রিজার্ভের মানেই বোঝে না মন্ত্রিপরিষদ: এনডিএম
করোনাকালীন আমদানি ব্যয় কম থাকায় এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ অনেকাংশে স্থগিত থাকায় দেশের রিজার্ভ এবং দেনা দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছিল মন্তব্য করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এর যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেছেন, জিডিপি আর রিজার্ভের অঙ্ক দেখিয়ে দেশের মানুষের সামনে উন্নয়নের ফানুস উড়িয়ে ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদের কেউ রিজার্ভের মানেই বোঝে না।
তিনি বলেন, ‘ব্যালেন্স অব পেমেন্ট’, ‘ট্রেড ডেফিসিট’ এই ইংরেজি শব্দগুলোর অর্থ এবং ব্যাখ্যা না জেনে রিজার্ভ নিয়ে আন্দাজে গলাবাজি করা যায় না। রিজার্ভের অর্থের প্রকৃত তথ্য জানতে চাই আমরা। জাপান বা চীনের মতো উন্নয়ন প্রকল্পে রিজার্ভের অর্থ ব্যয় করার বিলাসিতা সরকার কোথায় পেল সেই কথা জানতে চায় জনগণ।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় ‘রিজার্ভের অর্থের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং শিল্পক্ষেত্রে নিয়মিত গ্যাস সাপ্লাই’ এর দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
গণআন্দোলনের মুখে সরকার পতনের আতঙ্কে এখন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন উল্লেখ করে মোমিনুল আমিন বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ না হলেও আমাদের অর্থনীতি সংকটে পড়ত। কারণ আমরা আমদানির তুলনায় রপ্তানি বাড়াতে পারি নাই, কার্যকর জ্বালানি নিরাপত্তা নীতি গ্রহণ করতে পারি নাই এবং অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করতে পারি নাই। নির্বাচন পর্যন্ত বর্তমান সরকার টিকে থাকতে পারবে কি না এই ভয় এখন তাদের পেয়ে বসেছে। এজন্যই জ্বালানি উপদেষ্টা এবং প্রতিমন্ত্রী দুইজনই অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বক্তব্য দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ভিয়েতনাম আর বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় কাছাকাছি। কিন্ত ডলারের বিপরীতে তাদের দেশের মুদ্রা শক্তিশালী হওয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র তিন-চারবার ভারতীয় রুপির অবমূল্যায়ন হয়েছে। আর আমরা এবছরই টাকার অবমূল্যায়ন করেছি সাতবার।
সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা বলেন, আমাদের দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ডলারের মূল্য বেঁধে দেবার নীতি থেকে সরে আসতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে আন্তঃব্যাংক ডলার দর কাজ করে নাই।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন এনডিএমের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন লিটন, জাবেদুর রহমান জনি, যুব আন্দোলনের সভাপতি আদনান সানি, সাধারণ সম্পাদক মো. মিঠু আলি, ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা জুয়েল প্রমুখ।
এমএইচ/এসজি