নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজত নেতাদের বৈঠক
কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম কারাগারে আটক দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেছে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
বিকালের ওই বৈঠক শেষে রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হেফাজতে ইসলাম জানিয়েছে, তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আলেম-ওলামা ও নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে হেফাজতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত যেসব বন্দির মুক্তি হয়েছে, তাদের মুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের শুকরিয়া আদায় করা হয়। সেই সঙ্গে এখনও যে নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা বন্দি রয়েছেন, তাদের সবার দ্রুত মুক্তির আহবান জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, হেফাজত নেতা-কর্মীদের বন্দি হওয়ার সময়কাল ১০ মাসেরও বেশি হয়ে গেছে। একেকজন বন্দির কারণে একেকটি পরিবার, কোনো ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠান সমস্যাগ্রস্ত অবস্থায় আছে।
কেউ একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এ অবস্থায় অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে হেফাজত নেতা-কর্মীদের নামে ২০১৩, ২০১৬ ও ২০২১ সালের সব মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেফাজত নেতাদের বক্তব্য শোনেন এবং নেতা-কর্মীদের মুক্তির বিষয়ে আশ্বস্ত করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারাবন্দিদের সঙ্গে পরিবারের লোকজনের সাক্ষাৎ ও যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠে। দেশব্যাপী এসব সহিংসতায় হতাহতের পাশাপাশি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হেফাজতের শীর্ষ নেতা মামুনুলসহ দুই হাজারের বেশি নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে এই মামলাগুলোর তদন্ত করছে পুলিশ, ডিবি, সিআইডি ও পিবিআই।
এনএইচবি/এসএ/