গাইবান্ধার উপনির্বাচন ইসির অসহায়ত্বের প্রমাণ: ন্যাপ
গাইবান্ধার উপনির্বাচন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অসহায়ত্বেরই প্রমাণ বহন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, নির্বাচন নিয়ে সীমাহীন অনিয়মের কারণে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইসি। অথচ রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন বন্ধ করার কথা থাকলেও তারা তা করেনি। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ডিসি-এসপিরা মানছে না। ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে কি আগামী নির্বাচন আদৌ সফল করতে পারবে বর্তমান কমিশন?
নেতারা বলেন, একটি আসনে (গাইবান্ধা-৫) সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে দলীয় সরকারের অধীনে ৩০০ আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা কীভাবে সম্ভব? একটি আসনে উপনির্বাচন করতে গিয়ে ৫১টি ভোটকেন্দ্রের ভোট বন্ধের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন আদৌ সম্ভব নয়।
তারা বলেন, সিসি ক্যামেরায় ইসি অনিয়ম দেখলেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা বলছেন, পরিবেশ সুষ্ঠু ছিল। অন্যদিকে সাদা কাগজে লিখিত দিচ্ছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। এর মাধ্যমে প্রশাসন আসলে জাতির সামনে কী বার্তা প্রদান করছেন? তাহলে কি প্রশাসন ইসির এখতিয়ারকেই চ্যালেঞ্জ করছেন?
তারা আরও বলেন, বর্তমান সময়ে দেশের মানুষের প্রত্যাশা হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ৫১টি কেন্দ্র বন্ধের মাধ্যমে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে আসলেই কি তাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
এমএইচ/এসজি