত ও স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম রাজবন্দী হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে।
ইরান বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে মুক্তিযুদ্ধ থেকে আজ পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশে তাবেদার সরকার প্রতিষ্ঠা করে শোষণ ও লুণ্ঠন করছে। জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে শেখ মুজিব ফারাক্কা, গঙ্গা, তালপট্টি, বেরুবাড়ি ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে ভারত পুতুল ও মুখ্যমন্ত্রীর মতো ব্যবহার করে দেশ ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা আজ বিপন্ন। তাই দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মেজর জলিলের মতো ভারতীয় সীমান্ত আগ্রাসন, রাজনৈতিক আগ্রাসন ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রুখে দিতে হবে। দেশে লাখ লাখ অবৈধ ভারতীয় নাগরিক চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। অবিলম্বে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে ভারতে ফেরত পাঠাতে হবে।
লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মো. জাকির হোসেন, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিফাত প্রমুখ।
সভায় মেজর জলিলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এমএইচ/এসজি