শিগগিরই আন্দোলনে যাব: নজরুল ইসলাম
যার যার অবস্থান থেকে কিংবা একযোগে অবৈধ অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে সব গণতান্ত্রিক দল ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, আসুন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি, যে সরকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবে না, নারী ও শিশুরা নির্যাতন থেকে রক্ষা পাবে, মা-বোনের সম্মান দেওয়া হবে, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস মুক্ত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সবকিছুর দাম বাড়ছে অথচ সরকার বলছে দেশ উন্নয়নে ছেয়ে যাচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে একদিকে করোনার মধ্যে ১১ হাজার এর বেশি নতুন কোটিপতি হয়েছেন, অন্যদিকে তিন কোটি ২৪ লাখ মানুষ নতুন করেন দরিদ্র হয়ে গেছেন। আমরা পরিষ্কার করে বলছি, বাংলাদেশে আজকে উন্নয়নের যে হিসাব দেওয়া হচ্ছে তা হচ্ছে 'ভ্যানিটি', এর মানে হচ্ছে ফুটানি।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এর মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সরকারের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে শিগগিরই আন্দোলনে যাব। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করব। সেখানে ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়া কিছু যায় আসে না, দেশ থাকবে দল থাকবে, লক্ষাধিক বার ক্ষমতায় যাব, হয়তো লক্ষাধিক বার পরাজিত হব, কিন্তু দেশের মানুষ থাকবে দেশ থাকবে তাদের রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্ব।
সভাপতিত্ব করেছেন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক ও বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান।
দ্রব্যমূল্যে ও ঊর্ধ্বগতির জন্য সরকারের দুর্নীতিকে দায়ী করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এ করোনা মহামারির মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কোটিপতি হয়েছে আর সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। এখন দারিদ্র্যকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। টিসিবির ট্রাকের লাইনে মাফলার-গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে দাঁড়ানোর চিত্রই তা প্রমাণ করে।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করতে গিয়ে নজরুল বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগের ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে হয়, আর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে ভোর-রাতে নির্বাচন করতে হয় তাদের। তারা সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছে। অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। মানুষ খুব কষ্টে আছে। তাই একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব মানুষের কষ্ট লাঘব করা। সবার স্বার্থে আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুল আলম নিরব, ডা. রফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম খান রবি, মশিউর রহমান বিপ্লব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ/এসএন