প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ একাকার হয়ে গেছে: রিজভী

অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যে সততা বলতে কোনো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, 'প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ-তারা একাকার হয়ে গেছে অর্থাৎ ফ্যাসিবাদের এটি হচ্ছে একটা গুণাবলী। প্রশাসন ছাড়া তারা থাকতে পারবে না। প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ এক। প্রশাসন কোনো কথা বললে সেটা আওয়ামী লীগেরই কথা।'
রবিবার(২৭ ফেব্রয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আব্দুস সালামের সাম্প্রদায়িক উক্তি ও নিপুন রায় চৌধুরীর উপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।
রিজভী বলেন, যারা ধর্মনিরপেক্ষতার ঝান্ডা তুলে রাজত্ব করছে তাদের প্রশাসনের কাছ থেকে এ ধরনের কথা ব্যবহার পাওয়া যাবে, এটা অসাধারণ কিছু না। আমাদেরকে তা মেনে নিতে হবে। কারণ রাজনীতিতে যখন আদর্শ থাকে না, রাজনীতিতে যখন ভন্ডামি থাকে তখন এটা হতেই পারে।
সুশীল সমাজের কড়া সমালোচনা করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে সুশীল সমাজ বলে একটি গোষ্ঠী আছে তারা কারণে-অকারণে বক্তব্য দেয়। পারলে তারা বিএনপিকে নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনা করে। কোথায় আছে সেই সুলতানা কামাল, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবির? নিপুন রায় চৌধুরীকে নিয়ে যে সাম্প্রদায়িকতা করেছে ওসি তার বিরুদ্ধে একটা বিবৃতি তারা দিল না কেন? এটা আজ সকলের প্রশ্ন।
গোপালগঞ্জের ছাত্রীর শ্লীলতাহানির কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, গোপালগঞ্জের এক ছাত্রীকে ভীষণভাবে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। সকল ছাত্র-ছাত্রীরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে রাস্তা অবরোধ করে। সেই অবরোধের মধ্যে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা করেছে। তাহলে যারা ধর্ষণ করেছে সেই ধর্ষণকারীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশের মানুষের বিবেক নাড়িয়ে দিয়েছে সেই গোপালগঞ্জের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঘটনায়। কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার।
রিজভী বলেন, 'ওসি সালাম আর গোপালগঞ্জের প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য কি? কোনো পার্থক্য নাই। তারা জানে রাষ্ট্রীয় আশকারা আছে। আস্কারা আছে তাই অন্যায়কারীদের উপর আরও নির্যাতন করছে তারা।
গার্মেন্টসের মালিক বাণিজ্যমন্ত্রী হলে চায়ের দোকানদার কেমন আছে তিনি বুঝবে কেমন করে-এ মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়তে আছে। বাড়বে তো কারণ সেটা দেখার বিষয় তাদের না। গোপালগঞ্জের ঘটনায় মনে হয়েছে বাংলাদেশে জনপদের পর জনপদে মানুষ নাই পিচাস রাজত্ব তৈরি হয়েছে। যেন সরকারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। দেশের জনগণের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নাই।
সংগঠনের আহ্বায়ক সাবেক মন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ড প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এসএইচ/এসআইএইচ
